কাচ্চি ভাই তে চুইগোস্ত...

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago
হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে মোহাম্মদপুরের "কাচ্চি ভাই" তে গিয়েছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। সেদিনের অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট।আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।

কাচ্চি খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধ হয় খুব কমই আছেন। বরং এমন তো অনেকেই আছেন যারা ভাত খেতে পারেন না কিন্তু পোলাও বা কাচ্চি হলে খাওয়া কাকে বলে দেখায় দিতে ওস্তাদ... 😂😂। গত শুক্রবার দুপুর বেলা আমরা দুইজন আমার দুই ননদকে নিয়ে গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর এর কাচ্চি ভাই তে। সেখানকারই কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে এই পোস্ট এ শেয়ার করছি।


যে দুইজন ননদের কথা বললাম, তারা আসলে আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলো। একজন ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করছে আরেকজন বাংলাদেশ কৃষি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী, ময়মনসিংহ থেকে একটা কাজে ঢাকায় আমাদের বাসায় এসেছে। তো তাদের বায়নাতেই কাচ্চি ভাই এ যাওয়া। মোহাম্মদপুর এর এই শাখায় আগে একবার খাওয়া হয়েছিলো আমাদের, তাই এখানকার খাবারের টেস্ট সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ছিলো। তবে ওদের চুইগোস্ত টা ট্রায় করা হয়নি আগে। সেদিন বাসা থেকেই মোটামুটি ঠিক করে গিয়েছিলাম যে আজকে ওদের চুইগোস্ত টা ট্রায় করবো। তবে আমার ননদেরা আগেভাগেই বলে রেখেছিলো যে তারা চুইগোস্ত খাচ্ছে না, তাদের কাচ্চিই লাগবে। তাই ওখানে দুইটা কাচ্চি আর দুইটা চুইগোস্ত সাথে পোলাও অর্ডার করি। ওরা বললো দশ মিনিটের মতোন সময় লাগবে সার্ভ করতে। এই সুযোগে আমি কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।





কাচ্চিভাই এর মোহাম্মদপুর শাখাটায় জায়গা রয়েছে ভালোই। তবে ওদের সবগুলো এসি ঠিকমতো কাজ করে না। ওরা আবার এক্সট্রা টেবিল ফ্যান চালিয়ে দিয়ে রেখেছিলো। যেটার শব্দ একটু বিরক্ত লাগছিলো। তো যদিও ১০ মিনিটের কথা বলেছিলো, কিন্তু খাবার দিতে আরো দেরি হচ্ছিলো। ওদিকে আমাদের পেটে তো ক্ষিদা!! প্রায় পনেরো-বিষ মিনিট পর খাবার সার্ভ করা হলো। ২ জনের কাচ্চি এবং দুই জনের চুইগোস্ত। ওরা পার পার্সন চুইগোস্ত এ দুই টুকরা মাংস দেয়, মোটামুটি বড় সাইজের। তবে স্বাদ আমাদের আশানুযায়ী বেশ ভালোই ছিলো। ছোট ছোট গোটা রসুন পেয়েছি বেশ কয়েকটা। চুই এর ডালও ছিলো বেশ কয়েকটা। নতুন আইটেম হিসেবে খেয়ে আমরা বেশ মজা এবং তৃপ্তি পেয়েছি।



আমার ননদ দুইজনকেও আমাদের থেকে ভাগ দিয়েছিলাম ট্রায় করার জন্য। ওদেরও মতামত চুইগোস্তের দিকেই ছিলো। যে কাচ্চির চেয়ে চুইগোস্ত টাই বেশি স্বাদের। আমি আমার পার্সোনাল রেটিং এ কাচ্চির জন্য পুরান ঢাকার কোলকাতা কাচ্চি, তারপর সুলতান'স ডাইন এবং তারপরে কাচ্চিভাইকে রেটিং এ রাখবো। তো যাই হোক, শান্তি মতো খেয়ে দেয়ে পরে আমরা অবশ্য রবীন্দ্র সরোবরে গিয়েছিলাম। সেটা পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ এ পর্যন্তই থাকলো।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

কাচি ভাই আমার খুবই ফেভারিট, তবে সিরাজের চুই ঝাল খাওয়া হয়েছে কাচ্চি ভাইয়ের চুই ঝাল হয় আমি হয়তো দেখিনি, নতুন চালু হয়েছে কিনা। যাইহোক কাছে খেতে তো খুব ভালোবাসি, আপনার আজকের পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।

 11 months ago 

হ্যা ভাই, এই মেনু টি নতুন সংযোজন। একবার ট্রায় করে দেখতে পারেন। আমাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47