শহরের বুকে এক টুকরো গ্রামীণ মেলা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও এখন মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল সন্ধ্যায় আমরা একনিতেই একটু বের হয়েছিলাম হাটতে। আমরা বেশ লাকি যে আমাদের একালায় বেশ বড় একটি জমজমাট মাঠ রয়েছে। এখানে এলে মনটা কিছুটা ভালো হয়ে যায়। তো গতকাল গিয়ে দেখি ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সেই মাঠে বেশ জমজমাট মেলা বসেছে। দেখেই তো মনটা ভীষণ খুশি হয়ে গেলো। যেন শহরের বুকে এক টুকরো গ্রামের আবহ তৈরি হয়েছিলো। তো আমি আর আমার হাসবেন্ড মিলে মেলাটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। মেলা বলতে বেশ কিছু স্টল বসেছে৷ এর মাঝে এক পাশে বেশ কিছু খেলনা এবং মেয়েদের সাজ-সরঞ্জাম এর স্টল। আর দুই পাশ জুড়েই খাবারের স্টল।আর মাঝের অংশটি জুড়েই কোমলমতি বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন। এ সকল আয়োজনের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলো বাচ্চাদের ট্রেন, ঘোড়া, বাচ্চাদের লাফানোর জন্য ব্যবস্থা (আমি এটার নাম ভুলে গেছি আসলে 😅), নাগরদোলা এবং ম্যাজিক কার্পেট এর সস্তা ভার্সন 😂। সস্তা ভার্সন বলার কারণ এটি দুইজন মানুষ দ্বারা ব্যালেন্স করছিলো। একজন মানুষ দৌড়ে দৌড়ে এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছিলেন এবং আরেকজন একটি রশির মাধ্যমে ঝুলছিলেন। এটি প্রথম প্রথম হাস্যকর লাগলেও পরে ভীষণ রিস্কি কাজ বলে মনে হয়েছিলো।
আমরা সকলেই জানি, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তবে বর্তমানে যে শিশুগুলো শহরে বেড়ে উঠছে, তাদের প্রতি আমার ভীষণ মায়াই হয়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে যারা বেড়ে উঠছে, তাদের প্রতি মায়াটা বেশি কাজ করে। কারণ এই ব্যস্ত নগরীতে সকলেই ব্যস্ত বিভিন্ন বিষয়ে। এত বিষয়ের ভীড়ে, কোমলমতি শিশুদের যে খেলার জন্য উপযূক্ত কোন উন্মুক্ত মাঠ নেই, এইটুকু তাদের কাছে কোন বিষয় হয়ে উঠে না। বা এতে আসলে সেইসব শিশুর গার্জিয়ানদের বিশেষ কিছু করারও থাকে না। এরই মাঝে বিভিন্ন উপলক্ষেই হোক না কেন বাচ্চাদের জন্য একটু নির্মল আনন্দের খোঁজ পাওয়া মানে যেন বিশাল কিছু। গতকালকের মেলা দেখার পর থেকে আমার মাথায় এই বিষয় টিই ঘুরছিল।
আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। আজ এপর্যন্তই থাকলো ।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মেলা বসেছে আর ভাইয়াকে নিয়ে সেই মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। আসলেই দিদি এই বিষয়টা কেউ আলাদাভাবে চিন্তা করে না যে শহরের ছেলে মেয়েরা কিভাবে বেড়ে উঠছে?? হ্যাঁ একটা ফাঁকা মাঠ থাকলে শহরের ছেলে মেয়েদের মনটা কত ফ্রেশ হবে সেই মাঠে গিয়ে সেটা কিন্তু কেউ কখনোই চিন্তা করে দেখেনা।
শহরে বেড়ে ওঠা এইসব শিশুদের জন্য আসলেই বেশ খারাপ লাগে আমার
শহরে যে সকল ছেলে মেয়েরা থাকে তারা ঠিকমতো মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না এবং এর ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার আবনতি ঘটে৷ তাই কেউ তাদের এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে না৷ আপনার কাছ থেকে শহরের মধ্যে হওয়া এরকম একটি গ্রামীণ মেলা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ তারা এখানে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছে এবং যদি তারা এরকম স্থান পায় তাহলে তাদের দেহের ও মনের মধ্যে আলাদা শান্তি থাকবে এবং তাদের মানসিক বিকাশও খুব ভালোভাবেই ঘটবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
