রেসিপি পোস্ট: পুইশাক দিয়ে ডাল চচ্চড়ি
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রয়োজনীয় উপকরণ
মসুর ডাল | ১ কাপ |
---|---|
পুই শাক | ১ আঁটি |
পেয়াজ কুচি | ৩ টি বড় সাইজের পেয়াজ |
রসুন কুচি | ১ টা বড় রসুন |
আদা কুচি | সামান্য পরিমাণ (অপশোনাল) |
গোটা শুকনা মরিচ | ২ টি |
গোটা জিরা | হাফ চা চামচ |
কাচা মরিচ | ৬-৭ টা ঝাল অনুযায়ী |
জিরা গুড়া | পরিমাণ মতোন |
হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতোন |
লবণ | স্বাদ অনুযায়ী |
ধাপ-১
প্রথমে পুই শাক গুলো বেছে পাতা এবং ডাটা গুলো আলাদা আলাদা করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবো। মসুর ডাল ও ভালো করে ধুয়ে নিবো।
ধাপ-২
এবারে একটি কড়াই গরম করে তাতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিবো। তেল গরম হলে প্রথমে দুটো শুকনো মরিচ এবং গোটা জিরা ফোড়ন দিবো। কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে আদাকুচি, পেয়াজ কুচি, রসুন কুচি এবং কাচামরিচ কুচি এড করে দিয়ে ভেজে নিবো।
ধাপ-৩
এবারে তেলে মসুর ডাল টুকু দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভেজে নিবো। তারপর পুইশাকের ডাটা গুলো দিয়ে আবারো কতক্ষণ ভেজে নিয়ে তার মধ্যে লবণ, জিরা গুড়া, হলুদ গুড়া যোগ করে কষিয়ে নিবো।
ধাপ-৪
এবারে গরম পানি এড করে ঢেকে দিবো সিদ্ধ হওয়ার জন্য। প্রায় পনেরো মিনিট পরে ঢাকনা তুলে শাকের পাতা গুলো এড করে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে আবারো ঢেকে দিবো মিডিয়াম আঁচে। তারপর যখন শাক আর ডাল ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন চুলা অফ করে একটি গামলায় ঢেলে নিবো।
পরিবেশন
আজ এপর্যন্তই থাকলো। সকলের সময় ভালো কাটুক সেই শুভকামনা রইলো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। যদিও পুঁইশাকের সাথে মসুরের ডাল মিক্সড করে খাওয়া হয়নি কখনো। রান্না করার প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপি ফলো করে একদিন রান্না করবো বাসায়।ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই একদিন চেষ্টা করবেন আপু। আশা করি অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে। এই পুইশাক এর সাথে মসুর ডালের কম্বিনেশন কিন্তু ভীষণ মজার আপু।
বেশ মজা খেতে এই রেসিপিটি। আমিও করি মাঝে মাঝে। দারুন লাগে খেতে। মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা আপু, কম ঝামেলায় খুব সহজেই করে ফেলা যায়, আবার খেতেও মজাদার।
দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পুঁইশাক আমার অনেক পছন্দের একটা তরকারি।আপনি চমৎকার ভাবে রান্নার ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনিও আমার মতোন পুইশাক বেশ পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো।
পুইশাক দিয়ে এমন ডাল চচ্চড়ি করা হলে তা বেশ সুস্বাদু লাগে। নিরামিষ কোনো তরকারির মধ্যে এরকম ডাল যদি দেওয়া হয় তাহলে আমার খেতে বেশ দারুন লাগে । আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো দিদি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, মসুর ডাল টা একটু ঘন করে চচ্চড়ি করলে এমনিও মজা লাগে আমার কাছে। সাথে পুইশাক টাও বেশ ভালো যায়। আর কম ঝামেলায় তাড়াতাড়ি রান্নাটাও হয়ে যায়।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
পুঁইশাক দিয়ে ডাল চচ্চুড়ি যে কবে শেষ খেয়েছি সেটা কিন্তু মনে নেই। মা বেঁচে থাকতে খেয়েছিলাম এটাই মনে আছে। যাইহোক আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে কিন্তু বেশ সুস্বাদু মনে হচেছ। সব মিলিয়ে মনে হচেছ যে স্বাদে গুনে ভরপুর একটি রেসিপি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঝামেলাও কম আপু। খেতেও মজা। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
পুঁইশাক দিয়ে ডালের চড়চড়ি করেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আমি কখনো এই রেসিপিটি তৈরি করে খাইনি।নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।ধন্যবাদ জানাচ্ছি রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
পুঁইশাক দিয়ে ডাল চচ্চড়ি কখনো তৈরি করা হয়নি। পুঁইশাক দিয়ে ডাল রান্না করা যায় এটা প্রথম জানতে পারলাম। আপনি খুবই ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু, কম মসলায়, খুব সহজে রান্নাটা হয়ে যায় আবার খেতেও বেশ মজার। ট্রায় করে দেখতে পারেন।
মসুরি অথবা কলাইএর ডালের সাথে পুঁই শাক রান্না করলে বেশি ভালো লাগে। আজকে আমাদের পরিবারের রান্না করেছিল। আমি এমনিতে টাটকা শাকসবজি বেশি পছন্দ করে থাকি। তাই এই জাতীয় রেসিপিগুলো আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।
মাছ কিংবা মাংসের চেয়ে এমন আইটেম গুলো আমারো বেশি পছন্দের। কালাই ডাল দিয়ে পুইশাক খাওয়া হয় নি। দেখি তাহলে, একদিন রান্না করে ফেলবো। ধন্যবাদ সুমন ভাই
পুইশাক দিয়ে ডাল চরচরি করেছেন খুবই দারুন একটি খাবার৷ আমাদের বাসাই এর আগে কয়েকবার করা হয়েছিল রেসিপি টা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আমিও আমার মায়ের থেকেই শিখেছি এই রেসিপি। বাসায় সবাই এটি খেতে ভীষণ পছন্দ করে৷ আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
পুঁইশাকের সাথে ডালের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটি একদম নতুন লেগেছে আমার কাছে। তাই আমি পরবর্তীতে তৈরি করব।
তৈরি করলে একবার জানাবেন রায়হান ভাই যে খেয়ে কেমন লাগলো। তাহলে খুশী হবো।