নাটক রিভিউ : হয় নি বলা কোনো কথা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি নাটক রিভিউ পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আপনারা পোষ্টটি পড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন।
তো চলুন, শুরুতেই এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই আগে....
ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | হয় নি বলা কোনো কথা |
---|---|
রচনা : | অনামিকা মন্ডল |
পরিচালনা : | কে এম সোহাগ রানা |
সহকারী পরিচালনা : | মেহেদী হাসান |
অভিনয়ে: | তাওসীফ মাহবুব, সাদিয়া আয়মান, মিলি বাশার , আযম খান সহ আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ৪৪:০২ মিনিট |
ধরণ: | রোমান্টিক |
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখবো, আমাদের নায়ক এবং নায়িকাকে ছাদে কথা বলছে। আসলে নায়ক বিয়ের জন্য নায়িকাকে দেখতে গিয়েছে। নায়ক অনেক আশা নিয়ে নায়িকার সাথে কথা বলতে যায়। তবে নায়িকা নায়ককে বলে যে তারপক্ষে এখন বিয়ে করা সম্ভব না। নায়ককে রিকুয়েষ্ট করে যেন নিচে গিয়ে বাসায় বাকিদের বলে যে মেয়ে তার পছন্দ হয় নি। নায়কও মর্মাহত হয়ে নিচে গিয়ে বাসার বাকিদের সেভাবেই বলে। কিন্তু নায়িকার আম্মু বুঝতে পারে যে ছেলে তার মেয়ের শেখানো কথাই বলেছে এবং খেতে বসে মেয়েকে বুঝায় যে ছেলেটা খুবই ভালো, বিশাল ব্যবসা দেখভাল করছে। কিন্তু নায়িকা এখনই বিয়ে করতে চায় না, আগে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়।
ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তো এভাবে চলতে পথে একদিন নায়িকা একটি চাকরির ভাইভা দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় হুট করে নায়কের সাথে দেখা হয়। এভাবে দুই-এক কথায় দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বোঝাপড়া গড়ে উঠে। এবং তাদের মাঝে সাঝে দেখা এবং মোবাইলে কথাবার্তা চলতে থাকে। এরই মাঝে একদিন হুট করে নায়কের বিজনেস পার্টনার নায়কের ব্যবসার সকল টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে নায়ক বেশ ভেঙে পড়ে। এমন সময়েও নায়িকা তার পাশে বেশ ভালো সাপোর্ট দেয়। কিন্তু যখন নায়িকার আম্মু জানতে পারে যে নায়কের বিশাল লস হয়ে গেছে ব্যবসার, যেটা পুলিশ কেস করেও ফেরত আসার সম্ভাবনা নাই, তখন নায়িকার আম্মু নায়িকাকে বেশ ভালো করে বলে দেয় যেন নায়কের সাথে আর কথাবার্তা না বলে এবং দেখাও না করে। কারণ তার কোন ভবিষ্যৎ নেই। নায়িকার আম্মু নায়কের সাথেও যথেষ্ট বাজে ব্যবহার করে বলে দেয় যেন তার মেয়ের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখে।
ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
এরই মাঝে নায়িকার আম্মু জোর করে নায়িকার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে তার কাজিনের সাথে নায়িকার বিয়ে ঠিক করে ফেলে এবং বিয়েও হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে সেদিন সন্ধ্যায় ই নায়ক তাদের বাসায় এসে নায়িকার আম্মুকে জানায় যে তার ব্যবসার ৮০% লসের টাকা পুলিশ সেই বিজনেস পার্টনার এর থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে। এবং বাকিটাও উদ্ধার হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। নায়িকার আম্মু তখন নায়কের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে যে তার মেয়ের বিয়ে আজকেই হয়ে গিয়েছে। সে এখন তার শশুড়বাড়ি। এই শুনে নায়ক বেশ ভেঙে পড়ে। এবং এখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকের যে বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে তা হলো নাটকটি আসলেই যেন অনেক প্রেমিক প্রেমিকার কাহিনী! । যখন একটি ছেলের কাছে টাকা-পয়সা থাকে, তখন সে সবার পছন্দের পাত্র। কিন্তু কোন কারণে যদি বিপদ আসে, তখন আসলে বোঝা যায় যে কে সুসময়ের অতিথি আর কে মন থেকেই পাশে থাকতে চায়। মানুষের জীবনে টাকা-পয়সা বেশ বড় ভূমিকা রাখে।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আসলে সবাই টাকা-পয়সা চিনে। যে ছেলেটার টাকা রয়েছে তাকে সবাই চায়। যদি সেই ছেলেটার কোন বিপদ হয় তাহলে দেখা যায়, সবাই তার থেকে দূরে সরে যায়। কারণ তারা টাকার জন্যই এসেছিল ছেলেটার কাছে। এই নাটকটার মধ্যে এই বিষয়টা অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী রিভিউর মাধ্যমে পড়ে তো, আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। আমি সময় পেলে এই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব।
হ্যাঁ আপু মানুষের জীবনে টাকা পয়সাটাই সব। বর্তমানে যার টাকা আছে তার মূল্য আছে আর যার নেই তাকে কেউ মনেও রাখে না। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটক দেখা হয়নি তবে বুঝতে পারছি একদম বাস্তধর্মী গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
গল্পের কাহিনীটা আসলেই বেশ বাস্তবধর্মী। একারণেই ভালো লেগেছে।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকের মধ্যে প্রেম কাহিনীর ঘটনাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে অসময়ে যে মানুষ পাশে থাকে সেই হলো প্রকৃত বন্ধু বা প্রকৃত মনের মানুষ। দেখে আমাদের বাস্তব জীবনে দারুন একটি শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবো।
হ্যা নাটকে মেয়েটির খারাপ সময়ে ছেলেটা যেমন হেল্প করেছে। তেমনি, ছেলেটার খারাপ সময়েও মেয়েটি তাকে মানসিকভাবে অনেক হেল্প করেছিলো। কিন্তু তাও পরিস্থিতির কাছে অসহায় হয়ে করুণ পরিণতি হয়।
বুঝা যাচেছ যে টেষ্ট ভালো। কারন আমার ভালো লাগা নাটকটি যার ভালো লাগে সে তো মানুষ মন্দ নয়। নাটকটি আমিও দেখিছিলাম। আমার তো মিলি বাসার এর উপর মেজাজ গরম হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে ঠাস করে টিভির গ্লাস ভেঙ্গে মিলি বাসার কে কতগুলে কথা শুনিয়ে দিয়ে আসি। লোভী,লোভী মহিলা। যাক এত উত্তেজিত হয়ে কাজ নেই। দারুন রিভিউ করেছেন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ এই নাটক এর রিভিউ আপনার কাছ থেকে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে অবশ্যই সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷ সাদিয়া আয়মান এর নাটক আমি কখনোই না দেখে থাকতে পারিনা। তাই এই নাটকটি আমি অবশ্যই দেখে নিব৷
প্রতিটা নাটকের মধ্যে বাস্তবিক বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বর্তমানে সময় তাই হয়েছে । যখন মানুষের কাছে টাকা পয়সা থাকে তখন তার মূল্য থাকে আর যখন টাকা পয়সা থাকে না তখন সে মূল্যহীন হয়ে যায়। টাকাই পৃথিবীর সব কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা এই নাটকের মূল বিষয় ছিল। অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন আপু।
এটি একেবারে বাস্তব কথা আপু আপনার কাছে টাকা পয়সা থাকলে আপনার অনেক কদর হবে সব জায়গায়। কিন্তু যখনই আপনি বিপদে পড়বেন তখনই দেখা যাবে যে সেইসব লোকজন আগে দূরে চলে যাবে। নাটকটিতে খুব বাস্তবধর্মী বিষয় নিয়ে তৈরি করেছে। এরকম নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনিও খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।