“দুই শাশুড়ি” বাংলা নাটক রিভিউ।।
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি হাঁসির নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। এই নাটকটি দেখলে এমন কোন মানুষ নেই যে হাঁসবে না।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
- নাটকের নামঃ-দুই শাশুড়ি
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনাঃ মহিন খান
- পরিচালকঃ মহিউদ্দিন সাবেত
- প্রযোজকঃ মোঃ মিজানুর রহমান মিজান
- অভিনয়েঃ-নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে, ফকরুল বাশের মাসুম, মনিরা আকির মিঠু এবং আরও অনেকে।
- সময়ঃ- ৫৮ মিনিট
- মুক্তির তারিখঃ-২৪ নভেম্বর ২০২৩
- ভাষাঃ- বাংলা
- দেশঃ- বাংলাদেশ
- ধরন- পারিবারিক ডামা
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ
মহিন খান কর্তৃক পরিচালিত নতুন হাঁসির একটি নাটক হলো দুই শাশুড়ি। এ নাটকটি গত বছরের নভেম্বার মাসে রিলিজ হয় । বর্তমানে নাটকটিতে ১৩ লাখের উপরে ভিউ রয়েছে, তাছাড়া দেড় লাখের মতো লাইক এবং ১০ হাজারের মতো কমেন্ট রয়েছে। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখুন কতটা জনপ্রিয় হলে মাত্র সাত আট মাসে আট হাজারের মতো কমেন্ট পড়তে পারে আর এত লাইক ও ভিউ হতে পারে। নাটকটি নামের মাধ্যমেই দর্শকদের মনযোগ আকর্ষণ করে ফেলেছে। যার ফলে যার নজরে নাটকের নামটি পড়ে সেই ক্লিক করে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে বর্তমান যুগের সব থেকে সফল নাটক অভিনেতা নিলয় আলমগীর ও তার সাথে বিপরীতে অভিনয় করেছে বর্তমান যুগের নতুন আলোচিত নাটক অভিনেতা জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে। বর্তমানে বাংলাদেশে এ দুজনের নাটক প্রচুর ভিউ হচ্ছে। তারা যে নাটকটি করছে সেটি দর্শকরা লুৃফে নিচ্ছে। যার ফলে তারা নাটক করলে লাখ লাখ ভিউ চলে আসে। এই নাটকটি রিলিজ হয়েছে সাত-আট মাস হয়ে যাবে। কিন্তু আমার এখনো দেখা হয়নি। গতকাল একটু সময় নিয়ে নাটকটি দেখেছিলাম। নাটকটি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যার ফলে ইচ্ছা করলাম আপনাদের সাথেও শেয়ার করা যাক।
নাটকটির মাধ্যমে একটি গ্রামের পারিবারিক গল্প তুলে ধরা হয়েছে। নিলয় আলমগীরের শ্বশুর হলেন মাসুম সাহেব। মাসুম সাহেব একটি গ্রামে বসবাস করেন। মাসুম সাহেবের দুইজন স্ত্রী রয়েছে। যারা নিলো আলমগীরের দুইজন শাশুড়ি। মাসুম সাহেবের প্রথম স্ত্রীর বাচ্চা না হওয়ার ফলে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। মাসুম সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে তথা আশা জন্য গ্রহণ করেছে। মূলত দুই জনই খুব আদর যত্ন করে আশাকে বড় করেছে। আজকে আশা তার জামাইকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসতেছে। এই খবর মাসুম সাহেব তার দুই স্ত্রীকে ডেকে বলে দিলেন। যেন তার মেয়ের জামাইয়ের আদরের কোন কমতি না হয়। এখন দুই শাশুড়ি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জামাইয়ের আদর যত্ন করতে লাগলেন। জামাই বাড়িতে আসার পরে প্রথম শাশুড়ি নিয়ে আসলেন নরমাল পানি আর দ্বিতীয় শাশুড়ি নিয়ে আসলেন লেবু দিয়ে শরবত। এখন দুই শাশুড়ি ঝগড়া বেঁধে গেলো যে জামাই শরবত খাবে নাকি পানি খাবে। সেটা নিয়ে তুমুল লড়াই হয়।
