শুভ জন্মদিন, বর্ষা-মনি
|| আজ ২১শে ডিসেম্বর ২০২৩, রোজ - বৃহস্পতিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
গতকাল ছিলো ২০ ডিসেম্বর। আমার খুব খুব প্রিয় একজন মানুষের জন্মদিন। তাকে আপনারাও চেনেন। তিনি আর কেউ না, আমাদের সকলের প্রিয় @bristychaki এর বড় মেয়ে বর্ষা চাকী, যার গান আপনারা প্রতি বৃহস্পতিবার এর হ্যাং আউটে শুনে থাকেন।
আমার দেখা খুব কম সংখ্যক "ভালো মনের মানুষ" গুলোর মধ্যে বর্ষা একজন। মনের দিক থেকে নরম এবং উদার। এই এইটুকুন বয়সেই মানুষকে নিয়ে কী যে ভাবনা ওর মাঝে! কারোর দু:খ কষ্ট দেখলে ও কেঁদে দেয় এমন অবস্থা।ধরুন, রাস্তায় হয়তো ওর সামনে কেউ হাত পেতে কিছু চাইছে, কিন্তু ওর কাছে টাকা নেই। বর্ষা ওর টিফিনের ভাগ দিয়ে দিবে তাকে! কিংবা অসহায় কারোর কোন হেল্প লাগবে, সে নিজের জমানো টাকা থেকেই দিয়ে হেল্প করবে সেই মানুষটাকে। এগুলো বর্ষার জন্য খুব কমন বিষয়। মানুষের জন্য কিছু করার এই মেন্টালিটি এখন সাধারণত কোন মানুষের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না।
এ তো গেলো বাহিরের খবর। যার মন বাহিরের মানুষের জন্যই এমন কাঁদে, তার ঘরের মানুষের জন্য কী অবস্থা হয়, একবার চিন্তা করেই দেখুন। বর্ষা তার সমবয়সী অনেকের থেকেই অনেক বেশি ম্যাচিউর মানুষ বলে আমার বিশ্বাস। আমার দিদিভাই, মাঝেমাঝেই অসুস্থতায় ভোগে, তখন ঠিক মায়ের মতোই তার মাকে (দিদিভাইকে) এবং ছোট বোন অর্থীকে সামলে নেয় বর্ষা। অবশ্য ছোট বোন অর্থীও বেশ সমঝদার, এটাও মানতে হবে। দুই বোন মিলে তাদের মাকে যথাসাধ্য সেবা করে সেসকল দিনে।
উপরের ছবিদুইটি বেশ কয়েক বছর আগে বর্ষার এক জন্মদিনে আমাদের বাসায় তোলা, একদমই ঘরোয়া আয়োজন। দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, সেদিনের এইটুকুন মেয়েটা এভাবেই যেন দেখতে দেখতেই যেন বড় হয়ে যাচ্ছে! বর্ষার সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পড়াশুনার চাপ যাচ্ছে এই সময়ে কিছুটা। সবাই বর্ষার জন্য দোয়া করবেন। আর বর্ষার জন্মদিনে তার মাসিমনির পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা, শুভেচ্ছা এবং প্রাণভরা ভালোবাসা রইলো। দিনে দিনে আরও অনেক বড় হও। একজন ভালো মানুষ হয়ে সমাজ এবং দেশের কল্যাণে নিয়োজিত হও এটিই মাসিমনির কামনা।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
বর্ষার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে যে ভালো হবার ছোট বেলা থেকে ভালো হয়। সত্যি বর্ষা অনেক ইন্টেলিজেন্ট একটা বাচ্চা। প্রতি বৃহস্পতিবার ওর গান শোনে অনেক ভালো লাগে। দোয়া করি জীবনে অনেক বড় হও। ধন্যবাদ দিদি পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্ষার জন্য এমন দোয়া করবেন যেন অনেক বড় মাপের একজন মানুষ হয়ে সমাজ ও দেশের সেবা করতে পারে আপু।
বর্ষাকে নিয়ে তার মায়ের একটা পোস্ট পড়েছিলাম।সেখানে বর্ষার এই উদার মনের বিষয়ে জানতে পেরেছিলাম।আসলে ছোট থেকে যার মনে মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকে সে বড় হলে আরও বেশি করে মানুষকে নিয়ে ভাবে।বর্ষার জন্মদিনে তাকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
আসলেই, বর্ষা অনেক ছোট থেকেই ওর মন মানসিকতা সমবয়সী বাকিদের থেকে বেশ আলাদা। এমন টা যেন ভবিষ্যতেও থাকে, সেইটাই প্রার্থনা।
কাল আমরা অনেক মজা করেছি, আপনাদের অনেক মিস করেছি যদিও। আমার ছাত্রীকে নিয়ে অনেক ভাল লিখেছেন। ও অনেক ভাল কিছু করে বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করুক এই প্রার্থনা করি।
এই যে! দিলা তো মন টাকে উদাস করে! 😅
কাল অনেক মজা করেছো, এখন আবার বলার দরকার কী ছিলো! 🥹😥
বর্ষা আমাদের সকলের অনেক প্রিয়। বর্ষার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। ছবি গুলো পুরনো হলেও দারুন সব মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ছবি গুলো বেশ কয়েকবছর আগের আপু। তখন হয়তো ক্যামেরার কোয়ালিটি তেমন একটা ভালো ছিলো না, তবে আনন্দে ভরপুর ছিলো সেই সময়টা! 😇😇 তাই ছবিগুলোও যোগ করে দিলাম এই পোস্ট এর সাথে।
শুভ জন্মদিন ঐশী। আসলে ঐশী নামেই ডাকি বর্ষা নামে ডাকি নি কখনো।ঐশী সত্যি খুব সহজ সরল প্রকৃতির একটি মেয়ে।অন্যের কষ্টে ব্যাথিত হয়।অসহায় মানুষদের দেখে কষ্ট পায়।আশির্বাদ করি বড়ো হয়ে মানুষের মতো মানুষ হও পরের সুখে হাসো আর পরের দুঃখে কাদো। শুভকামনা রইলো।
আমরা তো ঐশীই ডাকি। কিন্তু এই কমিউনিটি তে তো বর্ষা নামেই পরিচিত ও। তাই বর্ষা নামেই লিখেছি আর কী!
আমার মেয়েরা বড় হয়ে কতটুকু শিক্ষিত হতে পারবে তা আমার জানা নেই। কিন্তু ওরা ভালো মানুষ হবে এটা আমি নিশ্চিত।আমি ভগবানের নিকট সর্বদাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এইজন্য যে ওদের মতো লক্ষ্মী দুটো মেয়ে আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন।আমি অসুস্থ হলে ওরা আমার এতটাই যত্ন করে যে তখন আমি ভুলে যাই আমার মায়ের অভাব,আমার মায়ের মতো করে আমাকে যত্ন করে।আশীর্বাদ করিও ওরা যেনো তোমার মতো হতে পারে।অনেক অনেক ধন্যবাদ মনা।❤️❤️
আমার মতো হবে কী, ওরা তো আমাকে ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছে দিদিভাই! আমিও ওদের জন্য গর্বিত। বড় হয়েও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক ওদের কর্মে, এইটাই প্রার্থনা সর্বদা।