ননদের সাথে প্রথমবারের মতোন ওয়াফেল ট্রায় করা..
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার বাসায় আপাতত আমার এক ননদ এসেছে। সে ঢাকাতেই থাকে, ঢাকা ভার্সিটির রানিং স্টুডেন্ট। তাই হলেই থাকে। নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের যেহেতু ছুটি রয়েছে আর ওরও নিরাপত্তার জন্য ওকে আপাতত আমাদের বাসায় এসে থাকতে বলেছি। সেও খুশিমনে চলে এসেছে। তো শুক্রবার ই সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় এলো। ভাবলাম ওকে নিয়ে বের হই একটু আশেপাশে। ইচ্ছে ছিলো পিঠা খাবো। তবে পিঠার দোকান যেটা বেশি ভালো, সেই দোকানটা ছিলো না সেদিন। তাই কি আর করা, অন্যকিছু ট্রায় করার কথা ভাবলাম। কথায় কথায় শেয়ার করলাম, যে আমার এখনো পর্যন্ত ওয়াফেল জিনিসটা ট্রায় করা হয় নি। আমাদের মোহাম্মদপুর এই অনেকগুলো ওয়াফেল এর দোকান রয়েছে। কিন্তু কখনো কেন জানি একা একা ওয়াফেল খেতে ইচ্ছে হয় নি৷ তো আমার ননদ ও বললো সেও কখনো ওয়াফেল খায় নি। তাই দুজনে মিলে ঠিক করলাম, দুজনের কারোরই যেহেতু খাওয়া হয় নি আগে, আজকে একসাথেই খেয়ে দেখি কেমন!
যেই ভাবা সেই কাজ। আমাদের মোহাম্মদপুর এই বেশ কয়েকটি ওয়াফেল এর দোকান রয়েছে। তার মধ্যে সার্চ দিয়ে দেখলাম " Waffle Time" নামের দোকানটাই হাইপড বেশি। গুগোল ম্যাপের সাহায্যে কিছু রিভিউ ও দেখে নিলাম। ওখানেই খাবো বলে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি ওটা মোটামুটি সাইজের দোকান। তবে ভীড়ের কমতি নেই। প্রতিটা সিটই ফিল আপ। বেশিরভাগ ই হয়তো ভার্সিটির স্টূডেন্ট ই, তবে বাচ্চাদের নিয়ে পরিবার সহও এসেছেন অনেকে। এই ব্যাপারটা আমার বেশ ভালো লাগে।কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরে কোণায় দুইটা সীট ফাঁকা হলে আমরা দুজন বসে পড়ি। কিছুক্ষণ পরে অর্ডার ও দেই। তবে দুজন মিলে একটাই রেড ভেলভেট ফ্লেভারের ওয়াফেল অর্ডার দেই, যেহেতু দুইজনেরই প্রথম ট্রায় করা, কেমন লাগবে, আর আমার কলিগের থেকে শুনেছিলাম যে একজন ওয়াফেল একজন খেলে মুখ অনেক বেশি মিস্টি হয়ে যায়। তাই ভাবলাম একটাই অর্ডার দেই প্রথমে পরে ভালোলাগলে আবারো অর্ডার দিবো।
অর্ডার দেয়ার ৫-৭ মিনিটের মাঝেই আমাদের খাবার রেডি হয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে কি, ওয়াফেল জিনিসটা আমাদের কাছে তেমন প্রাইস ওর্দি বনে হয় নি। মানে, আছে কিন্তু প্রাইস অনুযায়ী ওভার হাইপড লেগেছে। আসলেই দুজন দুইটা ফ্লেভারের নিলে বোধ হয় শেষ করতে বেগ পেতে হতো।যাই হোক, নতুন একটা খারাব ট্রায় তো করা হলো। এবং আমি শিওর, যে প্রথমবার ট্রায় করেছি, ওকে, কিন্তু পরবর্তীতে আর কখনো হয়তো ট্রায় করার ইচ্ছে করবে না আমার। আর ব্যাক্তিগত রেটিং ৫/১০। তবে ওদের ভীড় দেখে মনে হয়েছে রেগুলার কাস্টমারই অনেক। এবং ডেকোরেশন ও মোটামুটি।
তো এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।