প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।

আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার এবছরের পবিত্র মহাশিবরাত্রী ব্রত উপলক্ষে মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে দুধ-দই-ঘি-মধু দিয়ে স্নান করানোর অনুভূতি প্রকাশ করবো। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য কিছু তিথি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং বিশেষ পবিত্র। শিবরাত্রি তিথিও এর মধ্যে অন্যতম। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে এই মহা শিবরাত্রি পালন করা হয়।

আজকে গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর এ অবস্থিত বাঁশবাড়িয়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে। ভগবানের কৃপায় যেহেতু সুস্থ আছি, তাই একদম নির্জলা উপোস করে দুপুরের দিকে রওনা দিয়েছি আমি আর আমার বরমশাই। আজ বরমশাই এর ছুটির দিন থাকায় দুজনে একসাথে যেতে পেরেছি। এই মন্দিরে আগে আমাদের শিবচতুর্দশীতে যাওয়া হয় নি। আগে হয় বাসায় নয়তো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাওয়া হয়েছিলো। যেহেতু আমার কাছে বেলপাতা ছিলো না, আর শিব চতুর্দশী তে বেলপাতা প্রয়োজন তাই ভাবলাম মন্দিরে গেলে ওখানে নিশ্চয়ই পেয়ে যাবো বেলপাতা। মন্দিরে পৌঁছে গেটের সামনেই দেখি বেশ কয়েকটি দোকান বসেছে মোমবাতি, আগরবাতি, ফুল, বেলপাতার। ওখান থেকে আমরা আকন্দ ফুল এবং বেলপাতা কিনে মন্দিরে প্রবেশ করি। ভেতরে গিয়ে দেখি অনেক মানুষের সমাগম। সকলেই পবিত্র শিব চতুর্দশী উপলক্ষে এসেছেন। যেখানে শিবলিঙ্গ, সেখানে বিশাল লাইন। আমিও বেশ অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সিরিয়াল পেলাম। একমনে প্রার্থনা করে শিবলিঙ্গে দুধ-দই-ঘি-মধু দিয়ে একবারে স্নান করালাম।

এরপরে পুরো মন্দিরটি ঘুরে দেখলাম। এটি অবশ্য খুব বড় কোন মন্দির না। তবে অনেক দেবদেবীর নিত্য পূজা-অর্চনা করা হয় এখানে৷ আমি প্রণাম করে বেশ কতক্ষণ ছিলাম মন্দির প্রাঙ্গনে। তবে যেহেতু আমার ব্রত ভঙ্গ করার দেরি আছে তাই আর প্রসাদ নেই নি বা চরণামৃত ও নেই নি। আরো কিছুক্ষণ থেকে তারপর আবার বাসায় চলে এসেছি। এই সন্ধ্যা বেলায় চতুর্দশী তিথি ছেড়ে গেলে তারপর জল গ্রহণ করলাম।