সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির তৃতীয় পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি -
বন্ধুরা আমি গত মাসে নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ির খেলার মাঠের সাপ্তাহিক মেলাতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেখান থেকে আমি গত মাসে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি দিয়ে দুইটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এখানে মেলাটি হয় মূলত সাধারন মানুষের জন্য। যারা লাখ টাকার মালিক, যারা কোটি টাকার মালিক তারা এখানে আসবেনা। এখানে আসে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ, নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ। যারা নতুন ভাবে সংসার শুরু করেছে, যারা একক ফ্যামিলি শুরু করেছে তাদের জন্য হলো এই মেলাটি। মোটামুটি সব ধরনের জিনিসই এখানের রয়েছে। আপনারা তো সবাই জানেন মেলা মানে হরেক রকম জিনিসের মিলন স্থল। সাধারণত সব মেলাতেই সব ধরনের অন্য দেখা যায়। এটা যেহেতু সাপ্তাহিক মেলা তাই এখানে স্থায়ীভাবে কোন দোকান বসে না। সাপ্তাহিক রবিবার মেলা ব্যতীত এখানে কোন ধরনের দোকান ও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাত্র একদিনে একটি বিকালের জন্য এখানে দোকান বসানো হয়। যাইহোক আমি আমার ফটোগ্রাফির ভান্ডার থেকে আরো কিছু মেলার ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেছি।
বন্ধুরা আপনারা উপরের ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, এখানে এক মামা তার ভ্যান গাড়িতে রুটি বানানোর পিড়ি বিক্রি করতেছি,তার পাশেই রয়েছে কাঠের তৈরি হামন দিস্তা, অনেকের আঞ্চলিক ভাষাতে ইহাকে ছোট গাইল বলা হয়। আমরা যখন প্রথম ঢাকাতে এসেছিলাম আমরাও একটি মেলা থেকে রুটি বানানোর পেড়ি কিনেছিলাম। তার পাশেই আরো রয়েছে তরকারি নাড়াচাড়া করার কাঠি। এখানে যা কিছু দেখতে পাচ্ছেন সবকিছুই কিন্তু কাঠের। আর কাঠের জিনিস দেখতে যেমন ভালো তেমন মজবুত ও টেকসই। কারা কারা নতুন সংসার শুরু করে এরকম মেলা থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনেছেন তাদের কমেন্ট আশা করছি।
অনেকে হয়তো বলতে পারেন মেলাতে শুধু মেয়েদের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। ছেলেদের কোন জিনিস নাই। তাদেরকে বলি আপনাদেরও মন খারাপের কিছু নেই, আপনাদের জন্য এক মামা চামড়ার মানিব্যাগ ও বেল্ট বিক্রি করতেছে। এগুলো কিন্তু আপনাদের প্রয়োজনীয় জিনিস। মানিব্যাগ গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমার হাজব্যান্ড কে কেনার জন্য অফার করেছিলাম, কিন্তু তার মানিব্যাগ থাকার কারণে আর কিনে নাই।
মেলাতে আরেকটি নতুন জিনিস দেখেছিলাম। আর সেটা হল মাশরুম। ৪০০ টাকা কেজি ধরে এখানে মাশরুম বিক্রি করেছিল। সাধারণত অন্যান্য মেলাতে মাশরুম চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এখানে এক মামা দিব্যি মাশরুম বিক্রয় করা যাচ্ছেন। অনেক মানুষ আবার আগামী রবিবারের জন্য মাশরুম অর্ডার করে দিলেন। যদি কেউ তাজা মাশরুম চাই, এ মামা সেটাও ব্যবস্থা করে দেন। আমি কখনো মাশরুম খাইনি, কখনো খাবো সেটাও চিন্তা করিনা। কারণ মাশরুমগুলো দেখতে একটু কেমন যেন লাগে। যাই হোক আপনাদের মধ্যে যদি কেউ মাশরুম কিনতে চান তাহলে প্রতি রবিবারে জালকুড়ি খেলার মাঠে চলে যাবেন।
