মজাদার লাউ পাতার ভর্তা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমার ভীষণ পছন্দের একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করবো। এই ভর্তাটি বেশ উপকরণের ঝামেলা ছাড়া, সিম্পল কিন্তু খেতে ভীষণ সুস্বাদু! যারা খেয়েছেন আগে, তারা সকলেই আশা করি আমার সাথে একমত হবেন। গরম গরম ভাতের সাথে এই একপদ ভর্তা থাকলে অনায়াসে দুই প্লেট ভাত খেয়ে ফেলা সম্ভব! যাই হোক, বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোস্টে চলে যাই। আশা করছি আমার পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।
উপকরণ সমূহঃ | পরিমাণ |
---|---|
লাউ শাকের কচি পাতা | পরিমাণ মতো |
রসুন | বড় রসুনের ৪-৫ কোয়া |
কাচামরিচ | ঝাল অনুযায়ী |
লবণ | স্বাদ অনুযায়ী |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
কালো জিরা | ১ চা চামচ |
এখানে ছবিতে আমাদের দুই জনের জন্য আমি যতটুকু পরিমাণ নিয়েছি, তা দেখানো হলো। শাক এর পাতা নেয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে এই পাতা কিন্তু জল ছেড়ে পরিমাণ কমে যায়। এবং অবশ্যই শুধুমাত্র কচি পাতা গুলো নিতে হবে।
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে শাকের পাতা গুলো বেশ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ঝল ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপর একটা প্যানে লবণ দিয়ে পাতা গুলো ভাপিয়ে নিতে হবে। এসময় এক্সট্রা করে পানি দেয়ার কোন প্রয়োজন হয় না। কারণ লবণ দেয়ার ফলে শাকের পাতা থেকে যে পানি বের হয়, কচি পাতা বলে তা দিয়েই পাতাগুলো সেদ্ধ হয়ে যায়। শাকের জল শুকিয়ে নিয়ে আমি একটা পাত্রে শাকগুলো তুলে নিয়েছি।
ধাপ-২ :
এবারে একটি পাত্রে ১ চামচ মতোন কালো জিরা ভেজে নিবো। শুকনো খোলায় ভাজা যেটাকে বলে। কালোজিরা কিন্তু বেশ তাড়াতাড়িই ভাজা হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিবো।
ধাপ-৩ :
এবারে সেই পাত্রেই কিছুটা তেল সরিষার দিয়ে নিবো। তেলে কাচা মরিচ আর রসুন দিয়ে ভালো করে ভেজে নিবো। কম আচে ভালো করে ভেজে নেয়া হলে একটা পাত্রে তুলে নিবো।
ধাপ-৪ :
এবারে সবগুলো উপকরণ একসাথে বেটে নেয়ার পালা । আমি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।তবে পাটায় বেটে নিলে তো আরো ভালো হয়।
ধাপ-৫ :
ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এবারে সরিষার তেল এবং প্রয়োজনে আরেকটু লবণ যোগ করে ভালোভাবে মেখে পরিবেশন করবো।
পরিবেশনঃ
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
গরম গরম ভাতের সাথে যে কোন ভর্তা রেসিপি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর যদি এমন লাউ পাতার ভর্তা রেসিপি খাওয়া যায় তাহলে সত্যিই অনায়াসে দুই প্লেট ভাত সাবার করে ফেলা যায়। দিদি আপনার তৈরি লাউ পাতার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। লাউ পাতার ভর্তা রেসিপি আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি। তবে কখনো কালোজিরা মিক্সড করে খাওয়া হয়নি। তাই মনে হচ্ছে আপনার তৈরি লাউ পাতার ভর্তা রেসিপির স্বাদ কিছুটা ভিন্ন হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি, খুবই মুখরোচক ও মজার ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে লাউ শাকের পাতা এবং কালোজিরা কম্বিনেশনটা বেশ মজাদার লাগে। একদিন এভাবে করে দেখতে পারেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লাউ পাতা ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দ। আমিও এই রেসিপিটি করি।তবে আমি কালো জিরা দিয়ে করিনা।কালো জিরা ভর্তা ও আমার খুবই পছন্দ। তবে আমি তা আলাদা করি।এই ভর্তা রেসিপিটি দারুন স্বাদের।আপনার বানানো ভর্তা রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে এখন দিদি,হিহিহি।চিন্তা নেই কাল ই রেসিপিটি করে খেয়ে নেবো।ঘরে লাউ শাক আছে। ধন্যবাদ পছন্দের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
লাউপাতা আর কালো জিরার কম্বিনেশন টা আমার বেশ ভালো লাগে আপু। কাল করলে জানাবেন যে কেমন লাগলো আপনার। আর ঝাল ঝাল করে করবেন আপু, তাহলে বেশি মজা!
