স্মৃতির পাতা থেকে : প্রথমবার ফ্যামিলির সবাইকে ট্রীট দেয়ার আনন্দ
|| আজ
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ || রোজ: শনিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। প্রিয় কমিউনিটির সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের পোষ্ট শুরু করছি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTP9Swgpcdu4KvMyR6wWmPLAoffrABEaypNfjHjopmdev/1706375646499.jpg)
কথায় আছে, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। কথাটি আমার মতো আপনারাও জীবনে অনেকবারই শুনেছেন নিশ্চিত ভাবেই। অনেকেই অতীত হাতরে দেখলে এই প্রবাদাটিকেই নিশ্চয়ই ভাবেন। ঠিক আজকে সকালেও আমার কিছু পুরাতন ছবি দেখে এই প্রবাদ প্রবচনটিই মনে পড়লো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও আজ এই বিষয় টি নিয়েই শেয়ার করি।
আমার বিএসসি কমপ্লিট করার পর চাকরি জীবন শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। অবশ্য সেখানে বেশিদিন চাকরি করার ইচ্ছে হয় নি।ওটাকে আমি ইন্টার্নশীপ হিসেবেই মানি। অক্টোবর মাসেই রিজাইন দিয়ে বাসায় চলে আসি। একমাসের মাঝেই মাল্টিন্যাশনাল টেস্টিং কোম্পানি তে নতুন চাকরি ম্যানেজ করে ফেলি নিজের যোগ্যতায়। অফিশিয়াল জয়েনিং ছিলো ডিসেম্বর, ২০১৮। জানুয়ারি তে যেদিন প্রথম স্যালারি পাই, আমার তো ভাবসাব ই আলাদা! সে কি আনন্দ নিজের! মানে মাস শেষ এ এতগুলো টাকা ( সেটা এমাউন্ট যতই হোক, নতুন চাকরি হিসেবে তো অনেক ই) আমার পরিশ্রমের মাধ্যমে আমার ইনকাম!! আমার খুশি যেন আর ধরে না! প্রতি মাসের শেষেই যে এমন একটা এমাউন্টের টাকা আমার একাউন্টে আসবে, এটা চিন্তা করতেই নিজেকে বেশ বড় হয়ে গেছি ভাব চলে আসছিলো! তো যাই হোক। আমাদের সেই কোম্পানিতে বেতন দিয়ে দিতো মাসে ২৫ তারিখেই। ওদিকে একদিন পরেই, মানে ২৬ তারিখে আমার বাবা-মায়ের এনিভার্সারি। তো ২৫ তারিখে স্যালারি ঢোকার পর বাসায় এসে আমি বললাম, পরের রাতের ডিনার আমার পক্ষ থেকে সবাইকে আমি ট্রীট দিবো। আমরা সকলে মিলে বাহিরে কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসাথে খাবো।
আমার বাবা আবার সে বছর মিশনে ছিলেন আফ্রিকার মালিতে। তো আমাদের বাসায় তখনো ওভানে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে বাহিরে খাওয়ার প্রচলন টা ছিলো না বললেই চলে। মা তো প্রথমে মানেই না। অবশেষে তাকে রাজি করানো হলো। সুবিধা হয়েছিলো সেদিন বাসায় আমার ছোড়দা ঘুর্তে আসায়। মা, দাদা, ছোড়দা, ছোটভাই সাথে আরো একজন ফ্যামিলি ফ্রেন্ডকে নিয়ে সকলে মিলে রাতে চলে গেলাম সুলতান'স ডাইন এ কাচ্চি খেতে। কাচ্চি, বোরহানি, কোক, জর্দা মিলিয়ে সকলে মিলে বেশ মজা করে একসাথে বাইরে খাওয়া দাওয়া করা হলো, গল্প করে সময় কাটানো হলো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaoGqpr3kHY4qCgPL4xR1qbTXT53rt3PEtSwNCxqTrY5v/1706377951505.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTP9Swgpcdu4KvMyR6wWmPLAoffrABEaypNfjHjopmdev/1706377951545.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeB2WrFkUVoMiCTDVLhVJx8ybG4cLua2hXbbCMoxk42cF/1706378051964.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQjGxNAYi1vKuSicZALYQttYYMVCeE9bWFfNn2ybyb312/1706377951599.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdaHkQgFKSzf1geUCuZZN8nEPcWW4cKmz6W6HLHpMZZ7w/1706377951627.jpg)
ওই যে বললাম, আমাদের বাসায় এভাবে সকলে মিলে বাহিরে খাওয়ার ব্যাপারটা তখনো বেশ নতুন ই ছিলো। তারউপর আমার পক্ষ থেকে প্রথম ট্রীট দিবো!! সেই উত্তেজনা ছিলো আমার!! যদিও বাবাকে মিস করেছি ভীষণ। বার বার মনে হচ্ছিলো বাবা সাথে থাকলে ছবিগুলো যেন পূর্ণতা পেতো!
