কবিতা আবৃত্তি :- উলঙ্গ রাজা || কবি- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ||
|| আজ ১৬ মে, ২০২৪ || রোজ: বৃহস্পতিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
কবিতা:- উলঙ্গ রাজা
কবি:- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
আবৃত্তি :- তিথী রানী
ইউটিউব চ্যানেল :- https://youtube.com/@Ranishaheba?feature=shared
কবিতার লাইন
সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুও
সবাই হাততালি দিচ্ছে।
সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!
কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়;
কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে;
কেউ-বা পরান্নভোজী, কেউ
কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম , চোখে
পড়ছে না যদিও, তবু আছে,
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।
গল্পটা সবাই জানে।
কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
শুধুই প্রশস্তিবাক্য-উচ্চারক কিছু
আপাদমস্তক ভিতু, ফন্দিবাজ অথবা নির্বোধ
স্তাবক ছিল না।
একটি শিশুও ছিল।
সত্যবাদী, সরল, সাহসী একটি শিশু।
নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায়।
আবার হাততালি উঠছে মুহুর্মুহু;
জমে উঠছে
স্তাবকবৃন্দের ভিড়।
কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
ভিড়ের ভিতরে আজ কোথাও দেখছি না।
শিশুটি কোথায় গেল? কেউ কি কোথাও তাকে কোনো
পাহাড়ের গোপন গুহায়
লুকিয়ে রেখেছে?
নাকি সে পাথর-ঘাস-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে
ঘুমিয়ে পড়েছে
কোনো দূর
নির্জন নদীর ধারে, কিংবা কোনো প্রান্তরের গাছের ছায়ায়?
যাও, তাকে যেমন করেই হোক
খুঁজে আনো।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে
নির্ভয়ে দাঁড়াক।
সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে
জিজ্ঞাসা করুক:
রাজা, তোর কাপড় কোথায়?
নিজস্ব মতামত:-
আমরা সকলেই হয়তো ছোটবেলায় "উলঙ্গ রাজা"র গল্প টি পড়েছিলাম। কিন্তু বড় হতে হতে সেই গল্পের নীতিবাক্য বা সারমর্ম আমাদের মাথা থেকে বোধ হয় বের হয়ে গেছে। এই কবিতা টি অনেক দিক থেকেই সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে বলে আমি মনে করি৷ ছোটবেলার সেই উলঙ্গ রাজার মতোই অনেকেই বর্তমান সমাজে বুক উচিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর আমরা, সাধারণ জনগণ ওই উমেদার, প্রবঞ্চক আর প্রশস্তিবাক্য উচ্চারকের মতোই তাদের গুণগান করতে থাকি।সে তা মন থেকে মানি বা না মানি! সেই সত্যবাদী, নির্ভয় শিশুটির যেন ভীষণ অভাব বর্তমান সময়ে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপনার কবিতা আবৃত্তি গুলো সব সময় শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে দিদি। হ্যাংআউট থেকেই আপনার প্রথম কবিতা আবৃত্তি শুনি।কবিতা আবৃত্তি করতে আসলে আমিও অনেক ভালোবাসি। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর " উলঙ্গ রাজা " এই কবিতাটি ছোটবেলাতেই পড়েছিলাম। আর যতবার পড়তাম কবিতাটি বেশ ভালো লাগা কাজ করতো। আপনার কন্ঠে আজকে আবার অনেকদিন পর কবিতা আবৃতি শুনে ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ পূজা। তোমার কবিতা মিস করি আমি ভীষণ।
আপনার কবিতা আবৃত্তি শোনার অপেক্ষায় থাকি। চমৎকার কবিতা আবৃত্তি করেন আপু। উলঙ্গ রাজা কবিতাটি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেয়ে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনার এমন দারুণ উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এই কবিতাটা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সম্ভবত এর আগে হ্যাংআউটে আপনি এটা আমাদের শুনিয়েছিলেন। যাইহোক আজকে আবারো শুনতে পেলে বেশ ভালো লাগলো। চমৎকার আবৃত্তি করেছেন আপনি।
জি ভাইয়া। এর আগের হ্যাং আউটে আমি এই কবিতাটিই আবৃত্তি করেছিলাম। আপনার মনে আছে দেখে ভীষণ খুশি হলাম ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে আমি খুবই পছন্দ করি। ঠিক তেমনি একটি কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের শুনিয়েছেন। আপনার আবৃত্তি কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আশা করবো এমন ভাবে সুন্দর কন্ঠে আরো অনেক কবিতা আবৃতি করে শোনাবেন।
আপনার মতামত আমাকে আরোও উৎসাহ দিলো আপু। এভাবে পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা নিবেন। 😍
প্রত্যেক সপ্তাহে আপনার কবিতা শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকি আপু। সত্যি আপু আপনার কবিতা আবৃতি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি এত সুন্দর করে কবিতা আবৃতি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন শুনে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন হয়েছে আপু। একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আপনার এই মন্তব্য টি পেয়ে আমি ভীষণ অনুপ্রেরণা পেলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ।