বিভিন্ন ধরনের কিছু মৌসুমি ফলের ফটোগ্রাফি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করতেছি-
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু মৌসুমী ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
আমরা সবাই জানি যে বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। এদেশের মধ্যে সব সময় সবকিছু চাষ হয় না। আবার আমাদের দেশে এমন কিছু জিনিস চাষ হয় যা আবার অন্য দেশে হয় না। আমাদের দেশে সাধারণত কয়েক প্রকারের মাটি রয়েছে। এরমধ্যে সব থেকে বেশি দেখা যায় বেলে মাটি ও এটেল মাটি। এটেল মাটিতে সাধারণত ধান চাষ বেশি হয়। আর বেলে মাটিতে বিভিন্ন ফলের চাষ হয়। এছাড়াও এটেল মাটিতে অনেক ধরনের ফল ও হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ফলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো, সব কিছুই বাংলাদেশের মাটিতে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশের বিভিন্ন ফলের চাষ ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। একসময় বাংলাদেশ খেজুরের চাষ হতো না। কিন্তু এখন সৌদি আরবের খেজুরের চাষ বাংলাদেশেও হয়ে থাকে। যায়হোক আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি সেগুলো আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কালেক্ট করেছি। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।
বন্ধুরা আপনার প্রথমেই দুইটি তরমুজের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই তরমুজ কিন্তু বাংলাদেশেই চাষ হয়। বিশেষ করে বরিশালের দিকে এই তরমুজ প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে। তারপরেও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিক দিয়ে তরমুজ নিয়ে কি তেলেশমতি হয়েছিল, সেটা আপনারা সবাই জানেন। তারপর জনগণ যখন একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিলো,সবাই তরমুজকে বয়কট করলো,তখন অটোমেটিক তরমুজের দাম কমে গিয়েছিল। যাই হোক বর্তমানেও কিছু কিছু তরমুজ রয়েছে। তবে এগুলো তুলনামূলকভাবে একটু ছোট। ভিতরে অনেক লাল কালার, কিন্তু খেতে একটু পানসে টাপের। বর্তমানে কেউ তরমুজ কিনলে অল্প একটু খেয়ে চেক করে কিনলেই ভালো হবে।
এগুলো হলো সবার পরিচিত বাঙ্গি ফল। এই ফলটা ও আমাদের দেশের পশ্চিমবঙ্গের দিকে চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে পদ্মা মেঘনা নদীর চরে এই ফলের চাষ হয়ে থাকে। বাঙ্গি ফল কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। কিছু বাঙ্গি ফল আছে লম্বা লম্বা, আবার কিছু বাঙ্গি ফল আছে মিষ্টি কুমড়োর মত গোল। এই ফলটা খেতে একটু বালুর মত লাগে। আবার একটু পানসে টাইপের হয়ে থাকে। যার ফলে সাথে চিনি দিয়ে খেলে ভালো লাগে। সব থেকে ভালো পদ্ধতি হলো যদি ব্লেন্ডারে শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
এগুলো হলো আমাদের সবার পরিচিত প্রিয় আম। আম ফলটি ছোট-বড় সবাই খুব পছন্দ করে। বর্তমানে বাজারে কিছু কিছু ব্যবসায়ীদের নিকট আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে এগুলো খাওয়াটা কতটুকু ভালো হবে সেটা আমি বলতে পারছি না। কারণ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো আম পারার সঠিক সময় হয়নি। তাই বাজার থেকে আম কেনার ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবেন। কিছু লোভী ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপোক্ত আম পেরে নিয়ে আসে। তারপর বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে সেগুলোকে পাকিয়ে বাজারে নিয়ে আসে। তাই অবশ্যই তাদের থেকে সতর্ক থাকবেন।
বন্ধুরা এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি। কাঁঠালের ক্ষেত্রেও কিছু লোভী ব্যবসায়ী অপোক্ত কাঁঠাল কিনে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে ফেলে। তারপর সেগুলো বাজারে নিয়ে আসে। এসব ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। মানুষের চুল পড়ে যায়, অল্প বয়সে মানুষের চুল সাদা হয়ে যায়। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন। মৌসুমী ফল যখন পুরোপুরিভাবে বাজারে আসবে তখন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু আনারস। এই ফলগুলো বাংলাদেশে চাষ হয়ে থাকে। তবে এগুলো বেশি চাষ হয় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল সিলেট ও চট্টগ্রামে। এই ফলটি আমার প্রিয় একটি ফল। আমার বড় আপুর বাড়ি সিলেট মৌলভীবাজার জেলায়। আপুর বাসায় গেলে আমি প্রচুর পরিমাণে আনারস খেয়ে থাকি। সিলেটের আনারস খুবই মিষ্টি। লবণ মরিচ দিয়ে খেতে দারুন লাগে।