তবে যে কোন প্রথমের মজা বা অভিজ্ঞতা টাই ভিন্ন রকমের স্বাদ থাকে যেন!! আজ বহু বছর পর সেই পুরনো স্মৃতি ফেসবুকের কল্যাণে সামনে আসলো। আর আমিও আরেকবার পরিচিত সেই প্রবাদ টি আরেকবার আউড়ে নিলাম " যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ"।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8FXcfJENDdMBWZnr8CtLVbkPkY9BuaPkYpReY3n1wwH/2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPd...o6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4FY4TQKMXDJo2siZ4ZeWkk8kPBZ5kDC73ixjzpHi7MKZsw3P5okkYvV7XEn1TC1wmW9KtK4YyyjnmiZw7b.gif)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXoL4uJFUZPrjEBK1LZb8Tsx99cvihEFmq2ohgjXAFVa7/1692550833470.jpg)
VOTE @bangla.witness as witness
OR @rme as your proxy
![photo_2021-06-30_13-14-56.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZykYDBc61bY89UUJcZiBqAkp7f3qwZSH9xUcdxkdBrha/photo_2021-06-30_13-14-56.jpg)
![IMG_20211205_182705.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQZLL8aEH1RMGHo58NotjMC76vpaJ2iSzUUvGD4Acub8n/IMG_20211205_182705.jpg)
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Posted using SteemPro Mobile
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ || রোজ: শনিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। প্রিয় কমিউনিটির সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের পোষ্ট শুরু করছি।
কথায় আছে, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। কথাটি আমার মতো আপনারাও জীবনে অনেকবারই শুনেছেন নিশ্চিত ভাবেই। অনেকেই অতীত হাতরে দেখলে এই প্রবাদাটিকেই নিশ্চয়ই ভাবেন। ঠিক আজকে সকালেও আমার কিছু পুরাতন ছবি দেখে এই প্রবাদ প্রবচনটিই মনে পড়লো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও আজ এই বিষয় টি নিয়েই শেয়ার করি।
আমার বিএসসি কমপ্লিট করার পর চাকরি জীবন শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। অবশ্য সেখানে বেশিদিন চাকরি করার ইচ্ছে হয় নি।ওটাকে আমি ইন্টার্নশীপ হিসেবেই মানি। অক্টোবর মাসেই রিজাইন দিয়ে বাসায় চলে আসি। একমাসের মাঝেই মাল্টিন্যাশনাল টেস্টিং কোম্পানি তে নতুন চাকরি ম্যানেজ করে ফেলি নিজের যোগ্যতায়। অফিশিয়াল জয়েনিং ছিলো ডিসেম্বর, ২০১৮। জানুয়ারি তে যেদিন প্রথম স্যালারি পাই, আমার তো ভাবসাব ই আলাদা! সে কি আনন্দ নিজের! মানে মাস শেষ এ এতগুলো টাকা ( সেটা এমাউন্ট যতই হোক, নতুন চাকরি হিসেবে তো অনেক ই) আমার পরিশ্রমের মাধ্যমে আমার ইনকাম!! আমার খুশি যেন আর ধরে না! প্রতি মাসের শেষেই যে এমন একটা এমাউন্টের টাকা আমার একাউন্টে আসবে, এটা চিন্তা করতেই নিজেকে বেশ বড় হয়ে গেছি ভাব চলে আসছিলো! তো যাই হোক। আমাদের সেই কোম্পানিতে বেতন দিয়ে দিতো মাসে ২৫ তারিখেই। ওদিকে একদিন পরেই, মানে ২৬ তারিখে আমার বাবা-মায়ের এনিভার্সারি। তো ২৫ তারিখে স্যালারি ঢোকার পর বাসায় এসে আমি বললাম, পরের রাতের ডিনার আমার পক্ষ থেকে সবাইকে আমি ট্রীট দিবো। আমরা সকলে মিলে বাহিরে কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসাথে খাবো।
