শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সকলকে আমার নমষ্কার/আদাব 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে বেশ কয়েকদিন পরে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কেন বেশ কয়েকদিন পরে, সেই কারণটিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী দিনের বেলার অনেকটা হুট করেই ডিসিশন হয় যে এবারের সরস্বতী পুজো গ্রামে আমার শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে করবো। আমার দেবর নিজে এবারের পুজোর সম্পূর্ণ ভার নিয়েছে। উপলক্ষ- দেবরের মেয়ের হাতেখড়ি হবে এই সরস্বতী পুজোতে৷ আমাদের শ্বশুড়বাড়িতে এর আগে আমার কালীপুজোতে থাকা হয়েছে, দূর্গা পুজোতে তো প্রতিবারই থেকেছি তবে কখনো শ্বশুড়বাড়িতে সরস্বতী পুজোতে থাকা হয় নি৷ আর এবারের পুজোটা যেহেতু একটু স্পেশাল, তাই বর মশাই অফিসে তিন দিনের ছুটি চেয়েছিলো। সেই ছুটির পারমিশন পেয়ে যাওয়ায় ১২ তারিখ দিনে ঠিক হয় যে আমরা রাতের গাড়িতেই রওনা দিচ্ছি।
সে অনুযায়ী সব গোছগাছ করে আমরা রাতে রওনা দিয়ে দেই। পরের দিন ভোর সোয়া ৫ টার পর পর আমারা বাস থেকে নামি। বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোতে প্রায় ৫০ মিনিটের মতো লাগে আমাদের শ্বশুড়বাড়িতে যেতে। প্রায় ৬ টার দিকে আমরা শ্বশুড়বাড়ির গেটে নামি। তখনো সূর্য মামার দেখা নাই। যেন ঘুটঘুটে আঁধার। অটোর লাইটে বেশ দারুণ লাগছিলো। তাই আমি কিছু ছবি তুলে নেই।
ভালোয় ভালোয় তো শ্বশুড়বাড়িতে এলাম, কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো দিনের বেলা। সকালের নাস্তা পর্ব শেষ করে ফ্রি হয়ে যখন মোবাইল হাতে নিলাম, দেখি ইন্টারনেট কাজ করে না! কাজ করে না মানে একেবারে কিছুই লোড হয় না! অথচ বাড়ি আসার আগে আগে আমি ডাটা প্যাকেজ কিনে নিয়েছিলাম। কোনভাবেই আমার ইন্টারনেট সংযোগ হচ্ছিলো না দেখে আমার হাসবেন্ড কে বিষয় টি জানালাম। সেও দেখলো সব সেটিংস তো ঠিকঠাক ই আছে। তারও মোবাইলে ডাটা কানেকশন এর একই অবস্থা। পরে লোকাল ছেলে দের সাথে কথা বলে বুঝলো ইদানীং কালে ওই এরিয়ায় আমাদের যে সীম কোম্পানি, জিপি, এর ডাটা কানেকশন একদমই কাজ করে না। এই নিয়ে কমপ্লেইন ও জানানো হয়েছে, তারপরেও কোন উন্নতি নাই। মানে ৪জি তো দূরের কথা, ২জি ও কানেকশন পায় না৷ অথচ আমার তো একটি মাত্র সীমই! অন্য কোন কোম্পানির কোন সীম তো আমি ব্যবহার ও করি না৷ তো অগত্যা পুরো ৩ দিন একেবারেই ইন্টারনেট কানেকশন এর বাহিরে ছিলাম। গ্রামীণ পরিবেশ এ কোন সোশ্যাল মিডিয়র সংযোগ ছাড়া বেশ ভালোই সময় কেটেছে। তবে স্টিমিট এর সকল বন্ধুদের ভীষণ মিস করেছি, স্বীকার করতেই হবে।
