কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিছু ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই বেশি অংশ মেহমান আসে। আর মেহমান আসলে তো কথাই নেই অনেক প্রকারের আইটেম তৈরি করা হয় আমাদের বাড়িতে। আগে তো এই ফটোগ্রাফি গুলো করতাম না । এখন সুযোগ পেলেই ফটোগ্রাফি করে রাখি। তাই কিছুদিন আগে মেহমান আসার পর তাদের জন্য যা যা আইটেম রান্না করা হয়েছিল, তার কিছু অংশ আমি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সেগুলি আপনাদের মাঝে এখন শেয়ার করব। চলুন তাহলে প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

প্রথমে যে ফটোগ্রাফিটি আমি শেয়ার করেছি সেটি হচ্ছে রাজহাঁসের মাংসের রেসিপি। রাজ হাঁসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তেল হয়। আর দেখতেই পারছেন এই রেসিপিটিতে ঝুলের পরিবর্তে শুধু তেল ভাসছে। এই রেসিপিটি খেতে এত সুস্বাদু হয়েছিল একবেলা খাওয়ার পর দ্বিতীয় বেলায় আর পাওয়া যায়নি। হা হা হা। আমি ভেবেছিলাম পরবর্তীতে খাব। কিন্তু আমার ভাগ্যে পরবর্তীতে আর রইল না।

এটি হচ্ছে কারপো মাছের ভুনা রেসিপি। আমাদের এলাকায় অনেকে মাছের সুখনা ভাজি বলে থাকে। যাইহোক নদীর এই মাছের রেসিপিটি ও দারুন হয়েছিল। রেসিপিটিতে টমেটো দিয়ে রান্না করার কারণে খেতে দারুন হয়েছে।

আমার একটি প্রিয় খাবার হল কলিজা ভাজি। এখানে আলু ও মুরগির কলিজা দিয়ে একটা কলিজা ভাজি রেসিপি করা হয়েছে। এই কলিজা ভাজিটি ও খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।

এটা দেখে তো চিনতে পেরেছেন এটি হচ্ছে একটি সবজি রেসিপি। সকল প্রকারের সবজির মিশ্রণ দিয়ে ও ডাল দিয়ে রেসিপিটি করা হয়েছে। প্রত্যেক খাবারে আমিষের সাথে কিছু সবজি থাকা প্রয়োজন। তাই আমিশের পাশাপাশি কিছু সবজি রাখা ভালো। এত আইটেমের কারণে সবজি একেবারেই কেউ খায়নি, অনেকগুলো সবজি রয়ে গেয়েছে। তবে সবজিটি কিন্তু খেতে অনেক দারুন হয়েছিল।

আমার আরেকটি পছন্দের খাবার হচ্ছে চিংড়ি মাছের ভুনা। চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। এই রেসিপিটি টমেটো ছাড়া এমনিতেই মসলা দিয়ে করা হয়েছে। মেহমান আসলে চিংড়ি মাছ একটার বেশি দুইটা পায়না। সবই মেহমানের জন্যই আম্মু রেখে দেয়। আবার মেহমান না থাকলে, ইচ্ছা অনুযায়ী বেশি করে খাওয়া যায়।

এটি হচ্ছে লাউয়ের রেসিপি। বড় মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে আমি লাউয়ের তরকারি পছন্দ করি। এই রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল। আর বিশেষ করে আমি অনেক আইটেম থাকা সত্ত্বেও লাউয়ের তরকারি খেয়ে থাকি। কারণ এটি আমাদের নবীজির সুন্নত। আর বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নবিজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও লাউ পছন্দ করতেন।

এটি হচ্ছে লাফা বেগুনের একটি রেসিপি। অনেকে এই বেগুনকে বোম্বাই বেগুন বা লাফা বেগুন বলে থাকে। আমার আবার এলার্জি তাই এই বেগুন আমি বেশি খাই না পছন্দ ও করি না।

আজকের প্রত্যেকটি রেসিপি ছিল গরম গরম। তাই ফটোগ্রাফি করার সময় হালকা হালকা ধোয়া ভেসে আসছিল। আর অনেকগুলো ফটোগ্রাফি ঝাপসা ও হয়েছিল। আরো অনেক আইটেমের ফটোগ্রাফি রয়ে গিয়েছে সেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তী কোন পোস্টে শেয়ার করব।

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। আর আজকে আমার এই পোস্টটি কেমন হয়েছে কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।