প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি।

আজ ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪। আজ থেকে ঠিক ৩৫ বছর আগে, ২৬ শে জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে অগ্নীকে সাক্ষী রেখে দুই দুই চার হাতের মিলন হয়েছিলো আমার বাবা-মায়ের। সেই তখন থেকে একসাথে পথচলার শুরু, আজ ৩৬ বছরের পা দিলো। আজ এই বিশেষ দিনে, আপনাদের কাছে আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইল। 🙏🙏

বাবা- মা যে কোন সন্তানের জীবনেই শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যে কোন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হোক না কেন, সব ধর্মেই একই কথা বলা হয়েছে, বাবা- মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেস্ত / স্বর্গ বা সর্বসুখ! যার মাথার উপর থেকে বাবা- মা নামক ছায়াটা সরে গেছে, তারাই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি ভীষণ লাকি, আমার বাবা- মা এখনো সুস্থ আছেন। এই বয়সে এসে, ছেলে মেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করে, এখন তারা নিজেদের শখ পূরণ করছেন। যে বাবা-মা কে কখনো নিজেদের শখের পেছনে অর্থ খরচ করতে দেখি নি ছোট বেলায়, এখন তারা দেশ - বিদেশে ছুটছেন একসাথে। এটা দেখার চেয়ে একজন সন্তান হিসেবে গর্বের আর কি হতে পারে!

বাবা-মা কে দেখেই শিখেছি সম্পর্ক কাকে বলে! ভালোবাসা কাকে বলে! একজন রেগে গেলে কি করে অন্যজন তা সামলে নেন। কিংবা সবসময়ই যে অন্যজনকেই সামলে নিতে হবে, এমনটাও তো নয়! বাবা-মায়ের থেকেই শিখেছি, কম থাকলেও সৎপথে থাকা ভালো, এতে ঈশ্বরের আশির্বাদ থাকে। এখনো অনেক কিছুই শিখছি।

আমি বরাবর ই পরিবারকে প্রাধান্য দেয়া মানুষ। আমার কাছের মানুষ, আমার পরিবারকে নিয়ে বলতে গেলে যেন কিছুই গুছিয়ে বলতে বা প্রকাশ করতে পারি না। আজকের এই পোস্ট টিও যেন এলোমেলোই হলো অনেকটা। কোথা থেকে শুরু করে কোথায় শেষ করছি, কয়বার মুছছি, নিজেও জানি না। তবে মূলকথা এই যে, আজকের দিনটা আমার জন্য ভীষণ স্পেশাল। ভীষণ ভীষণ স্পেশাল। আজকের এই বিশেষ দিনে আপনাদের কাছেও আমার বাবা-মা এর জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইল। আমার বাবা মা যেন আরো অনেকগুলো বছর একসাথে সুস্থতার সাথে কাটাতে পারে। সুখ ও সমৃদ্ধির সাথেই যেন বাকি পথটুকু একসাথে চলতে পারে, নিজেদের অপূর্ণ শখ গুলো এভাবেই একসাথে পূরণ করতে পারে। ঈশ্বরের আশির্বাদ যেন তাদের উপর সর্বদাই থাকে। 🙏🙏