গ্রামের কিছু স্মৃতি : পর্ব -১
|| আজ ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ || রোজ:রবিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আমি @tithyrani আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে সুস্থ আছি।
আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকেও আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোষ্ট ই শেয়ার করবো। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে আমি গ্রাম এ বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়েছি। ঠিক তখনকার ই কিছু স্মৃতি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
যেহেতু এখন সময় শীতকাল, তাই সকল জলাশয়ের ই জল অনেকটাই কমে যায় এই সময়ে। এইবার বাড়িতে আসার পর আমাদের বাড়ির সামনের একটি পুকুরের জল পুরোটা মেশিনের সাহায্যে ছেঁকে ফেলা হয়েছে।অনেকের কাছেই হয়তো বিষয় টি বেশ সাধারণ। গ্রামে না থাকার কারণে আর আগে আমি এভাবে কখনো পুরো পুকুরের জল শুকানোটা দেখি নি। তাই আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে বিষয় টি।
মোটামুটি দেড় দিন মেশিনের সাহায্যে পুকুর থেকে জল ছেঁকা হয়েছে। তবে শেষের দিকে এসে যাদের দ্বায়িত্বে মাছ চাষের ভার ছিলো, তারা সপরিবারে মিলে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ছেকে ছেকে অনেক মাছ বেছে সংগ্রহ করেছে। এটি আমি এবং মা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এর আগে আমি বাবার থেকেও শুনেছিলাম যে এভাবে হাতের সাহায্যে মাছ ধরা হয়। তবে আগে কখনো দেখি নি। এবারে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়ে বেশ ভালো লেগেছে৷ তবে ওদের জন্য বেশ খারাপও লাগছিলো, কারণ এই ঠান্ডার মধ্যে এক হাটু কাদার ভেতর থেকে এভাবে মাছ সংগ্রহ করাটা নিঃসন্দেহে কষ্টের কাজ!
পুকুরে বেশ কিছু দেশি মাছ ছিলো যেমন- পুটি, শোল, ট্যাংরা, শিং, দেশি কই মাছ ইত্যাদি। আমরা ওখান থেকে অবশ্য বেশ কিছু মাছ নিয়েছিলাম। এমন টাটকা দেশি মাছ চোখের সামনে পেলে কেই বা মিস করতে চায় বলুন! তবে গ্রামের আরেকটি ভালো দিক হলো এখানে সহজেই অনেকেই পাশে পাওয়া যায় প্রয়োজনে। প্রতিবেশিদের মধ্যে দুইজন এসে সেই মাছগুলো কেটে দিয়ে বেশ উপকার করেছিলেন। না হলে বেশ অসুবিধার মধ্যেই পরতে হতো এতগুলো মাছ কাটতে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে পুকুরের এরিয়া অনেক বড় তাছাড়া পানি সেচতে যেহেতু দেড় দিন লেগেছে তাহলে অনেক বড় পুকুর। অনেক ধরনের মাছ ছিল পুকুরে যার মধ্যে টেংরা মাছগুলোর ছবিটা বেশি ভালো লাগতেছে।
পুকুরের পাশেই ড্রে জলসহ মাছগুলো রাখা ছিলো। সেইখানে জুঅঅসহ থাকায় মাছ গুলো বোঝা যাচ্ছিলো না। তাই আমরা যে মাছ নিয়েছি, সেই ছবিগুলিই শেয়ার করতে পেরেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে গ্রামীণ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির মধ্যে টেংরা মাছের ফটোগ্রাফিটা বেশ সুন্দর হয়েছে। অনেকগুলো টেংরা মাছ একসাথে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামীণ পরিবেশ মানেই সেরা কিছু!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
এজন্য আমি বলে থাকি গ্রাম মানে অন্যরকম ভালোলাগার স্থান যেখানে সকল প্রকার অনুভূতি ভাললাগা খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন মাছ ধরার দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন পাশাপাশি ঠিক তেমনি ভাবে মাছের ফটো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এদিকে মাছ পেয়ে তো মনে হচ্ছে পরিবারের মানুষেরা অনেক খুশি। প্রতিবেশীরা এসে সহায়তা প্রদান করল মাছগুলো কোটাতে। বেশি ভালো লাগলো সুন্দর এই একটি মাছ বিষয়ক পোস্ট দেখে।
আসলেই গ্রামীণ পরিবেশ মানেই অন্যরকম ভালো লাগা! 😍
আর হ্যা, এমন টাটকা মাছ পেয়ে সবাইই খুশি। কারণ বাসায় সকলেই ছোটমাছ খেতে ভীষণ ভালোবাসে।
গ্রামের পরিবেশ একেবারে আলাদা। গ্রামে যখন আমরা ঘুরতে যাই তখন খুবই ভালো লাগে এবং গ্রামের মুহূর্তগুলো একদম আলাদাভাবে মনের মধ্যে জায়গা করে নেয়। আজকে আপনার এই গ্রামের মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। এখানে মাছ ধরার সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দ
শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগল। একইসাথে আপনাদের প্রতিবেশীরাও এসে আপনাদেরকে সাহায্য করেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ বিজয় ভাই।
এরকম মাছ ধরা আমারও সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু ছবিতে বেশ কয়েকবার দেখেছি। যারা এরকম ভাবে মাছ ধরে তাদের মনে হয় আনন্দই লাগে। তা না হলে এই ঠান্ডার মধ্যে কাদা পানিতে মাছ ধরা বেশ কষ্টকর বটে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন গ্রামের এই বিষয়টি বেশ ভালো সবাই মিলে গল্প করতে করতে কাজ করে দিয়ে যায়। অনেক মাছ ধরতে পেরেছিল দেখছি। মাছগুলো বেশ টাটকা ছিল। মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়ই।
মাছ আরো অনেক ধরেছিলো। সবগুলো মাছ পানির ড্রামে ছিলো, সেই ছবিতে মাছ বোঝা যাচ্ছিলো না। তাই এই ছবি দিয়েছি। এইগুলো আমরা আমাদের জন্য নিয়েছিলাম আপু। আর তাদের তো উপায় নেই। মাছ গুলো কষ্ট করে ওভাবে ধরতে পারলেই তো টাকা!
সত্যি কথা বলতে এত ফ্রেশ এবং টাটকা মাছ অনেকদিন পরে দেখলাম দিদি। ছোটবেলায় যখন আমি গ্রামে থাকতাম, তখন দেখতাম আমাদের বাড়ির পুকুর এরকম করে সেচে তারপর মাছ ধরত। এই ঠান্ডার ভিতর জল কাদায় নেমে মাছ ধরা অবশ্যই কষ্টকর কাজ। অনেকদিন পর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল দিদি, আপনার এই পোস্ট দেখে। কারণ ছোটবেলায় এরকম অনেক মুহূর্ত আমার জীবনেও ছিল।
আমার কাছে বেশ নতুন অভিজ্ঞতাই ছিলো। এই পোস্ট পড়ে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো, বিষয়টি জেনে বেশ ভালোই লাগলো আমারো।
ছোটবেলার এই কথা গুলো মনে পড়লে আফসোস লাগে দিদি কারণ জানি সেইদিন গুলো আর কোনো দিন ফিরে পাবো না।