প্রাইভেট ব্যাংক এর সেবা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।
বরাবরের মতোন আজকে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগেই একবার আমার কাজে ব্যাংক এ যাওয়া এবং এক্সপেক্টেশন বনাম সার্ভিস বিষয়ে তুলে ধরেছিলাম আপনাদের সামনে। দিন কয়েক আগে দুপুরে আবারো গিয়েছিলাম আরেকটি প্রাইভেট ব্যাংক এ। এবারে অবশ্য আমার এক কলিগের সাথে তার কাজে যাওয়া। তা নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট।
নভেম্বর মাসেই সবার ট্যাক্স এর জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার সময়। সেজন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কোন ইনভেস্টমেন্ট থাকলে সেটার সার্টিফিকেট এর কাগজ জমা দেয়ার প্রয়োজন হয়। এই কাগজগুলো ব্যাংক থেকেই নিতে হয়। তাই আমার কলিগের ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিতে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো। আমরা ইস্টার্ন ব্যাংকের বনানী শাখাতেই গিয়েছিলাম। এই শাখাটি মোটামুটি বড়ই। এদের টাকা জমা/উত্তোলন এর জন্য একটি আলাদা ফ্লোর রয়েছে। এবং কাস্টমারদের বিভিন্ন সেবা দেয়ার জন্য ডেডিকেটেড আরেকটি ফ্লোর রয়েছে। আমরা সেই ফ্লোরে গিয়ে প্রথমে টিকিট কেটে অপেক্ষা করি। এখানেও এক পাশের দেয়ালে ডিসপ্লে তে কোন কাউন্টারে কত নাম্বার সিরিয়াল যাবে সেটা শো করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এবারে অবশ্য আমাদের প্রায় মিনিট ১৫ অপেক্ষা করতে হয়েছে সিরিয়াল আসতে আসতে। আপুর কাজ, তাই আপু একাই গিয়েছিলেন তার সিরিয়াল আসায়। এবং আমি অবাক হয়ে গেলাম যে আপুর স্টেস্টমেন্ট সাথে সাথেই উনারা প্রিন্ট করে দিয়ে দিলেন। কোন কাগজপত্র কিছুই লাগে নি। পুরো কাজটা মিনিট পাঁচেক এর মধ্যেই করে দিলেন। আপু যখন আপুর ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে চলে আসলেন, আমি রীতিমতো অবাক ই হয়েছি। কারণ কিছুদিন আগে আমি আমার ব্যাংকের সার্ভিসের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমার ক্ষেত্রে আমার NID এর কপি জমা নিয়ে পরের কর্মদিবসে আসতে বলেছিলো ওরা। অথচ ডিজিটাল যুগে সবকিছুই অনলাইনে পাওয়া সম্ভব। সেটারই বাস্তবায়ন দেখলাম আমার কলিগ আপুর ব্যাংক এ। যাই হোক, এমন নির্ভেজাল এবং দ্রুত সার্ভিস পেয়ে আপু বেশ খুশী। প্রাইভেট ব্যাংকের সার্ভিস তো আসলে এমনই হওয়া উচিত।
তো এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
প্রাইভেট ব্যাংক এর সার্ভিস বেশ ভালই হয়। সব সমস্যা দেখে যায় আমাদের সরকারী ব্যাংকে। সরকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোন জবাব দিহিতা নেই তার গ্রাহকের প্রতি । কিন্তু সরকারী ব্যাংকে সার্ভিস ঠিকভাবে না পেলে অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে। তাইতো তারা বেশ অনুগত গ্রাহকের প্রতি।
এসব কারণেই তো স্মুথ সার্ভিসের আশায় সাধারণ জনগণ প্রাইভেট ব্যাংকের প্রতি ছুটে...