সেটাই ভাই৷ শহরে আসলে বাচ্চাদের জন্য খোলা মাঠ এর বড়ই অভাব। এতে করে তাদের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ওই মাঠের মধ্যে সুন্দর একটা মেলা বসেছিল শুনে খুবই ভালো লাগলো। শহরের মাঝে এরকম সুন্দর মেলা হলে খুবই ভালো লাগে। আসলে এরকম সুন্দর মেলাগুলোতে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রকম রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়। যেন বাচ্চারা আনন্দ সহিত সময় কাটাতে পারে। এই জায়গাটাতে গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এরকম ফাঁকা মাঠে গেলে ভালো সময় কাটানো সম্ভব। আপনার পুরো পোস্ট বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আমি।
বাচ্চাদের আনন্দ দেখলে যে কারোর ই মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য আপু। বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে পেরে আসলেই বেশ ভালো লেগেছে।
শহরের জীবনটা একটা চলমান জীবন। এখানকার মানুষজন কখনো থেমে থাকে না। চলমান বহত নদীর মত চললে থাকে। তবে শহরের মাঝে যদি গ্রামীণ মেলা হয় তাহলে এটা কিন্তু সত্যিই একটা আনন্দের বিষয়। মেলাতে কিন্তু খুবই জমজমাট হয় এবং বিভিন্ন পোকারের জিনিসপত্র বিক্রি করে এবং অনেক মানুষের সমাগম হয়। সব মিলিয়ে মেলা একটি খুবই আনন্দের একটি বিষয়। পরিবার পাড়া মহল্লা সবাই মিলে এই আনন্দটা উপভোগ করে থাকে। আপু আপনি বেশ এই মেলাতে খুব আনন্দ উপভোগ করেছেন। পাশাপাশি আপনার আনন্দটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন ভাই। ধন্যবাদ এমন দারুণভাবে পাশে থাকার জন্য।
আপনারা যেহেতু শহরে থাকেন তাই এরকম গ্রামীণ মেলা দেখে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে বুঝতেই পারতেছি। আর আমরা যেহেতু গ্রামে থাকি, তাই বেশিরভাগ সময় এরকম মেলা উপভোগ করে থাকি। ছোট বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রকমের রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এখন বর্তমানে যে শিশুগুলো শহরে বেড়ে উঠতেছে, তারা গ্রামের কোন কিছু পাচ্ছে না। তবে গ্রামেই সব কিছু রয়েছে বলে আমি মনে করি। শহরে একেবারে বন্দী জীবন যাপন করা লাগে। যার কারণে এখনকার বাচ্চারা অন্য রকমের হয়ে যায়।
আসলেই ভাই। গ্রামীণ পরিবেশে এ ধরনের মেলা তো বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায় প্রায়ই আয়োজন হয়ে থাকে৷ আমরা যারা শহরে থাকি, তারা এই জিনিস গুলো বেশ মিস করি।
আমরা দিদি ছোটবেলায় যত খেলাধুলা করেছি বা যত সুন্দর সময় কাটিয়েছি, এখনকার শহরের বাচ্চারা তার কিছুই করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে এরকম ছোটখাট মেলা যদি শহরের বুকে করা হয় তাহলে কিন্তু একেবারে মন্দ হয় না। অন্তত বাচ্চারা কিছুটা হলেও আনন্দ মজা করতে পারে। তবে আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, সেটা তো আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু রাইড দেখলাম মেলার ভিতর, যেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।
আপনার কথার সাথে আমিও পুরোপুরি একমত দাদা।
আপু তাও তো আপনার বাসার পাশে একটি খোলা মাঠ রয়েছে মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। কিন্তু আমার বাসার পাশে তো তাও নেই। স্কুলের একটা বড় মাঠ ছিল কিন্তু মেইন রাস্তার পাশে হওয়াতে সরকারি খাতায় নাম চলে যায় আর কিছুদিন পর মেইন রাস্তার সাথে জয়েন করা হয়। আপনার মতো আমার কাছেও শহরের শিশুদের জন্য খারাপ লাগে। কিন্তু কিছুই করার নেই ভালো কিছু করতে হলে তাদের এমন পরিস্থিতিতেই বড় হতে হবে। যাই হোক ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে দেখছি মাঠের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ভাইয়াকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।
আসলেই আপু, আমাদের বাসার পাশেই দারুণ একটি মাঠ রয়েছে। এখানে আবার আশেপাশের বাচ্চারা সব সময়ই খেলাধুলা করে দেখি।