আমার বাবা আবার সে বছর মিশনে ছিলেন আফ্রিকার মালিতে। তো আমাদের বাসায় তখনো ওভানে সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে বাহিরে খাওয়ার প্রচলন টা ছিলো না বললেই চলে। মা তো প্রথমে মানেই না। অবশেষে তাকে রাজি করানো হলো। সুবিধা হয়েছিলো সেদিন বাসায় আমার ছোড়দা ঘুর্তে আসায়। মা, দাদা, ছোড়দা, ছোটভাই সাথে আরো একজন ফ্যামিলি ফ্রেন্ডকে নিয়ে সকলে মিলে রাতে চলে গেলাম সুলতান'স ডাইন এ কাচ্চি খেতে। কাচ্চি, বোরহানি, কোক, জর্দা মিলিয়ে সকলে মিলে বেশ মজা করে একসাথে বাইরে খাওয়া দাওয়া করা হলো, গল্প করে সময় কাটানো হলো।
ওই যে বললাম, আমাদের বাসায় এভাবে সকলে মিলে বাহিরে খাওয়ার ব্যাপারটা তখনো বেশ নতুন ই ছিলো। তারউপর আমার পক্ষ থেকে প্রথম ট্রীট দিবো!! সেই উত্তেজনা ছিলো আমার!! যদিও বাবাকে মিস করেছি ভীষণ। বার বার মনে হচ্ছিলো বাবা সাথে থাকলে ছবিগুলো যেন পূর্ণতা পেতো!
তবে যে কোন প্রথমের মজা বা অভিজ্ঞতা টাই ভিন্ন রকমের স্বাদ থাকে যেন!! আজ বহু বছর পর সেই পুরনো স্মৃতি ফেসবুকের কল্যাণে সামনে আসলো। আর আমিও আরেকবার পরিচিত সেই প্রবাদ টি আরেকবার আউড়ে নিলাম " যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ"।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
পরিবার এর সবাই কে নিয়ে ঘোরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। সেটা যদি হয় নিজের যোগ্যতায় তালেতো কথায় নাই।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আসলেই তাই! সেজন্যই ত, যেন সেদিনের কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার। তাই ছবিগুলো দেখে ভাবলাম সকলের সাথে শেয়ার করি।
ধন্যবাদ আপু
প্রথম মাসের স্যালারি পেয়ে সবাইকে ট্রিট দিয়েছিলেন। আপনার বাবা মিশনে থাকার জন্য সে উপস্থিত থাকতে পারে নাই। পরিবারের সবাই মিলে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া দাওয়া করার মজাই অন্যরকম । এগুলোর মধ্যে আলাদা রকম একটা শান্তি আছে। আর নিজের ইনকামের টাকায় বাবা-মাকে এবং নিজের আপনজনদেরকে এভাবে আনন্দ দিতে খুবই ভালো লাগে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু। পরিবারের সকলে মিলে একসাথে বাইরে খেতে যাওয়া এবং একসাথে দারুণ কিছু সময় কাটানোর মজাই অন্যরকম! আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথমবার ফ্যামিলির সবাইকে ট্রীট দেয়ার আনন্দ সত্যি ভীষণ খুশির। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভীষণ আনন্দ উপভোগ করেছেন। যদিও প্রথমের দিকে আপনার মা বাইরে যেতে রাজি হয়নি। পরে আপনার কারনে রাজি হয়েছে। একদমই ঠিক বলেছেন ছবিতে আপনার বাবা থাকলে ছবিটি পরিপূর্ণ পেতে। আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ লিমন ভাই। পুরো পোস্ট টা সুন্দর ভাবে পড়ে দারুণ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আর এমন সুন্দর শুভকামনার জন্য ভালোবাসা নিবেন ভাই।