লাউ শাকের পাতা বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি আপু। আপনার লাউ শাকের ভর্তা রেসিপি পরিবেশন টা দারুন হয়েছে। পরে একটি পাতার মাঝখানে পর্দাটা রেখেছেন ওপারে একটি মরিচ দিয়ে বেশ ভালো লাগছে দেখতে। তাছাড়া ভর্তা টাও বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু। এভাবে একদিন করে দেখবেন। ঝাল ঝাল করে এই ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দের।
ইস্ কি দারুন একটি ভর্তা। পাশেই তো আমার অফিস দিদি। আমায় একটু কষ্ট করে ডাকলে কি হতো বলেন তো। আমি তো একটু খেয়ে আসতে পারতাম। দারুন হয়েছে। যেমন সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি। তেমন সুন্দর হয়েছে উপস্থাপনাও। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দারুণ লাগে আপু খেতে। এভাবে না খেয়ে থাকলে একদিন বাসায় করে দেখবেন। আর এজন্যই তো কথায় আছে, মক্কার মানুষ হজ্জ পায় না 🙊
লাউ এবং শাক খেতে যেমন মজা লাগে। ঠিক তেমনি মজাদার লাউ পাতার ভর্তা খেতে মজাদার লাগে। অনেক দিন খাওয়া হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করবো। আপনার পরিবেশন ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারও দেখি আমার মতোন অবস্থা! লাউ প্রিয় মানুষ!
ঠিক কথা বলেছেন অনায়াসে দুই প্লেট ভাত খাওয়া সম্ভব। আপনি মজাদার লাউ পাতার ভর্তা রেসিপি সম্পূর্ণ করেছেন। এগুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং রেসিপি গুলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যা, এমন রেসিপি গুলো স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী, এটি আপনি সঠিক বলেছেন। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ্ ! বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি ৷ লাউ পাতার ভর্তা খেয়েছি সম্ভবত একবার , তবে অনেক আগে ৷ ভীষণ ভালো লেগেছে আমার ৷ আজ আপনার এই রেসিপি দেখে লাউ পাতার ভর্তার প্রতি লোভ লেগে গেলো ৷ খুব শীঘ্রই আরো একবার তৈরি করে খেতে হবে ৷ যাই হোক , আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , এমন মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ নীরব ভাই। এভাবে যদি তৈরি করে খান, অবশ্যই জানাবেন আপনার কাছে সেটা কেমন লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এই ভর্তা দিয়ে গরম ভাত এক প্লেট খাওয়া যায়। আমার তো খুব পছন্দ লাউ পাতা রেসিপি। এবার গ্ৰামে গিয়ে মায়ের হাতের ভর্তা খেয়ে এসেছি খুবই সুস্বাদু ছিল। আপনার এমন মজাদার ভর্তা দেখে তো আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মজার কথা হচ্ছে, আসলে এই লাউ পাতা গুলোও আমি আমার শ্বশুর বাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছি, আমাদের বাড়ির লাউ গাছের।
লাউশক ভর্তা খেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আমি খুবই পছন্দ করি। ছোটবেলা পরীক্ষা দিতে যাব সেদিন সকালে মা লাউ শাক ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াতেন। আসলে গ্রাম অঞ্চলে একটা প্রচলিত কথা রয়েছে লাউ শাক ভর্তা দিয়ে ভাত খেলে নাকি পরীক্ষা ভালো হয় আসলে পরবর্তীতে জানতে পারলাম লাল শাক দিয়ে খেলে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং পরীক্ষাতে মন ঠিক থাকে। যার কারণে এই লাউ শাক ভর্তা রেসিপি খাওয়া হয়। তাই আপনার রেসিপি অনেক ভালো লেগেছে দেখে।
আরে বাহ! কমেন্টটি পড়ে নতুন কিছু শিখলাম, জানলাম। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য.।