এখানে গেলে আপনারা আরো কিনতে পারবেন খুবই অল্প দামে পাঞ্জাবির কাপড়। কটন,পলেস্টার দেশি-বিদেশি অনেক ধরনের পাঞ্জাবির কাপড় দেখলাম। হুজুর ভাইদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আপনারাও নিজেদের জন্য পাঞ্জাবির কাপড় কিনতে পারবেন। পাঞ্জাবির কাপড়ের অনেক দাম থাকে কিন্তু এখানে নামমাত্র কিছু লাভে সুন্দর সুন্দর রংবেরঙের পাঞ্জাবির কাপড় পাওয়া যায়। আরো পছন্দ হলে নিতে পারবেন।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাদের খেলনার জিনিস। ছোট বাবুরা, তোমাদের ও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তোমাদের জন্য এখানে অনেক ধরনের খেলনার জিনিস রয়েছে। ছোট বড় অনেক ধরনের গাড়ি দেখলাম। কিছু গাড়ি ব্যাটারির মাধ্যমে চলে, আবার কিছু গাড়ি অটো চলে। যদি কোন বাচ্চাকে মেলার দিন ওই মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেই বাচ্চা কখনোই খেলনা ছাড়া ফেরত আসবেনা। আর বর্তমানে বাচ্চাদের অনেক খেলনা থাকে। খেলনা থাকা সত্ত্বেও কিছুদিন পর পর নতুন খেলনা কিনে দিতে হয়।
যাইহোক আমার বাবু এখনো বড় হয়নি, যদি সে খেলনা দিয়ে খেলতে পারতো, ও মুখে বলতে পারতো, তাহলে তার জন্য কেননা কিনতে হতো। তবে আমরা বাবুর জন্য খুব সুন্দর একটি গাড়ি কিনে বক্স করে রেখে দিয়েছি। বাবু যখন বড় হবে তখন খেলতে পারবে। বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না, আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির তৃতীয় পর্ব।। |
স্থান | ভুইঘর,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ১২/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সপ্তাহে একদিনের জন্য শুধুমাত্র মেলা বসে ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো ।যদিও আমাদের এখানে এ ধরনের সাপ্তাহিক কোন মেলার আয়োজন করা হয় না ।তবে আপনার মেলায় ঘুরার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। সাধারণত মেলায় কোনদিন আমি মাশরুম বিক্রি করতে দেখিনি ।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু একদিনের মেলা গুলো অনেক জমজমাট হয়। ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন নতুন সংসারের জন্য মেলার জিনিস অনেক ভালো। আসলে কিছু কিছু জিনিস মেলা ছাড়া পাওয়া সম্ভম নয়।যাইহোক আপনাদের সাপ্তাহিক মেলা দেখে অনেক ভালো হলো।আপনি নিশ্চয়ই ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপু।
জী আপু এগুলো সব মেলায় পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ।
সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরি তৃতীয় পর্ব আপনি মেলাতে অনেক সুন্দর ভাবে গড়াগড়ি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। বাচ্চাদের বিনোদনের জিনিস এবং খাওয়া-দাওয়ার জিনিস সহ নানান রকম বিক্রেতা বসেছে মেলাতে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
সব ধরনের জিনিষ পত্রই এখানে রয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ।
আপু এই ধরনের মেলায় আমার যেতে ইচ্ছে করে বিশেষ করে ভিন্ন ধরনের কিছু জিনিস পাওয়া যায় মেলাতে। যা নরমালি মার্কেট এসব জিনিস পাওয়া যায় না তেমন। আর মেলায় তো বেশ হরেক রকমের খাবার দাবার পাওয়া যায় ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন। আজকে মেলায় ঘোরাঘুরির শেষ পর্ব শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
জী আপু এখানে অল্প দামে মোটামুটি ভালো জিনিষ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ।