রংপুরের বিখ্যাত পুষ্টির মিষ্টি
|| আজ ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ || রোজ: শনিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আমি @tithyrani আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে সুস্থ আছি।
কিছুদিন আগেই শেয়ার করেছিলাম যে আমি বাবা মায়ের সাথে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। গতকাল আবারো চলে এসেছি ঢাকায়। যদিও আমার আরো কিছুদিন পরে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল, অনেকটা হুট করেই ইমার্জেন্সি তে ঢাকায় ব্যাক করতে হয়েছে। আবারো সেই আগের রুটিনের জীবনে ফিরে আসা! যদিও মনটা এখনো বেশ খারাপ। আরো অনেককিছুই প্ল্যান ছিলো, ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু এভাবে হুট করে চলে আসায় সেগুলো পূরণ করা হলো না এবার। ওদিকে আমার মায়েরও মন খারাপ, এটা রান্না করা হয় নি, ওটা রান্না করা হয় নি- এসব কারণে।
যাই হোক, ওসব কথা বাদ দেই। আজকে আপনাদের সাথে মূলত আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি রংপুরের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান সম্পর্কে। সকল জায়গায় ই স্থানীয় কিছু বিখ্যাত দোকান থাকে। রংপুরে মিষ্টির জন্য কয়েকটি বিখ্যাত দোকান রয়েছে। তবে আমার কাছে ১ নম্বর লাগে " পুষ্টি" র মিষ্টি। রংপুরে গেলে পুষ্টির মিষ্টি খাওয়া হবেই আমার।এবারো বাবার সাথে গিয়েছিলাম মিষ্টি কিনতে। এই দোকানটায় যেন সবসময় ভীড় লেগেই থাকে! ভিড়ের ঠ্যালায় ঠিকঠাক ভাবে ছবিও তুলার সুযোগ পাই নি। তবুও যে কয়টি ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার ছবি তোলা পঁচা হইতে পারে, তবে মিষ্টির স্বাদ একদম ১০০ তে ১০০!!
আমরা ইলিশ পেটি আর গুড়ের সন্দেশ কিনেছিলাম। সাথে অবশ্য পাটিশাপটা পিঠেও কিনার ইচ্ছে ছিলো। মায়ের কাছে শুনেছি যে ওদের পাটিশাপটা পিঠেও বেশ মজার খেতে। তবে আমরা সন্ধ্যার দিকে গিয়ে পাটিশাপটা পিঠে টা আর পাই নি, তার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো! তাই কি আর করার, শুধু মিষ্টি কিনেই ফিরলাম বাসায়। আর ওদের পাটিশাপটা পিঠে খাওয়ার ইচ্ছে এবছরের জন্য এখানেই অপূর্ণ রয়ে গেলো!
আজ এপর্যন্তই থাকলো। সামনে আবারও অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আমার আবার মিষ্টি দেখলেই জিভে জল এসে যায় হি হি হি। অনেক সুস্বাদু মিষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো আপনি শেয়ার করলেন। নিশ্চিত বলতে পারি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। কারণ মিষ্টির কালার গুলো দারুন ছিল। যাক আপনি ইমার্জেন্সি কাজের জন্য ঢাকাতে আবার ফিরে আসলেন। শুনে খুবই খারাপ লাগলো গ্রামে আরো ঘোরাফেরা বাকি থেকে গেছে আপনার। তবে মিষ্টি খাওয়াটাই দারুন ছিল।
এটি বেশ বলেছেন আপু। মিষ্টি খাওয়াটাই দারুণ ছিলো! 😋
না না, আপনার ছবিগুলো পঁচা হয়নি 😄
রিতিমত লোভনীয় দেখাচ্ছে, মিষ্টির প্রতিটি ছবি। আর আপনি যে চমৎকার বর্ননা দিয়েছেন মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে দু চার কেজি মিষ্টি কিনে নিয়ে আসি। যাইহোক ইচ্ছেটা ভিতরে পুষে রাখলাম।
তবে আরো কদিন আন্টিকে সময় দিলে হয়তো বাড়িতে থাকার আনন্দটা আর একটু বেড়ে যেতো।
হা হা হা! 😂😂😂 ভাই, গুড়ের সন্দেশ টার তো ছবিই তুলতে পারি নি! কী যে মজার ওটা, 😋😋🫢🫢
মা-বাবার সাথে আপনি রংপুর গিয়েছেন জেনেছিলাম।বেশ কিছুদিন থাকতে চাইলেও থাকা হলো না।হুট করেই ঢাকায় চলে এলেন।মায়েদের মনে কতো কি যে খাওয়ার ইচ্ছে হয়,তা আর বলতে।মায়েদের অবস্থা দেখলে মনে হয় আমরা বরের বাড়িতে অভুক্ত হয়ে থাকি।😉 যাই হোক আপনার এলাকার এই পুস্টি নামের দোকানটি মিষ্টির জন্য বেশ।আপনি ১০০ তে ১০০ দিলেন নাম্বার।তবে তো খেতে ভীষণ স্বাদের ই। আপনি লোকের কারনে ফটোগ্রাফি ও ভালো মতো তুলতে পারলেন না।তারপরেও যা তুলেছেন চমৎকার লাগলো মিষ্টি গুলো দেখে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে চমৎকার ভাবে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই রংপুরের বিখ্যাত পুষ্টি মিষ্টির পর্ব দেখে সকালবেলা মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে মিষ্টি গুলা খেতে কতটা মজা হবে হ্যাঁ আমার তো ইলিশ পেটি মিষ্টি টা দেখে বেশি খেতে ইচ্ছে করছে।
'ইলিশ পেটি' মিষ্টি টা একদমই প্যারা সন্দেশ এর স্বাদ। আমি তো এক বসায় একটা ইলিশ পেটি খেতেই পারি না কড়া মিষ্টির কারণে! তবে ভীষণ মজারও বটে! একটু একটু করে অনেক দিন খাওয়া যায়।
প্রথম কথা হল আমি মিষ্টি অসম্ভব পরিমাণ ভালোবাসি খেতে। তাই আজকে আপনার এই পোস্টটা দেখে জিভে একটু বেশিই জল চলে আসলো দিদি। রংপুরের এই পুষ্টির মিষ্টির কথা আমিও শুনেছি। তবে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি এখনো। এরপর যখন আবার বাড়িতে যাবেন তখন আমার জন্য এক প্যাকেট নিয়ে বগুড়ার শেরপুরে দিয়ে যাবেন কেমন, 😉। আমি এখন থেকেই রাস্তায় দাড়িয়ে গেলাম। 😅
হা হা হা! 😂😂 আহারে! এই অবস্থা তাহলে! ওকে ডান! আমি না হল ইলিশ পেটি নিয়ে আপনার জন্য দাঁড়ালাম, বিনিময়ে তো আপনিও বগুড়ার দই নিয়েই দাঁড়িয়ে থাকবেন!
বিনিময় প্রথাকে এখানে কে নেমতন্ন দিল শুনি!!! 😅,, এগুলো কিন্তু একদম ঠিক না। আগে নিজের পেট, বাকিদের পরের ডেট 😉