এখন জামাই খাবার খেতে গিয়েও দুই শাশুড়িদের ঝামেলার মধ্যে পতিত হয়। দ্বিতীয় শাশুড়ি প্রথম শাশুড়ির খাবারের মধ্যে বেশি করে লবণ মিশিয়ে দেয়, যেন তার রান্না করা খাবার মেয়ের জামাই খেতে না পারে। আবার প্রথম শাশুড়ি দ্বিতীয় শাশুড়ির রান্না করা খাবারের মধ্যে বেশি করে মরিচ মিশিয়ে দেয়, যেন মেয়ের জামাই তার রান্না করা খাবার খেতে না পারে। এভাবে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার কারণে জামাই না খেয়েই ঘুমাতে যায়। ঘুমাতে গিয়েও শান্তি নেই । জামাই প্রথম শাশুড়ির ঘরে ঘুমাবে নাকি দ্বিতীয় শাশুড়ির ঘরে ঘুমাবে সেটা নিয়েও তুমুল লড়াই বাঁধে। অবশেষে জামাই প্রথম শাশুড়ির মাটির ঘরে ঘুমাতে গেলে, রাতের বেলা দ্বিতীয় শাশুড়ি ভূত সেজে জামাইকে ভয় দেখায় যেন, মাটির ঘরে না ঘুমায়। সে এক হাঁসির কান্ড।
এখন জামাই শ্বশুর বাড়িতে প্রথম এসেছে। সেজন্য সে দুই শাশুড়ি ও শ্বশুরের জন্য কাপড় কিনেছে। দুই শ্বাশুড়িকে তার পছন্দমত দুইটি শাড়ি দেয়। এখন দ্বিতীয় শাশুড়ি প্রথম শাশুড়ির শাড়িটাকে পছন্দ করে ফেলে এবং বলে সে যেন তার শাড়িটা নিয়ে প্রথম শাশুড়ির শাড়িটা দ্বিতীয় শাশুড়িকে দিয়ে দেয়। কিন্তু প্রথম শাশুড়ি সে তো জামাইয়ের দেওয়া গিফট কখনোই হাতছাড়া করবে না। যার ফলে এই শাড়ি নিয়ে বেধে যাই তুমুল কান্ড। এমনকি দুজন টানাটানি করতে গিয়ে শাড়িটি ছিঁড়ে যাই। তারপর দ্বিতীয় শাশুড়ি জামাইয়ের জন্য ছেঁড়া প্যান্ট ও ছেঁড়া টি শার্ট কিনে আনে। সেগুলো পরিধান করে যখন প্রথম শাশুড়ির ঘরে যায় তখন প্রথম শাশুড়ি জামাইকে এসব ছেঁড়া ফাঁড়া কাপড় পড়তে নিষেধ করে। কারণ এগুলো এলাকার বখাটে ছেলেরা পড়ে থাকে। তিনি জামাইকে একটি লুঙ্গি ও একটি সাদা শার্ট পড়তে দিলেন। জামাই সেই কাপড় পরার ফলে প্রথম শাশুড়ির সাথে ঝগড়া বেধে যায়। এমনকি প্রথম শ্বাশুড়ি ঝগড়া করতে গিয়ে মাসুম সাহেবকে একপ্রকার জোর করে বলে যে, প্রথম শাশুড়িকে সে যেন বাড়িতে থেকে তাড়িয়ে দেয়। এসব নিয়ে মজার মজার ঘটনা হয়।
নিজস্ব মতামত
নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে বাস্তবে যে জামাই সাহেবদের দুই শাশুড়ি পড়ে তাদের ক্ষেত্রে এরকম হয় কিনা সেটা আমার জানা নেই। যদি কোন শ্বশুর বাড়ির জামাইয়ের কপালে এরকম শাশুড়ি পরে তাহলে ওই জামাইয়ের কপাল খুবই মন্দ। এমন শ্বশুরবাড়িতে জামাইরা দ্বিতীয়বার ভুলেও পা রাখবে না। নাটকটির শেষের দিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মেসেজ দিয়েছে । আপনারা যদি নাটকটি দেখেন তাহলে সেগুলো বুঝতে পারবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবার করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ চমৎকার একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন ভাইজান। আপনার এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ আজকের নাটক রিভিউটা। আশা করি পরবর্তীতে ঠিক এমনই সুন্দর সুন্দর নাটক রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন এবং নতুন নাটক দেখার সুযোগ করে দিবেন।
ভাইয়া চেষ্টা করব সুন্দর সুন্দর হাস্যকর নাটক আপনাদের মাঝে রিভিউ দেওয়ার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিলয় আলমগীর অনেক ভালো একজন অভিনয়শিল্পী। উনার নাটক গুলো আমার কাছে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নিল আলমগীর ভাইয়ের নাটক গুলো অনেক মজার হয়ে থাকে। আর তার নাটক গুলো বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। ধন্যবাদ আপু।
