ডাই পোস্ট : পলিমার ক্লে দিয়ে ময়ূর
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আশা করবো পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং পোস্ট টি ভালো বা খারাপ যেমনই লাগুক, তা আপনাদের মূল্যবান মতামত এর মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।
পলিমার ক্লে দিয়ে ময়ূর তৈরি :
আমি পলিমার ক্লে দিয়ে নতুন নতুন কাজ করার চেষ্টা করছি। এটি পলিমার ক্লে দিয়ে করা আমার ৩য় কাজ । এর আগে পলিমার ক্লে দিয়ে সাই-ফক্স এবং একটি কিউট বাচ্চা হাতি বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। পলিমার ক্লে দিয়ে তৈরি করা এই প্রজেক্ট গুলো বেশ সাবধানতার সাথে করতে হয়। একটু ভুলভাবে চাপ পরে গেলেই আর আগের অবস্থায় আনা যায় না। ফলে পুরো কাজটাই নষ্ট হয়ে যায়। তবুও আমি আমার ভালো লাগার জায়গা থেকে ৩ বারের চেষ্টায় আজকের এই প্রজেক্ট টি ঠিকঠাক ভাবে শেষ করতে পেরেছি। আশা করছি আজকের পোষ্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো, আপনারা আপনাদের মতামত জানাবেন।
উপকরণ :
- বিভিন্ন রঙের পলিমার ক্লে
- শক্ত কাগজ
- ব্লাক & ব্লু সাইন পেন
প্রস্তুত প্রক্রিয়া :
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে আমি রাউন্ড কাগজে পেন্সিলের সাহায্যে ময়ূরের অবয়ব এঁকে নিবো।
ধাপ-২ |
---|
এবারে নীল রঙের কিছুটা পলিমার ক্লে নিয়ে ছোট ছোট গোল দানা করে হাতের সাহায্যে বডির অংশ বানানো শুরু করেছি...
ধাপ-৩ |
---|
এবারে একই পদ্ধতিতে স্তরে স্তরে বডির অংশটুকু ভরাট করে নিবো। এবং গলা এবং মুখটিও ব্লু কালারের ক্লে দিয়ে সম্পুর্ণ করে নিবো।
ধাপ-৪ |
---|
এই পর্যায়ে ময়ূরের পেখমের অংশটুকু একই ভাবে স্তরে স্তরে বিভিন্ন রঙ এর ক্লে দিয়ে ভরাট করে নিবো।
ধাপ-৫ |
---|
এবারে হাতে অল্প একটু ক্লে নিয়ে একটি বো এর আকৃতি করে নিবো । বো এর মাঝের অংশে একটি লাভ শেপ এড করে সেটি ময়ূরের বডি এবং পেখমের মাঝের গ্যাপে বসিয়ে দিবো। এবং ময়ুরের চোখ একে নিবো।
ধাপ-৬ |
---|
এবারে আরেকটু বেশি ডিটেইলস এড করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড এ কয়েকটি পাতা দিয়ে নিবো। আর ময়ূরের এবং রাউন্ডের চারপাশে ব্লু পেন দিয়ে বর্ডার দিয়ে আমার প্রজেক্ট সম্পন্ন করবো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
ফাইনাল আউটলুক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
এরকম ইউনিক পোস্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।দিদি পলিমার ক্লে দিয়ে ময়ূর পাখি তৈরি করেছেন দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ধন্যবাদ ভাই। এমন উৎসাহ মূলক একটা কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার কষ্টের স্বার্থকতা।
পলিমার ক্লে দিয়ে খুবই চমৎকার একটা ময়ূর তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমি নতুন ধরনের একটা জিনিস শিখতে পারলাম। এমন সুন্দর ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও এই পলিমার ক্লে সম্পর্কে আইডিয়া পেয়েছিলাম এই কমিউনিটি থেকেই। এভাবেই তো পারস্পরিক জ্ঞানের আদান-প্রদান হয়। আমরা তো এভাবেই একে অন্যকে দেখে শিখি।
এই ক্লেগুলো দিয়ে খেলতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বাচ্চাদের সঙ্গে যখন নিয়ে বসি তখন কখন যে সময় চলে যায় বুঝতেই পারি না। তাছাড়া এই ক্লে দিয়ে কোন কিছু বানানো বেশ কষ্টকর। ঠিকই বলেছেন এদিক সেদিক চাপ লাগলে এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার আজকের ময়ূরটি খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে কালারফুল ক্লে ব্যবহার করার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে।
