শখের তোলা লাখ টাকা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
" শখ" দুই অক্ষরের ছোট একটা শব্দ। কিন্তু এই শব্দের গভীরতা টা অনেকখানি। "শখ" মানুষের খুবই ব্যক্তিগত এবং আপন একটা বিষয়। একারণেই তো মানুষ তার শখের পেছনে ছুটে, তা পূরণ করতে চায়। এবং এর মাধ্যমে নির্মল কিছু আনন্দ পায়। "ব্যক্তিগত ও আপন " শব্দ দুটি ব্যবহার করলাম কারণ, একজন মানুষ এর শখ কী হবে, এটা একমাত্র সেই ব্যক্তিটির উপরই নির্ভর করে, অন্য কারো উপর নয়। ব্যক্তিভেদে মানুষের শখ আলাদা আলাদা হয়। আবারো, মানুষের কত কত রকমের যে শখ হতে পারে, তারও যেন কোনো ইয়োত্তা নেই। এক জনের শখ অন্য একজনের নিকট মূল্যহীন হতে পারে, তবে সেই মানুষ টার কাছে তার শখ সর্বদাই অমূল্য।
কারো শখ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করার, কারো বা বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট সংগ্রহ করার কিংবা কলম সংগ্রহ করা.... কেউ বা বিভিন্ন স্টিকার সংগ্রহ করে তার নোটখাতায়... কেউ ভিন্নভাবে হাতের লেখা লিখে লিখে ভরিয়ে ফেলে নোটবুক। কারোর সংগ্রহ আকাশের বৈচিত্র্যময় ছবি.... পেপার কাটিং.... বিভিন্ন মগ.... কারোর বা হাতঘড়ির প্রতি টান বেশি, কারোর পারফিউম কিংবা জুতা! শখের বৈচিত্র্যতা আসলে বলে শেষ করা যাবে না! যার যার যেটা শখ, সেটা যার যার কাছে প্রাধান্য পায়। এবং এর জন্য অনেকের খরচও নিতান্ত কম হয় না।
সেদিন আমার অফিসের এক কলিগের একটা পার্সেল আসে অফিসে, তার অনেকদিনের শখ একটা মেটার স্পিনার্সের। দারাজের স্পেশাল একটা অফার পেয়ে অর্ডার দিয়ে দেয়। সরাসরি চায়না থেকে ইম্পোর্ট হয়ে আসা মেটাল স্পিনার্স! দামটাও বেশ ভালো রকমের অফারের পরেও মন্দ নয়- হাজার দুইয়েরও উপরে! তো হাতে পাওয়ার পর আমার সেই কলিগ তো সেই খুশী!! কিন্তু আশেপাশে আবার কেউ কেউ মন্তব্য করে বসলো,-" এত টাকা দিয়ে এই জিনিস কেনার কোনো মানে হয়!!" যে ব্যক্তিটি কমেন্ট টা করলো, তারই আবার কয়দিন পর পর নতুন জুতা ছাড়া চলে না! সেক্ষেত্রে টাকা খরচ করাটা তার কাছে তেমন কিছু মনে হয় না! এই নিয়ে দুইজনই দুইজনের সাথে বেশ অনেকক্ষণ ধরে খোঁচা-খুঁচি করে মজা নিলো! এরজন্যই বলে যে, শখের তোলা লাখ টাকা! যার যার শখ, তার তার কাছে লাখ টাকার মতই দামী! এই সুযোগে আমরাও একটু স্পিনার্সটা নিয়ে খেললাম! আপনাদের জন্য ছোট্ট একটা ভিডিও করেছি, সেটাও শেয়ার করে দিলাম। ভিডিওটা খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন এটা কেমন একটা চোখের ইলিউশন তৈরি করে। কতক্ষণ মনে হয় ক্লকওয়াইজ ঘুরছে, আবার কতক্ষণ যেন এন্টি-ক্লকওয়াইজ! অথচ, ঘুরছে কিন্তু একই দিকে!
https://youtube.com/shorts/Jjs7LaWasBE?feature=shared
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।