খুব ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্টটি পড়ে। বাবা-মাকে নিজের প্রথম স্যালারির টাকা দিয়ে ট্রিট দিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আপনি তাদের সাথে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন৷ আপনার বাবা থাকতে পারেনি শুনে খুব খারাপ লাগল। সকলের সাথে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যা ভাই, বাবা ছিলো না বলে বাবাকে মিস করেছি ভীষণ। যে স্মৃতি টা শেয়ার করেছি, তা বেশ অনেক বছর আগের।
কাজের কারনে আংকেল আপনার প্রথম মাসের স্যালারীর ট্রিট এ থাকতে পারেননি। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বেশ মজা করে সেই ট্রিট উপভোগ করলেন। আর নিজের টাকায় কোন কিছু করার মজাই অন্যরকম। আর এটা ঠিক আপু যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ । কারন সামনের দিনে কি হবে আমরা কেউ জানি না। ধন্যবাদ আনন্দময় মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য। আর আসলেই, পরিবারের সকলে মিলে একসাথে কোন কিছু ইঞ্জয় করার ব্যাপারটিই অন্যরকম আনন্দের।
পুরনো এমন স্মৃতি মাঝে মাঝে মনে করতে বেশ ভালোই লাগে। বাবা মাকে নিয়ে এই আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করা এবং তাদের সাথে সুন্দর সুন্দর খাবার শেয়ার করে খাওয়ার অনুভূতি, এটা কিন্তু অসম্ভব সুন্দর। বেশ কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ দিয়ে ঘুরে আসলাম, তবে সুলতান'স ডাইনএ যাওয়া হয়নি কখনো। দেখি এরপর যদি বাংলাদেশ যাই, তাহলে ওখানে গিয়ে খেয়ে আসবো। শুনেছি ওখানকার খাবার নাকি অনেক টেস্টি।
হ্যা টেস্ট বেশ ভালোই। তবে এখন মান আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। আগে একচেটিয়া ভাবে রাজত্ব করতো সুলতান'স ডাইন। তবে এখন আর সেই আগের মতোন টেস্ট নেই!
নামকরা রেস্টুরেন্ট গুলোতে আস্তে আস্তে টেস্ট কেন যে হারিয়ে যায়, এই ব্যাপারটা বুঝতে পারি না দিদি!🤔 এটা আমাদের এইখানেরও অনেক বড় বড় রেস্টুরেন্টে দেখেছি।
দিদি সর্ম্পূর্ণ গল্পটা পড়লাম। নিজের প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে সবাইকে ট্রিট দিয়েছেন। ভালোই খাওয়া দাওয়া হলো। সেখানে আফ্রিকার মালিতে থাকা আপনার বাবাকে খুব মিশ করেছেন। তবে প্রথমে ও শেষে “যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ” এই কথার অর্থ বুঝলাম না। পোষ্টে উল্লেখিত বিষয়ের সাথে এই প্রবাদের সম্পর্ক টা অজানা রয়ে গেল। ধন্যবাদ।
যে দিন চলে গিয়েছে, বহু দিন বা বহু বছর পরে সেই দিনের স্মৃতি মনে হলে আমাদের মনে বেশ আনন্দের সঞ্চার হয়। অথচ আমাদের সামনের সময়গুলো কেমন হবে তা কিন্তু আমরা জানি না। তাই পুরোনো দিনের স্মৃতি গুলো চোখের সামনে পড়লে আমার তো এই প্রবাদ টি বেশ মনে পড়ে!