ক্লে দিয়ে কোন প্রজেক্ট ঠিকভাবে করাটা বেশ কষ্টকর। তবে বানানো শেষ করলে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার ভালো লেগেছে, জেনে খুশি হলাম আপু। আপনাকে ধন্যবাদ এমন গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যদিও এর আগে আপনি পলিমার ক্লে দিয়ে দুটো ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন সে দুটো হয়তোবা আমার তেমন একটা দেখা হয়নি। সত্যি বলতে আজকের এই পলিমার ক্লে দিয়ে ময়ূর তৈরির দৃশ্যটা দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দারুণভাবে আপনি এটা তৈরি করেছেন বিশেষ করে বিভিন্ন রংয়ের পলিমার ক্লে ব্যবহার করার কারণে এটি আরো বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা পলিমার ক্লে গুলো বিভিন্ন রঙের হয় বলে রঙের বৈচিত্র্য আনা যায় কাজে। এভাবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জীবন ভাই।
দারুন লাগতেছে। আপনি দারুন দক্ষতায় পলিমার ক্লে দিয়ে ময়ূর তৈরি করেছেন। এই কাজটির জন্য আপনি প্রশংসার দাবিদার। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার এই কাজটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম ভাই। এতেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক। ধন্যবাদ ভাই
অসাধারণ একটি ডাই তৈরি করেছেন। এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক ধৈর্য সহকারে এটি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। আর হ্যা, যে কোনো ডাই পোস্টের জন্য ধৈর্য তো লাগেই। আর এইটা আমি ৩ বারের প্রচেষ্টায় সফল হয়েছি । আপনাকে ধন্যবাদ আপু এভাবে সাপোর্ট করার জন্য।
আপনি তো দেখছি পলিমার ক্লে দিয়ে সুন্দর সুন্দর ডাই পোস্ট শেয়ার করেন। আজকের তৈরি করা ময়ূরের ডাই প্রজেক্ট আমার দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে আপনি ধাপ গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরলেন। আমার দেখতে অসাধারণ ভালো লেগেছে আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শুভ কামনা রইল।
আমার তৈরি করা ময়ূরটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ৩ বারের চেষ্টায় এই প্রজেক্ট টি শেষ করতে পেরেছি।
লাজুক খ্যাক টা না দেখলেই বাচ্চা হাতিটা দেখেছিলাম। বেশ দারুণ তৈরি করেছিলেন। পলিমার ক্লে দিয়ে আজকে ময়ূরটাও বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন কিন্তু আপু। ময়ূরটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। এবং এটা একেবারে অন্যধরনের একটা কাজ ছিল। ব্যতিক্রমধর্মি কিছু সবসময় ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আমার আগের কাজও আপনার মনে আছে জেনেও বেশ ভালো লাগলো। আমি চেষ্টা করি ভাই নতুন নতুন জিনিস শিখতে।
পলিমার ক্লে গুলো যেহেতু বিভিন্ন রঙের হয়, তাই সেগুলো দিয়ে যেকোনো কিছু তৈরি করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আজকে দেখছি পলিমার ক্লে দিয়ে তৈরি আপনার তৃতীয় উপস্থাপনা এটি। অনেক সুন্দর হয়েছে ময়ূরটি দেখতে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ এভাবে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য।