বাংলা নাটক রিভিউ : অনন্যা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি বাংলা নাটক : অনন্যা এর রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
মূল রিভিউ এ যাওয়ার আগে এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দেখে নেই:-
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | অনন্যা |
---|---|
পরিচালনা : | মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ |
রচনা : | জাহান সুলতানা ও জাকারিয়া নাওয়াজ |
প্রোযোজক : | মো. কামরুজ্জামান |
অভিনয়ে: | মেহেজাবিন ,শাশ্বতা দত্ত ,ডলি জোহর, আজম খান, এবি রোকন, প্রীতি, আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
মুক্তির তারিখ : | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ |
দৈর্ঘ্য : | ৫২ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |
আজকের এই নাটকটির কাহিনী আমি সেভাবে বলবো না। ইচ্ছে করেই বলবো না, কারণ আমি চাই সবাই এই নাটকটি পুরোপুরি দেখুক। এই নাটকটির যে ম্যাসেজ, সেটা সবার কাছেই পৌঁছানো প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। এটি আসলে কোন সাধারণ একটি নাটক না। এটি অনেক অনেক মেয়ের জীবন কাহিনী। এটি অনেক অনেক মেয়ের স্বপ্ন এবং স্বপ্নের পথের প্রতিবন্ধকতার কাহিনী।
আমাদের দেশের যে সকল ওয়ার্কিং মম কাজ করেন, তারাই জানেন, শুধুমাত্র তারাই জানেন তারা কতটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে তারপর তাদের কাজ বা ক্যারিয়ার এর দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। আমাদের নাটকের মূল চরিত্র অনন্যাও একজন নতুন মা, যিনি তার মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে
কাজে জয়েন করার আগেই চিন্তা করেন যে বাবুকে কীভাবে কে দেখে শুনে রাখবে! অফিসে গিয়েও তার সহকর্মীদের থেকে শুনতে হয় কটুক্তি যে মেয়েদের অনেক সুবিধা, কজা যে চাইলেই বছর বছর কয়েক মাস ছুটিতে থেকেও বসে বসে মাইনের টাকা পাওয়া যায়!অফিসের এসব কটুক্তি, ওদিকে বাসায় বাচ্চাটার চিন্তা এভানে অফিস টাইমের পরে বাসায় ফিরেও নিত্যকার কাজ এ একচুল এদিক ওদিক হওয়ার সুযোগ নেই!
দেরি করে অফিস গেলে তো আছেই, সাথে ছোট বাচ্চা সহও যদি কাজে যায়, তাহলেও সেই মায়ের নামে অভিযোগের শেষ নেই অফিসে। অথচ অফিসে বাচ্চার দেখভালের জন্য কোন ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাও নেই। উলটো কাজের অতিরিক্ত প্রেশার। বসের মুখের মিষ্টি কথা- " তোমাকে সুপার ওমেন হতে হবে" একজন নতুন মা যে কিনা নিজের জন্যই কোন রেস্ট পায় না, এমন কি রাতের ঘুমটুকুও তার পূর্ণতা পায় না! এত গুলো ব্যারিয়ার পার করে, এতজনের কটুক্তি মেনে নিয়ে তাকে সুপার ওমেন হতে হবে৷ তার শরীর খারাপ হলেও যেন তাকে হেল্প করার জন্য পাশে কেউ নেই! এমন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মায়েরাই সন্তান ও ক্যারিয়ারের দোটানায় পরে সন্তানকে বেছে নেন এবং চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু তাতেই কি পরিস্থিতি সেই মায়ের পক্ষে থাকে? নাকি তখন শুরু হয় আরো নতুন অধ্যায়, নতুন মোড়, নতুন সত্য সামনে এসে দাঁড়ায়......
বাকিটুকু জানতে হলে দেখতে হবে নাটকটি....
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০
ইউটিউব লিংক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। কয়েকদিন আগে নাটকটি দেখেছিলাম। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একটা মায়ের যে আসলে কতটা কষ্ট সেটা সহজে মানুষ বুঝতে চায় না তার পাশের মানুষগুলো যদি বুঝতো এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে এত কষ্ট আসলে কখনোই থাকে না। তবে নাটকের শেষের দৃশ্যটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একজন মা মানে ফুলটাইম জব। যেখানে কোন ছুটি নেই, কোন আরাম নেই। একজন নতুন মায়ের পাশে আমাদের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে দাড়াঁনো উচিত যেটা আমরা আদতেও করি না। নাটকটি এই বিষয় টি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।
এই নাটকটি আমি অনেক আগেই দেখে নিয়েছি৷ খুব সুন্দর হয়েছিল এই নাটক৷ আজকে আপনি যেভাবে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন এখানে সবগুলো বিষয়ে আপনি খুবই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ মেহজাবিন প্রথম দিকে তার মেয়েকে নিয়ে চাকরি করতে পারত না এবং তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো৷ তাই সে বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা স্থান গড়ে তুলে যাতে করে তাদের মায়েরা চাকরি করতে পারে৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷
তিন দিন আগেই নাটক টা দেখেছি।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং সেইসাথে দুঃখও লেগেছে।একটা মা কে কেউ বোঝে না তার মনের কষ্ট গুলো যদি কেউ বুঝতো তাহলে হয়তো অন্যন্যা কে এতো কষ্ট সহ্য করতে হতো না।এরকম শিক্ষনীয় নাটক গুলো দেখে আমাদের সমাজের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।পুরো নাটক টি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছো তা দেখে অনেকেই বুঝতে পারবে নাটকের মূল কাহিনি টা কি!সবমিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ মনা।
সেইটাই দিদিভাই। একজন মায়ের পাশে যদি আশেপাশের মানুষ গুলো দাঁড়ায়, একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে মায়েদের কষ্টগুলো কিছুটা হলেও কম হয়। সেটা না করে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো সব সময় নতুন মায়ের খুঁত ধরতে ব্যস্ত। বাবু কান্না করছে কেন, বাবু অসুস্থ হলো কেন, বাবুর শরীর বাড়ে না কেন হাজারটা অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে করে ফেলে। কেউ জানতেও চায় না মা এর রাতে ঘুম হয় কিনা, মা যথেষ্ট রেস্ট পায় কিনা!
অনন্যা নাটকটার রিভিউ জাস্ট অসাধারণ লাগিয়েছে আমার কাছে। মেহজাবিন চৌধুরীর এই নাটকটা কিন্তু অসম্ভব দারুন ছিল। তাকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়েছে এটার জন্য। এই নাটকটার মধ্যে কিন্তু সত্যি অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। তাই আমি ভাবতেছি এই নাটকটা আমি দেখব। আশা করছি এই নাটকটার রিভিউর মত নাটকটা দেখতেও অনেক বেশি ভালো লাগবে। এত সুন্দর করে পুরো নাটকের রিভিউ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমি চাই নাটকটি আপনি পরিবারের সকলকে নিয়েই দেখুন। আশা করছি ভালো লাগবে। হাস্যরস নেই, তবে শিক্ষণীয়। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।