মধ্যরাতে মেহেদী
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|আজ ১৮ই জুন, ২০২৪ | রোজ- মঙ্গলবার |
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেয়েদের মনে মেহেদী নিয়ে আলাদা একটা ফ্যাসিনেশন কাজ করে বোধ হয় বরাবরই। আর যে কোন উৎসব সামনে থাকলে তো কথাই নেই! আমারো মেহেদী ভীষণ পছন্দের, তবে আমি মেহেদী দেয়াতে একদমই পারদর্শী নই। কলেজে থাকতে কিংবা ভার্সিটি লাইফে যতবার মেহেদী দিয়েছি আমার হাতে তার বেশির ভাগ সময়েই আমার কোন না কোন বান্ধবী দিয়ে দিয়েছে৷ ভার্সিটির হল লাইফে তো আমাদের যখন তখন মেহেদী উৎসব হয়ে যেত! শুধু কারো কাছে মেহেদীর কোণ থাককেই হলো! একজন যদি দেয়া শুরু করে, মুহুর্তেই যেন আরো মিনিমাম চার থেকে পাঁচজন হাত এগিয়ে দিবেই দিবে মেহেদী দেয়ার জন্য!! ব্যাস, শুরু হয়ে যেতো যেন মেহেদী উৎসব। আর বেশির ভাগ সময়েই এই বিষয় টি ঘটতো রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া করার পর। দেখা গেলো রাতে ১২ টার দিকে যদি মেহেদী দেয়া শুরু হয়, সিরিয়াল শেষ হতে হতে রাত ২ টা আড়াই টা বেজেই যেতো! তার পর সকলে মিলে একসাথে হাত রেখে ছবি তোলা! কি দারুণ সময় কাটিয়েছি ভার্সিটির হল লাইফে!
এবার ঈদ উপলক্ষে বেশ কদিন আগেই মেহেদী অর্ডার দিয়ে কিনেছিলাম অনলাইন থেকে। কিন্তু ঈদের আগে আর দেয়া হয় নি। গতকাল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় মনে পরলো মেহেদী দেয়ার কথা! পরে দিবো ভেবে শুয়ে তো পড়লাম, কিন্তু ঘুম আর আসছিল না কিছুতেই! তাই বাধ্য হয়েই উঠে মেহেদী নিয়ে বসে পরলাম। ভাবলাম যেমন পারি, তেমন ই দিবো, নিজের হাত ই তো! এসব চিন্তা করে খুব সিম্পল একটা ডিজাইন খুঁজে দিলাম। দেয়ার পর তো বেশ ভালোই লাগলো নিজের এক্সপেকটেশন এর চেয়ে ভালোই হয়েছে! পরে আজ সকালে উঠে হাতে মেহেদীর রঙ দেখেও বেশ মন ভালো হয়ে গিয়েছে। আসলেই যেন মিনিমাম পাঁচ বছর পর নিজের হাতে নিজে মেহেদী দিলাম! তাও মধ্যরাতের পাগলামি তে! তবে সেই তুলনায় ভালোই হয়েছে, আপনারা কি বলেন ? ?
উপরের ছবিতে আপনারা মেহেদীর রঙ কেমন হয়েছে সেটা দেখতে পাচ্ছেন। আমার আসলে এমন সিম্পলের মধ্যে ডিজাইন গুলো ই বেশি ভালো লাগে। আর এবার এমন ডিজাইন গুলো বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে দেখলাম। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে, জানাবেন কিন্তু! আজ আর কথা বাড়াবো না। নিশ্চয়ই আবারও অন্য কোন পোস্ট এ অন্য কিছু নিয়ে কথা হবে খুব দ্রুতই। সকলের ঈদের ছুটি ভাল ভাবে কাটুক, আনন্দে কাটুক পরিবারের সাথে। ঈদ মোবারক।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
মেহেদি দেওয়া আমারও ভীষণ পছন্দ। তবে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সারা বছর দেওয়া হয় না শুধুমাত্র ঈদের সময় দেওয়া হয়। এবার আমিও ঈদের আগে দিতে পারিনি ঈদের দিন রাতে দিয়েছিলাম। আপনার মেহেদি ডিজাইন টা অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। মেহেদির কালার টাও খুব সুন্দর এসেছে।
আপনার পোষ্ট টিও চোখে পড়েছে আমার আপু। আপনার দুই হাতেরই মেহেদী দারুণ হয়েছে, এবং রঙও বেশ সুন্দর হয়েছে। ❤️❤️❤️
আপু আপনার মেহেদি ডিজাইন আমার কাছে ভালো লেগেছে। আসলে আর্ট জিনিসটা মনের ভেতর থেকে চলে আসে। আপনি এরকম পরপর দুইবার দেওয়ার পরেই আপনার ভেতর থেকে মেহেদী আর্ট আরো সুন্দর হয়ে যাবে। আপনি নিজের হাতে মেহেদী দিয়েছেন এটাই বড় কথা। আশা করি এরপর আরো সুন্দর সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আপনার হাতে দেখতে পাবো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আসলে এই বিষয় গুলো প্রাকটিস এর বিষয়, তা জানি। পর পর কয়েকবার চেষ্টা করলে হয়তো আসলেই হাত চলে আসবে। তবে ওই সবসময় দেয়া হয় না আর কি।
জি আপু দেখতে অসাধারন লাগতেছে। পাঁচ বছর পর মেহেদি দিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। মাঝে মাঝে মেহেদি দিবেন দেখতে সুন্দর লাগতেছে। মধ্যে রাতে মেহেদি দেওয়ার মধ্যে চমৎকার অনূভুতি কাজ করে। আমিও আমার মেয়েকে গতকাল রাতে ঘুমের মধ্যে মেহেদি দিয়ে দিয়েছিলাম। আপনার অনূভুতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
