চারপাশে শুধু ডেংগু আতংক...
।। আজ ৩০ জুলাই।। রোজ: রবিবার।।
হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
প্রতিদিনকার মতোন আজকেও সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসে বসে আছি। আজকে একটু শেষের দিকে সিট পেয়েছি। পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে গেলে অফিসে দেরি হয়ে যাবে। কারণ অফিস টাইমে পাঁচ মিনিট এদিক সেদিক হলে রাস্তার চেহারা বদলে যায়!পাঁচ মিনিট এর কারণে আধা ঘন্টার উপরে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকতে হতে পারে। এইসব চিন্তা করেই বসলাম সিটে। বাস ছাড়লো......
বিপত্তি বাঁধলো বাস ছাড়ার পর। কিছুতেই আর স্বস্তি পাচ্ছি না। সমস্যা হচ্ছে সিটের আশেপাশে কতগুলো মশা উড়ছে। চলন্ত বাসের মধ্যে ওগুলোকে মারাও যাচ্ছে না। একবার দুবার যে চেষ্টা করি নি, তা নয়। চেষ্টা করেছি, তবে সফল হই নি। তাই শান্তিতে বসতে পারছি না। খচখচানি লাগছে, যদি কামড়ে দেয়!! আর এগুলো যদি এডিস মশা হয়...!! 🥺🥺
সময়টাই বোধ হয় এমন যাচ্ছে, সকলের সুস্থ থাকাটা বড়ই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চারপাশে এখন শুধু ডেংগু আতংক। আতংক অবশ্য শুধু শুধুও নয়। ডেংগু তে প্রতিদিন নতুন করে অনেক লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে বয়স্ক থেকে শিশু সবাই আছ। বেশ অনেকদিন থেকে হসপিটাল গুলোরও সব সিট ভর্তি। অবস্থা সিরিয়াস হলে যে হসপিটালে এডমিট করাবে, সেটারও সুযোগ কম। হসপিটালের সিট ফাঁকা না থাকলে কীভাবে নতুন রোগী ভর্তি করাবে।
আশেপাশের পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই ডেংগু আক্রান্ত হচ্ছে বা রিসেন্ট হয়েছে।আমাদের অফিসের "চীফ ফাইনান্স অফিসার " স্ত্রী বাচ্চা সহ ডেংগুতে আক্রান্ত হয়ে ভুগলেন প্রায় ১০ দিন। আবার বাসে আজকে যিনি পাশের সিটে বসেছিলেন, তারও ৩ বছরের মেয়ের ডেংগু। আই.সি.ইউ তে থাকতে হয়েছে ২ দিন। এখনো অনেক দুর্বল। ওদিকে আমার বড় মাসির ছেলে -মেয়ে দুইজনই প্রায় ১৫ দিনের মত ভুগলো ডেংগু জ্বর এ। সেদিন ছোটমাসি ফোন দিয়ে বললো সাবধানে থাকতে। এবার আসলে আমার আশেপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমার ধারণা যে এবারে বয়স্কদের থেকে মহিলা এবং বাচ্চাদের উপর এফেক্টটা বেশি হচ্ছে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। সচেতনতার মাইর নাই! যতটুকু প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, আমরা সবাই যেন নিজেদের অবস্থান থেকে সেসব বিষয় মেনে চলি তবেই পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
আজ এপর্যন্তই। আমি নিজে আমার অবস্থান থেকে কিছু ইনিশিয়েটিভ নিয়েছি৷ পরবর্তী পোষ্টে সেগুলো শেয়ার করবো। সকলে সাবধানে থাকবেন।
ডেঙ্গু রোগের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতা। কেননা ডেঙ্গু মানুষের অসচেতনতার কারণেই বেশি ছড়ায়। এখন অহরহ শোনা যাচ্ছে অনেকের ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সাবধানতার সাথে থাকতে হবে।
এটা ঠিক সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঢাকাতেও তো দিন দিন ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সকলেরই সচেতনতা বাড়াতে হবে। তা না হলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। গত বছর ডেঙ্গুতে অনেক রোগী মারা গেছে।
এবছরও রোগী মারা যাওয়ার হার কমে নি। এবং দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে যেনো রোগগুলো... সকলের সচেতনতা খুবই জরুরী