বুক রিভিউ : || হিজিবিজি || হুমায়ূন আহমেদ ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে মন্দের ভালো আছি আর কি। তো যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, বুক রিভিউ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে বইটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | হিজিবিজি |
---|---|
লেখক : | হুমায়ূন আহমেদ |
প্রকাশনা : | অন্য প্রকাশ |
১ম প্রকাশ: | একুশের বইমেলা, ফেব্রুয়ারী ২০১৩ |
গ্রন্থিত মূল্য : | ২৫০ টাকা মাত্র |
পৃষ্ঠা সংখ্যা : | ১২৮ |
ভাষা: | বাংলা |
ধরন : | আত্নজীবনী |
" হুমায়ূন আহমেদ " এই নামটার সাথেই অনেক পাঠকের আলাদা রকমের ইমোশন জড়িয়ে থাকে। আমাদের দেশের একটা বিরাট পাঠক সমাজ গড়ে উঠেছিলো এই লেখকের লেখা পড়ে৷ একটা সময় বইমেলা মানেই ছিলো " হুমায়ূন আহমেদ " এর নতুন বই কেনা ও পড়ার অপেক্ষা! যদিও অনেক নেগেটিভ সমালোচনাও আছে, তবে পজেটিভ পাঠক বা ভক্তের সংখ্যা টাই বিশাল বলে আমি বিশ্বাস করি। সেই লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে এই বইটি। তবে এই বইটির প্রচ্ছদ লেখক জীবদ্দশায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। অর্থাৎ, হিজিবিজি বইটিই শেষ বই যেটির প্রচ্ছদ তিনি দেখে গেছেন, অনুমোদন দিয়ে গেছেন।
বই মূলত লেখকের আত্ন-জীবনী মূলক বই। বইটিতে বেশ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তিনি টুকরো টুকরো করে তার জীবনের নানা গল্প, নানা অধ্যায় লিখে গিয়েছেন। আমরা যারা তার সম্পর্কে ধারণা রাখি, জানি যে তিনি মানুষ হিসেবে বেশ অন্য রকম খেয়ালী মানুষ ছিলেন। তার বিভিন্ন লেখায় তার নিজের জীবনের কথা বারবার উঠে এসেছে। কিন্তু তিনি নির্দিধায় নিজের বিরুদ্ধেও অনেক কিছু লিখে গেছেন নিরপেক্ষ ভাবে! সত্যরে লও সহজে- এই দৃষ্টিকোণ থেকেই হয়তো! নিচের শেষ কথা অংশটুকু পড়লে হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবেন কেন এই কথা বলছি!
সারাটা বই জুড়েই তার জীবনের নানা গল্প, মজার কথা, নাটকের সময়ের নানা কাহিনী, বিদেশ ভ্রমণের সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা, তার ছেলে নিষাদের তার মার প্রতি প্রেমের কথা, এমনকি তার নিজের পরিবার, নিজের মা-বাবার সাথে তার মজার কিছু স্মৃতি, সুখের কিছু স্মৃতি তিনি যেন অবলীলায় বলে গেছেন এই বইতে। তিনি বিভিন্ন রকমের মাইন্ড গেম খেলতেন নানা সময়েই। শিশুরাও বাদ যেতো না সেই মাইন্ড গেম থেকে। সে নিয়েও বলে গেছেন তার এই বইতে। যারা হুমায়ূন প্রেমী রয়েছেন, তাদের কাছে এই বইটা যেন এক নিঃশ্বাষে পড়ে ফেলার মতো বই।যে টা পড়ে তারা তাদের প্রিয় লেখককে আরো কাছ থেকে জানতে পারবেন। লেখকের নিজের কাছ থেকেই তার জীবন নিয়ে জানার সুযোগ কোন হুমায়ূন আহমেদ ফ্যান ই ছেড়ে দিবে না। তাই তো এই বইটি প্রথম প্রকাশের পর সে বছর বইমেলাতেই ৫ম প্রকাশ ও বের হয়েছিলো! মানে একমাসেই পঞ্চম প্রকাশ বের করতে হয়েছে প্রকাশনীকে এতটা জনপ্রিয় হয়েছিলো এই বইটি।
ব্যক্তিগত মতামত: বইটা আসলে যে কোন হুমায়ূন আহমেদ এর ফ্যানের কাছেই মাস্ট হ্যাভ একটা বই ! এই লেখকের লেখা উপন্যাস বহু মানুষকে বহুভাবে প্রভাবিত করেছে। সেখানে লেখকের ব্যক্তিগত বিষয়ে আরো একটু বেশি জানার আগ্রহ জন্মাতে বাধ্য!! আমার কাছে সব মিলিয়ে বইটি দারুণ উপভোগ্য ছিলো। তবে পড়ার পর আফসোস রয়ে যায় যেন, আরো বেশি লেখা কেন নেই বইটিতে! আরো একটু জানতাম প্রিয় লেখকের বিষয়ে.....
ব্যাক্তিগত রেটিং : ১০/১০
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
হুমায়ূন আহমেদের খুব সুন্দর একটি বুক রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আমি এই বইটার নাম এর আগে শুনেছি কিন্তু কোনদিন পড়া হয়নি। তবে আজকে আপনার এই রিভিউ এর মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। সুন্দর এ বুক রিভিউটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। দারুণ মন্তব্য জানিয়ে পাশে থাকার জন্য।
হুমায়ূন আহমেদ এর অনেক বই পড়া হয়েছে।আমার
সবচাইতে প্রিয় লিখক।তবে তার লিখা হিজিবিজি এই বইটি পড়া হয় নি।আপনি খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন বইটির। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি বই রিভিউ করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুযোগ পেলে বইটা পড়ে নিবেন। প্রিয় লেখককে আরো ভালো ভাবে জানার সুযোগ পাবনে বইটি পড়ে।
কথা সাহিত্যিক প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা প্রত্যেকটি গল্প, উপন্যাস আমার খুব ভালো লাগে। আজকে আপনার হুমায়ূন আহমেদ স্যারের হিজিবিজি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে বুক রিভিউ করেছেন। আমাদের মাঝে বুক রিভিউ দেওয়া জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি বলতে আপু আমি হুমায়ুন আহমেদ এর ফ্যান না। তবে উনার কিছু বই পড়েছি খুব ভালো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর পড়া হয়নি। তবে উনার মতো মাস্টারমাইন্ড লেখক বাংলাদেশে নেই। উনার এই বইয়ের ব্যাপার টা শুনে ভালো লাগল নিজের আত্মজীবনীর মধ্যে নিজের বিরুদ্ধে কিছু কথা লেখার সাহস অধিকাংশেরই থাকে না। আর সেখানে উনি। সত্যি চমৎকার। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রিভিউ টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আত্নসমালোচনাই সবচেয়ে বড়! নিজের খারাপ দিক গুলো সাধারণত আমাদের কারোর চোখে পড়ে না। যারা নিজের নেগেটিভ দিক নিজেই খুঁজে পায়, তারা মানুষ হিসেবে অন্যস্তরের বলেই আমার মনে হয়!