শ্বশুড়বাড়ি থেকে আবারো গতকাল সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি৷ তবে এবারে বিপত্তি বাঁধলো শরীরটাকে নিয়ে৷ কাল সকাল থেকেই বেশ জ্বর এসেছে। সাথে ভীষণ সর্দি, মাথা ব্যাথা এবং গায়ে ব্যাথা আছে৷ এখনো একই অবস্থা। কিছুই ভালো লাগছে না। তবুও ভাবলাম বেশ অনেকদিনই তো স্টিমিটে কোন আপডেট নেই, সার্বিক পরিস্থিতি আপনাদের সাথে কিছুটা শেয়ার করি। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন যেন জলদি সুস্থ হয়ে উঠে আবারো আগের মতো এক্টিভ হতে পারি। আপনারাও সকলে এই ওয়েদারে সাবধানে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সেই শুভকামনা রইলো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আসলে বাংলাদেশের এমন প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে এখনো ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি। যাইহোক শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। এখনকার সময়ে মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। যাইহোক সব কাজ সেরে আবারো ঢাকায় ফিরেছেন ভালোভাবে এটাই বড় বিষয়।
আশাকরি আবারো আপনার চমৎকার কাজগুলো দেখতে পাবো।
আসলেই বর্তমানে মোবাইল এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের উপর আমরা অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমার অবশ্য সময় বেশ ভালোই কেটেছে নেটওয়ার্ক এর বাইরে থেকেও।
আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে অনেকেই জ্বর,সর্দি-কাশিতে ভুগছেন।আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন দিদি, এই কামনা করছি।মোবাইল কোম্পানী গুলো শুধু টাকা কামানোর ধান্ধায় ব্যস্ত।গ্রামের অনেক এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক দুর্বল। কোন রকমে কথা বলা গেলেও নেটের অবস্থা যাচ্ছে-তাই। আমিও গ্রামে গেলে এই অবস্থার সম্মুখীন হই। এখন অবশ্য কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যাক, গ্রামে ভালই কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দোয়া করবেন প্লিজ আমার জন্য আপু৷ ঠান্ডা -জ্বরের পাশাপাশি গায়ে বেশ ব্যাথা আছে৷ শরীর সুস্থ না থাকলে তো আর কিছুতেই মন ভালো থাকে না।
শুরুতেই আপনার সুস্থতা কমনা করছি দিদি ৷ আপনি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও আগের মতো ফিরে আসুন এটাই কমনা করি ৷ যাই হোক , গ্রামীন পরিবেশ নেটওয়ার্কের প্রচুর ঝামেলা থাকে ৷ তবে মাঝে মাঝে আমাদের এখানেও ফোর-জি নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ৷ তখন আসলে কিছু বলার এবং করার থাকে না ৷ যাই হোক , নিশ্চয়ই সরস্বতী পুজোয় বেশ আনন্দ করেছেন শ্বশুর বাড়িতে ৷ সম্ভব হলে সরস্বতী পুজোয় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলোও আমাদের মাঝে শেয়ার করিয়েন দিদি ৷ অপেক্ষায় থাকলাম আপনার পুজোর আনন্দময় মুহূর্ত গুলো জানতে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ ভাই! অবশ্যই সেই আনন্দময় মুহূর্তগুলো শেয়ার করবো।
বর্তমান সময়ে এমনিতেই টাউনে ওয়াইফাই ছাড়া চলা যায় না। যেহেতু নেটওয়ার্ক অনেক বেশি সমস্যা করে। তো আপনি গ্রামে গেলেন এতে নেটওয়ার্কের সমস্যা কাজ করতে অনেক বেশি সমস্যা হবে। যাক অবশেষে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়ে আবার গন্তব্যস্থলে ফিরে আসলেন। আশা করি বেশ ভালোভাবে কাজ করবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
দোয়া করবেন আপু আমার জন্য৷ বাসায় এসেই ঠান্ডা- জ্বরে পরে গেছি! গা মাথা ভীষণ ব্যাথা 🤕