আর্ট পোষ্ট : বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্য
|| আজ ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ || রোজ: মঙ্গলবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি যদিও এখনো পর্যন্ত খুব বেশি ভালো নেই৷ টানা অসুস্থতায় বেশ বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছি। আসলে সুস্থতা যে কতবড় নিয়ামত, সুস্থ থাকলে আমরা তেমন টের পাই না। অসুস্থ হলে, তখন মনে হয়। আজ সকাল থেকেই মাথা বেশ ঝিম ধরে আছে৷ এখনো একই অবস্থা। রাতে ভাবলাম কিছু একটা আর্ট করি। তাহলে হয়তো সময়টাও ভালো যাবে আর মনটাও একটু রিফ্রেশ হবে। যেই ভাবা সেই কাজ।
আমার আসলে বেশ অনেকদিন থেকেই একটা বুকমার্ক তৈরি করার ইচ্ছে ছিলো। করা হচ্ছিলো না। তো আজকে সন্ধ্যায় একটি আগরবাতির প্যাকেট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, ওটি ফেলতে গিয়েও ফেলতে মন চাইলো না। ভাবলাম ওটাতেই কিছু একটা আর্ট করে বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করবো। তাই রাতে ওইটা নিয়েই বসে পড়লাম।
উপকরণ :
- সাদা শক্ত কাগজ ( আমি আগরবাতির প্যাকেট ব্যবহার করেছি)
- পোষ্টার রঙ
- তুলি
প্রস্তুত প্রক্রিয়া :
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে আমি আগরবাতির প্যাকেট টি আমার মাপমত কেটে তার উপর একটি সূর্য এঁকে নিয়েছি পেন্সিলের সাহায্যে।
ধাপ-২ |
---|
এবারে পোষ্টার রঙের সাহায্যে আমি কাগজের উপরের এবং নিচের অংশটা লাল রঙের করে নিবো। আমরা সকলেই জানি যে সূর্যাস্তের সময়ে আকাশ বিভিন্ন রঙে সাজে। বেশ অদ্ভুত সুন্দর লাগে সে সময়ে দেখতে আকাশটাকে।
ধাপ-৩ |
---|
এখন হলুদ রঙ এর পোষ্টার রঙ দিয়ে আমি মাঝের অংশটি হলুদ রঙ করে নিয়েছি এবং চেষ্টা করেছি হলুদ রঙ লাল রঙের সাথে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে ।
ধাপ-৪ |
---|
এখন আমি প্রথমে পেন্সিলের সাহায্যে কয়েকটি বাঁশ এঁকে নিয়েছি৷ তারপর কালো রঙ এর সাহায্যে আমি বেশ কতগুলো পাতাসহ বাঁশ গাছ এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৫ |
---|
এবারে আমি পড়ন্ত সূর্য টা হালকা হলুদ রঙ করে এঁকে নিয়েছি। সবার শেষে নিজের নাম সাইন করে দিয়ে আমার আজকের আর্ট সম্পন্ন করেছি । সবার শেষে আমি সেই আগরবাতির প্যাকেটটির অপর পাশ এর সাথেও আমার আর্টের ছবি শেয়ার করেছি। আর্টটি করে আসলে আমার মন কিছুটা উৎফুল্ল হয়েছে!
ফাইনাল আউটলুক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি পেইন্টিং শেয়ার করেছেন। আপনার এই পেইন্টিং আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বাঁশবাগানের খুব সুন্দর পেইন্টিং শেয়ার করেছেন। পেইন্টিং এর কালার কম্বিনেশন অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটা ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর পেইন্টিং শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসা নিবেন।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্য সেই দৃশ্যটি খুব সুন্দর করে অঙ্কন করে দেখালেন। আসলে যারা অংকন করতে পারে যে কোন দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। যেমনটা আপনি আজকে খুব সুন্দর করে পড়ন্ত সূর্যের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। খুবই সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের দক্ষতা মূলক কাজ গুলো দেখলে নিজেও শিখতে পারা যায় অনেক ভালো লাগলো।
আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
এধরনের চমৎকার দৃশ্য গুলো এক মাত্র গ্রামেই দেখা যায়। বাশ এর মাথার উপরে পড়ন্ত সূর্য দেখতে জাস্ট অসাধারন লাগতেছে আপু। অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। গ্রামেই একমাত্র এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে ঘুরে আসায় হয়তো এই দৃশ্য টি মাথায় গেথে রয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্যের আর্ট তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে যে কোন জিনিস রং তুলি দিয়ে তৈরি করলে দেখতে এমনিতেই বেশ ভালো লাগে। আমার কাছে দেখতে আপনার পোস্ট বেশ অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার গঠনমূলক আলোচনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। 🙏
সুস্থতা আমাদের জন্য অনেক বড় নিয়ামত। সেটা অসুস্থ হলেই আমরা বুঝতে পারি। আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্য এর আর্টটি অসাধারণ হয়েছে আপু। দৃশ্যটি আপনি খুব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনার দোয়ার জন্য শুকরিয়া আপু 😍
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আমি প্রথমে যখন আপনার পোস্টের টাইটেল পড়ছিলাম তখন ছোটবেলার একটি কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। খুব সুন্দরভাবে আপনি আজকের এই আর্ট তৈরি করেছেন এবং যেভাবে বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্যের আর্টটি তৈরি করেছেন তার মাধ্যমে আপনার আর্ট করার প্রতিভাকেও খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।
ক্যাপশনটা লেখার সময় আমার মাথাতেও ওই লাইনটাই ঘুরছিলো ভাই 😂😂 তাই ওটাই দিলাম৷ শুধু চাঁদ কেন থাকবে! পড়ন্ত সূর্যেরও তো থাকতে ইচ্ছে হতে পারে 🤣🤣।
এতদিন শুনেছি বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই রকম একটা কবিতার লাইন। কিন্তু আজকে আপনার আর্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম বাঁশ বাগানের মাথার উপর সূর্য। খুবই সুন্দর একটি আর্ট করেছেন। আর্ট করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই আর্ট টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ক্যাপশন দেয়ার সময় আমারো ওই লাইনটাই মাথায় ঘুরছিলো আপু৷ তবে ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালারের জন্য তো চাঁদ বলে চালিয়ে দেয়া গেলো না 😂
প্রথমে দিদি আপনার সুস্থতা কামনা। আসলে সুস্থতা হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া বড় একটা নেয়ামত। আর এটা আমরা সুস্থ থাকলে সত্যি বুঝতে পারিনা। বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্যের অনেক সুন্দর একটা আর্ট করেছেন আপনি। আপনার অংকন করা এই পেইন্টিংটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আগরবাতির প্যাকেট ব্যবহার করে আপনি এই পেইন্টিং করেছেন জেনে ভালো লাগলো। কালারটা কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে। আপনার এত সুন্দর দক্ষতা মূলক কাজ দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
আপনার থেকে এমন দারুণ একটি মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। অনুপ্রেরণা পেলাম।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর পড়ন্ত সূর্যের অনেক সুন্দর একটি দৃশ্য আর্ট করেছেন দেখতে অসাধারন লাগছে। এধরনের দৃশ্য সুন্দর দেখতে সবসময় অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে বাঁশবাগানের আর সূর্যের আর্ট ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ। 😍