নাটক ওতো দেখা হয় না। তবে আপনার রিভিউটি পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ খুঁজে পেলাম। খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন আপনি। ধন্যবাদ।
যেহেতু নাটকটি দেখার আগ্রহ হয়েছে। সেহেতু সুযোগ পেলে একবার দেখলে আনন্দ পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা আমার দেখা হয়নি তবে আপনার এই রিভিউ পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম নাটকটা সম্পর্কে। সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
শুধু সুন্দর না মজার ও হাস্যকর একটি নাটক। দেখলে বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো লাগার মত আপনার নাটক রিভিউ টা। আশা করি এই নাটকটা খুবই হাস্যকর আর দর্শক নন্দিত। নাম যা মন রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম অভিনয় তেমন। যে কোন মুহূর্তে চেষ্টা করব সুযোগ করে নাটকটা দেখে নেওয়ার জন্য।
জি আপু আশা করা না, আপনি যখন দেখবেন তখন বুঝতে পারবেন এটা কতটা হাস্যকর ও দর্শক নন্দিত নাটক। ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। নিলয় আলমগীরের অভিনয় গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। কিন্তু নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এই নাটকটি অসম্ভব সুন্দর। তাছাড়া এই নাটকটি যখন দেখেননি একবার দেখলে আপনি দ্বিতীয়বার দেখতে মনে চাইবে। এত হাস্যকর ও মজার একটি নাটক। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দুই শাশুড়ি নাটকটার কাহিনী তো আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। এই নাটকটা যদিও এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি, কিন্তু নাটকের পুরো কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে আপনি পুরো কাহিনীটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। নিলয়ের নাটকগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে। শাশুড়িদের এরকম কান্ড দেখলে তো জামাইরা আর শশুর বাড়িতে আসবে না। দুই শাশুড়ি তো দেখছি ভালোই গোলমেলে। যাই হোক আমি তো ভাবতেছি সময় পেলে নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো।
নিলয় ভাইয়ের নাটক গুলো অনেক সুন্দর হয়। তাছাড়া দুই শাশুড়ি ওকে এত হাস্যকর যে, এমন ঝগড়াটে শাশুড়ির কারণে কোন জামাই, কখনো শ্বশুরবাড়িতে যাবে না। সময় পেলে নাটকটি দেখলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
আমি নাটক দেখতে এবং নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে দুটোই অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার চেষ্টা করি। কারণ মাঝেমধ্যে কাজের পাশাপাশি বিনোদন নিতে খুব ভালো লাগে। নিলয়ের নাটকগুলো অনেক হাস্যকর হয়, যার কারণে তার নাটক মাঝেমধ্যে দেখে থাকি। আজকের নাটকে তো দেখলাম দুই শাশুড়ি মিলে ভালোই ঝগড়া করেছে। দুই শাশুড়ির এত ঝামেলা দেখে আমার কাছে তো রিভিউটা পড়তে অন্যরকম লেগেছে। তবে নাটকটা দেখলে আরো ভালো লাগবে মনে হচ্ছে।
জি ভাইয়া কাজের পাশাপাশি একটু বিনোদনের দরকার। তাছাড়া নিলয় আলমগীরের এই নাটকটি অসম্ভব হাস্যকর একটি নাটক। সময় হলে দেখে নিয়েন। ধন্যবাদ ভাইয়া।