বাহ! কি দারুণ ব্যাপার! ছোট হাতে মেহেদী আরও সুন্দর ফুটে! ছবি দিয়েন ভাই, দেখতে ইচ্ছে করছে ❤️
মেহেদী আর্ট টি খুব সুন্দর হয়েছে। মধ্যরাতে মেহেদী না দিয়ে শুয়ে পড়ে আবার উঠে মেহেদী দিলেন নিজে নিজে। আসলে নিজে নিজের হাতে মেহেদী দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ। খুব সুন্দর রং হয়েছে মেহেদীর। এ ধরনের সিম্পল ডিজাইন হাতে এত সুন্দর লাগে খুব সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠে। খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু! প্রথমে শুয়ে পরেও আবার উঠে মেহেদী দিতে বসে গিয়েছিলাম। নইলে ঘুম ই আসছিলো না! আর এমন সিম্পল ডিজাইন আসলেই হাতে খুব সুন্দর লাগে। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে মেহেদী মেয়ে মানুষের একটি ইমোশন।মেয়ে মানুষ সুন্দর করে তাদের হাতের মধ্যে মেহেদী দিতে পারলেই অনেক খুশি থাকে। আপনি দেখছি মধ্যরাতে উঠে আপনার হাতের মধ্যে মেহেদী দিয়েছেন, এটা দেখে অনেক টা হাস্যকর মনে হলো। যাইহোক মধ্যরাতে উঠে খুবই সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন আপনার হাতের মধ্যে অ্যাপলাই করেছেন। বেশ ভালো লাগলো ডিজাইন টি।
আপনি আসলে সঠিক কথা বলেছেন। মেহেদী হচ্ছে মেয়েদের অন্যরকম একটা ইমোশন!
মেহেদী আট গুলো আমার খুবই ভালো লাগে আপু। আজকে আপনি চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে মেয়েটি আর্ট করে দেখিয়েছেন। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই আর্ট করা। বেশি দারুণ লাগলো এত সুন্দর আর্ট দেখে।
না রে ভাই, আমি মেহেদী আর্ট এর ধাও তো করে দেখাইনি। শুধু আউটকাম টা দেখিয়েছি মাত্র। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
বেশ সুন্দর মেহেদির ডিজাইন করেছেন আপনি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার এই মেহেদির ডিজাইন আর্ট করা। আপনার মেহেদির ডিজাইন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে মেহেদির দেওয়া অনুভূতি সত্যি বেশ দারুন।
এত চমৎকার মেহেদির ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আজিম ভাই আপনার দারুণ মতামতের জন্য।
মেহেদি ডিজাইনটি চমৎকার হয়েছে দিদি।হালকা বা সিম্পল ডিজাইন গুলোই ভালো লাগে।আর রাতের পাগলামি বলে কথা।🫣আমার ও মেহেদি ভীষণ পছন্দ। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় দেয়া হয়না।আমিও মাথায় ভুত চাপলে যতই রাত হোক না কেন,না দিয়ে ঘুমাই না দিদি।
হা হা হা! আসলে কাজের চাপে শখের বিষয় গুলো আড়াল পরে যায়! তাই মাঝরাতেও মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে শখ গুলো!
এক সাথে সবাই মিলে সিরিয়াল দেখা সেই সাথে মেহেদি দেওয়া খুবই মজার বিষয়। আপনি যেহেতু অনলাইন থেকে অর্ডার করলেন মেহেদী তাহলে তো দিতে হয়! দিয়ে নিলেন ভালো হলো। ডিজাইনটি খুবই সুন্দর হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি শেয়ার করলেন।
সবাই মিলে সিরিয়াল দেখার কথা বলি নি আপু। বলেছি ৪/৫ জন সিরিয়াল করে বসে পড়তো একজনের মেহেদী দেয়া দেখলেই! তাদের সবার ই দিয়ে দিতে হবে মেহেদী! সকলের মেহেদী দেয়া শেষ করতে করতে ৩ ঘন্টা ও সময় লেগে যেতো!
মেহেদী দিতে ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ করে। তবে বেশিরভাগ মেয়েরা মেহেদী দিতে বেশি পছন্দ করে। এটি শুনে অবাক লাগলো প্রায় পাঁচ বছর পর মেহেদী দিলেন হাতে। তবে ভার্সিটিতে আপনারা বান্ধবীরা সবাই হাতে মেহেদী দিতেন। যাইহোক আপনার মেহেদি ডিজাইন খুব চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মধ্যরাতে মেহেদী দেওয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রায় পাঁচ বছর পর আমি নিজে নিজের হাতে মেহেদী দিলাম ভাই! মাঝে হয়তো অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছিলো। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।