দিদিভাই এর সাথে মিরপুর হোপ মার্কেটে ঘুরোঘুরি...
||আজ ১০ জানুয়ারি, ২০২৪|| রোজ: বুধবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,শুরুতেই সকলকে জানাই আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আপনারা অনেকেই জানেন যে বেশ কিছুদিন আগে আমার দিদিভাই @bristychaki ঢাকায় আমাদের বাসায় এসেছিলেন। এ নিয়ে কিছুদিন আগেই আমি একটা পোস্ট করেছিলাম। তো আজ দিদিভাই এর সাথেই কাটানো কিছু মুহুর্তের কথা আপনাদের সকলের সাথেই শেয়ার করবো।
ঢাকার মিরপুরে যারা থাকেন, কিংবা যারা ফেসবুক/ইউটিউবে শপিং রিলেটেড ভ্লগ/ব্লগ গুলো দেখে থাকেন, তারা সকলেই " মিরপুর হোপ মার্কেট " বেশ ভালো করেই চিনে থাকবেন। অন্তত নাম তো শুনেই থাকবেন! আমি যদিও ছোটবেলা থেকেই ঢাকায়, তবে এই হোপ মার্কেট এমন খ্যাতি পাবার পর ওখানে একদিনও যাওয়া হয় নি আমার। ওদিকে দিদিভাইও নাকি গোবিন্দগঞ্জ থেকেই বেশ কয়েকজনের কাছে শুনেছে এই হোপ মার্কেট এর কথা! কথায় কথায় আমি বললাম, আমি তো ঢাকায় থেকেও ওখানে যাই নি, আর তুমি এতদূর থেকে শুনে এসেছো সেই মার্কেট এর কথা! তো দিদিভাই ও আগ্রহ দেখালো যে একবার গিয়ে ঘুরে আসলে কেমন হয়! তো একদিন বিকেলে দিদিভাইসহ বের হলাম আমি। উদ্দেশ্য -মিরপুর হোপ মার্কেট!
বিকেলের আগে আগেই ওখানে পৌঁছে যাই। যেহেতু ছোট দিনের বেলা আর ঢাকায় রাস্তায় সময়ও লাগে অনেক! তো তখনো গিয়েই আমরা বেশ ভীড় দেখতে পাই। আসলে হোপ মার্কেট বলতে বেশ অনেকখানি জায়গা জুড়ে ভ্যানে এবং রাস্তার দুই ধারে হরেক রকমের জিনিসের মেলা নিয়ে ছোট ছোট দোকান ভরা! সেখানে জুতা থেকে শুরু করে কানের দুল, সাজুগুজুর জিনিসপত্র, হরেকরকম লেইস আইটেম, ইনার আইটেম, ওরনা-হিজাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ এর দোকান ছিলো! শীতকাল বলে শীতের পোশাকের দোকান ই ছিলো বেশি। সাথে আবার নরমাল জামাকাপড় এবং জিন্সের দোকানও ছিলো! তবে ওখানে অসুবিধা হচ্ছে যে বেশ ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে পছন্দ করে কিনতে হয় ভীড়ের মাঝেই। যেহেতু আগেই বলেছি প্রচুর ভীড় ছিলো ওখানে।
আমরা অবশ্য খুব বেশি কিছু ওখান থেকে কিনতে পারি নি। একে তো ভীড়, তাই খুব বেশি সময় নিয়ে দেখতে পারছিলাম না। তার উপর অনেক বেশি জিনিস দেখলে সেখান থেকে পছন্দ করাটাও একটা বিষয়! যেন তখন আর কিছুই পছন্দ হয় না!! তো টুকটাক কিছু কিনে আমরা আবার রওনা দিয়ে দেই। তারপরে অবশ্য আমরা সংসদ ভবনের সামনে গিয়েছিলাম। সে গল্প না হয় আরেকদিন করবো! আজ এপর্যন্তই থাকলো। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সেই শুভকামনা রইলো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
হায়রে হায় দু বোন মিলে দেখি আমার প্রিয় জায়গায় ঘুরে ফিরে কিনা কাটা করে নিয়ে আসলেন। আগে জানলে আমিও আপনাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেতাম। অবশ্য মিরপুরের হোপ মার্কেটে সারা জীবনের ভিড় আর গাদাগাদি থাকে। আর এর মধ্যেই কেনাকাটা করতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর মূহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভীড়ের জন্য তেমন আরাম করে দেখতে পারি নি আপু। পরের বার গেলে অবশ্যই আপনাকে সাথে নিয়ে নিবো 😁
ছোটখাটো করে এই হোপ মার্কেট এর একটা বর্ণনাও পেয়ে গেলাম দিদি ব্লগটি পড়ে। কোনো কিছু কিনতে গিয়ে অনেক বেশি জিনিস দেখে ফেললে, সেই জিনিস কিনতে বেশ অসুবিধা হয়ে যায়। যখন অনেক অপশন চলে আসে তখন সিলেক্ট করা সত্যিই মুশকিল হয়ে যায়। যাইহোক, আপনি আপনার দিদিভাই এর সাথে হোপ মার্কেটে গিয়ে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন যা বুঝতে পারলাম। এসব জায়গায় মার্কেটিং করতে গেলে অনেকটা ঘোরাঘুরি করতে হয় আর ঘোরাঘুরি করলে দেখে শুনে ভালো জিনিস কেনা যায়।
জি ভাই। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। একদম অনেক অপশন দেখলে আমার ভীষণ হিজিবিজি লাগে। তখন আর কিছুই পছন্দ হয় না।
দিদি, এই ব্যাপারটা আমার সাথে অনলাইনেও কোনো জিনিস কেনার ক্ষেত্রে হয়। কিছু কিনতে গিয়ে অনেক কিছু দেখে ফেললে চয়েস করতে অনেক অসুবিধা হয়ে যায়।
আমি নিজেও অবশ্য এই মার্কেটের নাম কখনো শুনি নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই আজ প্রথম শুনলাম। আসলে মিরপুর ২ থেকে ১০ পর্যন্ত পুরোটাই তো এমন দোকান পাটে ভরা, আমার কাছে তাই সব মার্কেটই হোপ মার্কেট। হিহিহিহি। আর এই জায়গায় এতো ভিড় থাকে যে দেখেশুনে শান্তি মত কিছু কেনার উপায় থাকে না একদমই। আপনাদের অভিজ্ঞতার গল্প শুনে বেশ ভালো লাগলো দিদি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
মিরপুর ১০ থেকে শুরু করে পানির ট্যাংকির জায়গা টুকু হোপ মার্কেট নামে পরিচিত। আর আসলেই কী ভীড়! উফফ! এর মাঝে যারা দেখে শুনে কিনতে পারে, তারা অবশ্য জিতেও!