সিলভার কার্প দিয়ে বিলুম্বির টক রেসিপি।।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অসহ্য গরম সহ্য করেও ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। যে গরম পড়েছে সে গরমে আমাদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এই গরমে কোন কিছু খেতেও মনে চায় না। তাই গরমে একটু টক জাতীয় খাবার খেলে শরীরটা একটু ভালো লাগে। এজন্য আজকে আমি বিলেবুর টক রেসিপি তৈরি করেছি। প্রচন্ড গরমে পেট ভরে ভাত খেতে চাইলে এক বাটি বিলেবুর টকই যথেষ্ট। চলুন বিলেবুর সেই টক রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
- বিলেবু
- সিলভার কার্প মাছের মাথা ও লেজ
- কাঁচা মরিচ ছয় থেকে সাতটি
- টমেটো দুটি
- রসুন পরিমাণ মতো
- হলুদের গুঁড়ো এক চামচ
- ধনিয়ার গুড়ো
- পিয়াজ বাটা
- তৈল পরিমাণ মতো
- লবন পরিমান মতো
প্রথম ধাপ-
প্রথমে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে ধুয়ে রান্নার জন্য প্রস্তুত করে নিলাম। তারপর রসুন, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজগুলো হামন দিস্তার মধ্যে দিয়ে থেতলে নিলাম। তারপর পাতিল বসিয়ে দিলাম। সে পাতিল গরম করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ-
পাতিলটা গরম হয়ে আসার পর তাতে দিয়ে দিলাম তেল। তারপর তেলের মধ্যে কাঁচামরিচ, রসুনও পেঁয়াজ গুলো ছেড়ে দিলাম। হালকা নাড়াচাড়া করে ভেজে নিলাম। পেঁয়াজগুলো বেশি ভাজা যাবেনা। তারপর দিয়ে দিলাম হলুদ ধনের গুঁড়ো ও লবণ। মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে মশার মধ্যে টমেটো দিয়ে দিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম সিলভার কার্প মাছের মাথা ও লেজ। অল্প একটু পানি দিয়ে
সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ-
এ পর্যায়ে দিলে বিলেবুগুলো কষানো মাছ ও মসলার মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেশানোর পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এ পর্যায়ে ঢাকনা উঠিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে দিলাম। তারপর আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। কিছুক্ষণ সিদ্ধ হওয়ার পর, তৈরি হয়ে গেল আমার মজাদার বিলেবুর টক। যা অসহ্য গরমের মজাদা একটি খাবার।
পরিবেশন
রেসিপিটি দারুণ হয়েছিল। তবে এর মধ্যে যদি ধনিয়া পাতা এড করা হতো। তাহলে হয়তো আরো সুস্বাদু ও মজাদার লাগতো।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের এই রেসিপিটি অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন এই কামনা করে, আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | সিলভার কার্প দিয়ে বিলেবুর টক রেসিপি ।। |
স্থান | নিজ বাসা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ । |
তারিখ | ২৮/০৪/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সিলভার কার্প দিয়ে বিলেবুর টক রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করার রেসিপিটা আমার কাছে কিছুটা ভিন্ন ধরনের রেসিপি বলে মনে হয়েছে কারণ এর আগে আমি কোনদিন এমন রেসিপি দেখেছিলাম না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এই ভিডিওটা বেশি করে গ্রাম অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। হয়তো আপনাদের অঞ্চলে এই গুলি নাই। এই বিলেবু সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি বিলেবু যাকে বলছেন সেটিকে আমরা বিলম্বি ফল হিসেবে চিনি। যদিও কখনো খাওয়া হয়নি। তবে এই ফল খেতে নাকি কামরাঙ্গা ফলের মত টেস্ট হয়। আপনার তৈরি সিলভার কার্প দিয়ে বিলম্বির টক রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু আমাদের এখানে বিলেবু বা বিলম্বো বা বিলম্বি ফল বলা হয়। যে যেভাবে ডাকতে পারে। আপু এই ফলটি কামরাঙ্গার চেয়েও অনেক টক। তাই এই ফলটি দিয়ে টক রান্না করলে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। আপনাকেও ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন আপু। এই গরমের মধ্যে পেট ভরে ভাত খেতে হলে টক যথেষ্ট। আমাদের বাসায় প্রতিদিন এই বিলম্ব ফলের টক রান্না করি। আর এই টক টা খেতেও অসম্ভব মজাদার হয়। আপনার এই বিলম্ব ফলের টক রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসলো।অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু গরম ছাড়া টক ভালো লাগে না। তাই গরমে বেশি টক খেতে হয়। শরীর ভালো থাকে টক খেলে। আপনারা যেহেতু বিলম্ব ফলের টক খান আপনার অবশ্যই এর স্বাদ জানেন। ধন্যবাদ আপু।
মাঝে মাঝে সিলভার কার্প মাছ একটু খাওয়া হয়। তবে অন্যান্য মাছের থেকে সিলভার কার্প মাছ টা একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে সিলভার কার্প দিয়ে বিলেবুর টক রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি সিলভার কার্প মাছের রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি তৈরি করেছেন।
জ্বী ভাইয়া সিলভার কার্প মাছ দিয়ে যে কোন রেসিপি করা যায়। আর এই রেসিপিটি তৈরি করতে সিলভার কার্প দেয়া হয়েছে। তাই এই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিলেবু লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেয়েছি তবে মাছ দিয়ে টক রান্না করে খাওয়া হয়নি। এই গরমে টক জাতীয় খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু লবণ দিয়ে যেহেতু খেয়েছেন বুঝতেই পারছেন এর টক কতটুকু। টক রান্না করলে কতটুকু ভালো লাগবে। আপনি লবণ দিয়ে খেয়েছেন সেই কথা যেনে। আমার জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ আপু।
বিলুম্বি সম্পর্ণ অপরিচিত একটি সবজি।দেখিনি কোনদিন নামও প্রথম শুনলাম।তবে খুব যে সুস্বাদু একটি সবজি তা বুঝতে পারছি।সিলভার কার্প মাছ দিয়ে চমৎকার করে আপনি বিলুম্বির টক করেছেন এবং আমাদের সাথে চমৎকার সুন্দর করে ধাপে ধাপে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু সুস্বাদু বলতে, একবার খেয়ে দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন। এটা এতটাই টক্ যে, একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে। ধন্যবাদ আপু।
আপু বিলুম্বির টক রেসিপি নামটি প্রথম শুনলাম। বিলেবু নামের কোন সবজি আছে তা তো আমার জানা ছিল না। আমি আগে কখনো বিলেবু দেখিনি। একদম নতুন একটি রেসিপি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো আপু। আমার বিশ্বাস এই গরমে বিলম্বির টক রেসিপি খেয়ে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমাদের বাংলাদেশের একটি পরিচিত ফল হচ্ছে বিলেবু। তবে আপনাদের হয়তো জানা নেই বা কখনো দেখেননি। তবে কখনো যদি দেখেন একবার কিনে নিয়ে টক রান্না করে খেলে অবশ্যই আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই গরমে টক জাতীয় খাবারই অনেক বেশি ভালো লাগে , এটা ঠিক কথা। তবে বিলেবু জিনিসটা আমি আজকে প্রথমবার দেখলাম। অনেকটা পটলের মত দেখতে যা দেখছি। আপনার আজকের রেসিপিটা আমার কাছে খানিকটা ইউনিক মনে হল। তাছাড়া অনেক রকম আইটেম দিয়ে যেহেতু রান্না করেছেন, সেক্ষেত্রে আশা করি টেস্টিও হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে, এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।