ছোট ছোট মুহুর্তগুলো
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ বেশ ভালো আছি। আজকের আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ সকালের কিছু এলোমেলো চিন্তাভাবনা ই শেয়ার করবো আজ আপনাদের সাথে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং পোস্ট টি পড়ে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন।
আজ সকাল টা শুরু হয়েছে কিছুটা ভিন্ন ভাবেই। আমার একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠার অভ্যেস আছে। যেহেতু বাসার কর্তার অফিস কিছুটা দেরিতেই, তাই সকাল সকাল উঠে তাড়াহুড়োর প্যারা টা নাই। তবে ইদানীং চেষ্টা করছি লাইফস্টাইলে চেঞ্জ এনে, সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করার জন্য। মোবাইলে এলার্ম দেয়া ছিলো ৬ টার আগেই। ঘুম ভাঙলোও বটে। ঘুম ভেঙেই বুঝতে পারলাম বাহিরে ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছে। চলে গেলাম বারান্দায়। কিছুক্ষণ বৃষ্টির বাতাস গায়ে লাগালাম। সে সুখ বেশিক্ষণ কপালে সইলো না। কিছুক্ষণ পরেই তীব্র মাথা ব্যাথা তার উপস্থিতি জানান দিলো! এই এক কারণে বৃষ্টিতে ভেজা কি জিনিস,ভুলেই গেছি আমি! কি যে একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার এটা, যারা ফেস করেন, তারাই জানেন। সাধারণত সকাল সকাল মাথা ব্যাথা জানান দিলে সারাটা দিন ভীষণ বাজেই যায় আমার। বাধ্য হয়ে আবার ঘুমাতে গেলাম!
পরে আবার কতক্ষণ ঘুমিয়ে উঠলাম। বাহিরে তখন ও বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহর অর্ধেকের বেশি পানির নিচে বন্দি আজ। কিন্তু হাজবেন্ড এর তো অফিস আছে, যেতেই হবে! হাতে যথেষ্ট সময় নিয়েই আজ উনি বের হলেন। তারপর আমার দিন শুরু হলো এক কাপ কড়া চা এর সাথে নিজের প্রিয় বইটা নাড়াচাড়া করলাম কতক্ষণ। এমন বৃষ্টির সময়ে কড়া চা এর সাথে প্রিয় বই হাতে নেড়েচেড়ে দেখারও যেনো আলাদা শান্তি আছে। এই অনুভুতিতেই ডুবে ছিলাম বেশ কতক্ষণ, পরে দেখি মাতজা ব্যাথা নাই, একদম ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে! 😍 কী দারুণ ব্যাপার!
ওদিকে বারান্দায় গিয়ে দেখি আরেক আনন্দের ব্যাপার! কদিন আগে একটি টবে কয়েকটি অপরাজিতার বীজ লাগিয়েছিলাম। আজ দেখি সবগুলোই মাথাচারা দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বৃষ্টির জল পেয়ে! একদম বীজ থেকে চারা গজানোর ব্যাপারটা আমি ভীষণ ইঞ্জয় করি। ঠিক তখন ই চটপট কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। আসলে আমার মনে হয়, জীবন তো এইসব ছোটখাটো আনন্দের মুহূর্ত এর ই সমষ্টি! তবে বেশির ভাগ মানুষ ই এসব ছোটখাটো মুহুর্ত গুলোকে পাত্তাই দেয় না, নজর ই দেয় না। বেশিরভাগ মানুষ ই খালি যা নাই, তার পেছনে ছুটতে থাকে একের পর এক। অথচ জীবনে যা আছে, তা উপভোগ করাই কিন্তু জীবনের আনন্দ! আপনারা কি বলেন?
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
যারা এই ছোট খাটো নিয়ে খুশি থাকতে পারেন,তারাই জীবনে সুখী।না পাওয়া কোন কিছুর জন্য কেবলই আমরা আমাদের এই সুন্দর জীবনটাকে নস্ট করে ফেলি।ফলে আসুখী জীবন যাপন করি।ছোট খাটো যা কিছু আছে তা নিয়ে সুখি থাকার চেস্টা করাই উত্তম।
সেইটাই আপু। আমরা সবসময় কি নেই সেটা নিয়ে দু:শ্চিন্তা করে জীবন কাটিয়ে দেই। কি আছে, সেটা নিয়েও সুখী থাকতে পারলেও জীবন কিন্তু সুন্দর হয়।আপনার দারুণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
জীবনে উপভোগের জন্য কিছুটা শখের কাজ হাতের কাছে রাখা উচিত। তা না হলে খুব একঘেঁয়েমিতে পেয়ে বসে, যা সবসময়ের জন্য ঠিক নয়। এক কাপ চা বা কফিতে সকাল শুরু হলে, তা যদি পরিপূর্ণভাবে নতুন দিন শুরু করতে অনুপ্রেরণা জোগায় তাহলে তা ভালোই হয়।
যদিও বৃষ্টিবিঘ্নিত সময়ে অনেক কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়, বাইরে বের হওয়া দুর্বিষহ হয়ে পড়ে যখন জলাবদ্ধতার টান বেড়ে চলেছে৷ তারপরেও বারান্দায় আপনার টবে লাগানো অঙ্কুর বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য পেযয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যি আপু মাথা ব্যাথা একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার। এটা যখন আমার হয় সৌহ্যের সীমা থাকে না। নতুন টবে গাছের চারা অঙ্কুরিত হতে দেখলে সত্যি বেশ দারুণ লাগে। কী চমৎকার। এই ছোট ছোট মূহূর্তগুলো সত্যি বেশ আনন্দ দিয়ে থাকে আমাদের জীবনে।
সত্যি আপু মাথা ব্যাথা একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার। এটা যখন আমার হয় সৌহ্যের সীমা থাকে না। নতুন টবে গাছের চারা অঙ্কুরিত হতে দেখলে সত্যি বেশ দারুণ লাগে। কী চমৎকার। এই ছোট ছোট মূহূর্তগুলো সত্যি বেশ আনন্দ দিয়ে থাকে আমাদের জীবনে।
মাথা ব্যাথা যার আছে, সেই বুঝে ভাই কী যন্ত্রণা! আপনার জন্যও দোয়া ও শুভকামনা রইলো ভাই।
আসলেই ঠিক বলেছ আমরা জীবনে যা পাই না তাকে ঘিরেই আমাদের যত কল্পনা জল্পনা।কিন্তু জীবনে যতটুকু সুখ আছে ততটুকু কে আমরা ঠিকমত উপলব্ধি করতে পারিনা।ছোট ছোট জিনিসের মাঝেই তুমি তোমার জীবনের সুখ খুঁজে পাও বিষয়টি দেখে অনেক ভালো লাগলো।তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
তোমার দারুণ সুন্দর মতামত পেয়ে ভালো লাগলো দিদিভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকেও।
লেখাটি ভালো লাগলো। অপরাজিতার বীজ যে মাথা ছাড়া দিয়ে জেগে উঠলো সেটি ভীষণ ভালো খবর। তবে বৃষ্টিতে কোন কাজকর্মই ভালো লাগেনা একথা সর্বৈব সত্য। শুধু ঢাকা নয়, কলকাতাতেও একটু বৃষ্টি হলেই সব জায়গায় জলমগ্ন হয়ে যায়। আসলে যেকোনো পুরনো শহরেই নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা আছে। আর সেই সব সমস্যা নিয়েই আমাদের দিন চলতে হয়। ভালো থাকবেন এবং আরো লিখবেন।