তিতিরের মা... ( ১ম পর্ব)
তিতিরের মা মিসেস রুমা আক্তার। সেই ছোট্ট বেলায় তিতিরের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে নিজে খেটে একমাত্র মেয়ে তিতিরকে বেশ ভালোভাবেই বড় করেছেন তিনি৷ মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন। তিতির বেশ ভালো একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে মোটামুটি বেতনের চাকরি করে, যাতে মা-মেয়ের বেশ ভালোভাবেই কেটে যায় দিন। শুধু একটিই সমস্যা, তিতিরের মা অন্যের ব্যাপারে একটু বেশি নাকউঁচু স্বভাবের৷ অন্য কারোর ভালো যেন মিসেস রুমা আক্তারের ঠিক হজম হয় না। অন্যের ব্যাপারে যতক্ষণ না পর্যন্ত মনমতো খুঁত বের করতে পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি হয় না যেন তার!
নিজের মায়ের এমন স্বভাবের কথা বেশ ভালোভাবেই জানে তিতির। এটি নিয়ে সে বেশ চিন্তিত থাকে সবসময়ই। অবশ্য এটাও তিতির বোঝে যে বাবা মারা যাওয়ার পর বেশ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মা একা তাকে বড় করেছেন। অনেক কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে তিনি দীর্ঘকাল লড়াই করেছেন। সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে বুঝ দিতেই হয়তো তার এমন স্বভাবের সূত্রপাত। এখন প্রতিকূল পরিস্থিতি আর তেমনভাবে না থাকলেও মায়ের সেই স্বভাব রয়ে গেছে। এক দিক থেকে ভালো হয়েছে, মায়ের এমন স্বভাবের কারণে, কোন পাত্রই তিতিরের জন্য মায়ের ঠিক পছন্দ হয় না। কোন না কোন খুঁত মা ঠিক বের করে আর একের পর এক সম্বন্ধ বাতিল হতে থাকে! একমাত্র মেয়েকে তো আর যার-তার হাতে তুলে দিবেন না... তিতিরের জন্য এই বিষয়ে যেন শাপে-বর হয়েছে।
তবে তিতির টেনশনে পরে গেলো, যখন তার অফিসের বস তাকে ডেকে তার ছেলের জন্য তিতিরকে বউ হিসেবে পছন্দের কথা জানান। তিতির বেশ শ্রদ্ধা করে তার অফিসের বসকে। উনি আসলেই যেন আক্ষরিক অর্থেই একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক, যাকে আসলে শ্রদ্ধা না করে পারা যায় না। উনি যদি তিতিরের মায়ের কাছে কোন ভাবে অসম্মানিত হয়, সেই ভয়ে তিতির আগেভাগেই বসকে তার মায়ের স্বভাবের কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়। তিতিরের বস সব শুনে বেশ হাসলেন অনেকক্ষণ... হাসি থামিয়ে তারপর বললেন তাহলে তো বেশ ভালো, আমার ছেলের সাথে জমবে ভালো... শুনে তিতির বেশ অবাক ই হলো। সাথে সেই ছেলের সম্পর্কে কিছুটা আগ্রহও তৈরি হলো তিতিরের। তবে সরাসরি বসকে কিছু জিজ্ঞেস করতে বেশ অস্বস্তি হওয়ায় কথা খুব বেশি আগালো না সেদিন....
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
</ div>
চলবে...
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে এখন ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে হাজির হলাম একটি গল্প নিয়ে। যা ইতিমধ্যে আপনারা পড়ে ফেলেছেন৷ পরবর্তী পর্ব আশা করছি খুব দ্রুতই শেয়ার করবো। ১ম পর্ব কেমন লাগলো আপনাদের সেটা জানাবেন অবশ্যই।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
গল্পের প্রথমে ভেবেছিলাম গল্পটা হয়তো বাস্তব কোন জীবন কাহিনী নিয়ে চলছে কিন্তু শেষের দিকে এসে দেখি আবার রোমান্টিক মোড় নিয়েছে যাই হোক পরবর্তী পর্বে আরো মজা উপভোগ করবো।
ধন্যবাদ ভাই। আশা করি দ্রুতই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো
তিতিরের মা অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে তিতিরের বাবা মারা যাওয়ার পর, তিতিরকে বড় করেছে এবং মানুষের মত মানুষ করেছে। কিন্তু তার মায়ের এরকম একটা স্বভাবের কথা শুনে অন্যরকম লাগলো আমার কাছেই। তার মায়ের কিন্তু বেশ খারাপ একটা স্বভাব আছে তাহলে। আমার তো মনে হচ্ছে তিতিরের বসের ছেলের কোন খুঁত তিনি ধরতে পারবেনা যতই খুঁজুক না কেন। এই গল্পের পরবর্তীতে কি হতে চলেছে এটা দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম। এর পরবর্তী পর্বটা আশা করছি শীঘ্রই সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন আপনি।
হা হা হা! এটাই ভাই! গল্প-নাটক এ নায়কের এন্ট্রি নিলে নিশ্চিত যে এবার কিছু একটা চেঞ্জ হবে... এখন দেখাই যাক পরবর্তীতে কী হয়৷ কোনদিকে গল্পের মোড় আগায়।
তিতিরের মা ছোটবেলা থেকেই তিতির কে অনেক কষ্টে এবং অনেক ঝড় ঝাপটার মাঝে বড় করেছে। আর তিতিরের বিয়ের সম্বন্ধ আসলে দেখছি, তিতিরের মা অনেক খুঁত ধরতো ছেলের। আর শেষ পর্যায়ে দেখলাম তিতিরের বস তিতির কে নিজের ছেলের বউ হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এখন তার মায়ের সাথে কথা বললেই দেখা যাবে কি হয়। মনে হয় না বসের ছেলের কোন খুঁত ধরতে পারবে। কারণ বসকে যেহেতু সব কিছু বলেছে, বস অনেক হাসাহাসি করেছিল বিষয়টা শুনে। এখন দেখা যাক কি হয়।
দেখাই যাক কী হয় পরবর্তীতে..
আসলে তিতিরের মা দীর্ঘ সময় একা একা থাকার কারণে হয়তো অনেকটা এরকম হয়ে গিয়েছে। এখন বিপদে পড়ে গেল তিতির। একে তো অফিসের বসের ছেলে তারপরে তার মা যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে বসে। ভালো করেছে অবশ্য বসকে আগে থেকে জানিয়ে দিয়ে। এখন তো আবার দেখছি বসের ছেলেও মায়ের মত। বেশ ভালো লাগলো গল্পটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পুরো গল্পটি পড়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। 😍 আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।