বন্ধুরা দেখতে দেখতে আমি অনেকগুলো ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। আশা করি ফলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | বিভিন্ন ধরনের কিছু মৌসুমি ফলের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ১৭/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপু এত রাতে আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছা করছে খাইতে। আপনার করা প্রতিটি ফলের ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে। এই ফটোগ্রাফির প্রতিটি ফলই আমার ভীষণ পছন্দের। এমনকি আজকেও আমি আনারস খেয়েছি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম ঠিক বলেছেন বাংলাদেশ এখন সব ধরনের ফলের চাষ হয়ে থাকে । খেজুরের চাষ আসলে বাংলাদেশে হয়েছে দেখে ভালই লাগে । আর মৌসুমী ফলের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু ভালো হয়েছে । এগুলো খেতেও ভালো লাগে এবং এর ফটোগ্রাফিও দেখতে ভালো লাগে । তরমুজ আর আম অনেক পছন্দ বাঙ্গি খেতে ভালো লাগে না । এ ধরনের বাঙ্গির ছবি আমিও দুদিন আগে পোস্ট করেছিলাম নতুন ডিজাইনের বাঙ্গী দেখে ভালো লাগে ।
আজকে বেশ দারুণ কিছু ফলের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। তরমুজের ফটোগ্রাফি টা আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। রমজান মাসে তরমুজের ভীষণ চাহিদা ছিল। সকলেরই পরিচিত আমের ছবি ও কাঁঠালের ছবি দেখে ভালো লাগলো। আপনি বেশ সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি ও বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
আপু আপনার মৌসুমী ফলের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। তরমুজের ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আর এই গরমে তরমুজ খেতে বেশ ভালই লাগে। আর আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশে যেমন সব জিনিসের চাষ হয় না, তেমনি অন্য দেশেও আমাদের দেশের যে গুলো হয় তার অনেক কিছুই হয় না। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপনি আমাদের মাঝে আজকে বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছেন। এরমধ্যে আমার সবথেকে প্রিয় ফলটি হল আম। আসলে এখন আর বাজারে ভেজাল ছাড়া আম পাওয়া যায় না। যদিও ছোটবেলায় আমরা আমাদের কাছে পাকা আম এবং গাছের পাকা কাঁঠাল খেতাম। কিন্তু এখন যেহেতু বাইরে থাকি তাই আর গাছ পাকা আম এবং কাঁঠাল আর খাওয়া হয় না। যাইহোক আজকের পুরো ফলের ফটোগ্রাফি বিবরণটা অনেক সুন্দর ছিল।
এটা ঠিক বলেছেন আপু আমাদের দেশে যেই ফলগুলো পাওয়া যায় অন্যান্য দেশে অনেক সময় সেই ফলগুলো পাওয়া যায় না। ষড়ঋতুর এই দেশে ফলমূল অনেক বেশি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো আপু।
আসলে সব মাটিতে যেহেতু সবকিছু চাষ হয় না তাই বাংলাদেশের সব ফল উৎপাদন করা যাবে না এটাই স্বাভাবিক। তারপরও আমাদের দেশে অনেক ধরনের ফলই পাওয়া যায়। আপনি আজকে বেশ কয়েকটা ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং সুন্দর কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফলের ফটোগ্রাফির মধ্যে বাঙ্গি ফল খাওয়ার সুযোগ কখনই হয়নি। তবে বাকি ফলগুলো যেহেতু আমাদের এলাকায় পাওয়া যায়, তাই আলহামদুলিল্লাহ সবগুলোই খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে ফলের ফটোগ্রাফি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আহা 😋 আপনার পোস্ট দেখে তো ফল খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে 😄
সত্যিই আমাদের দেশে যে লোভনীয় ফলগুলো উৎপাদন হয় তা আর কোথাও হয় না। বিশেষ করে তরমুজ আর আম ভীষণ ভালো লাগে আমার। আপনার ফটোগ্রাফীর সাথে চমৎকার বর্ননা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে কিছু মৌসুমি ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফল আমাদের বেশ পরিচিত। আসলে এই ফলগুলো আমরা প্রত্যেকে কমবেশি খেয়ে থাকি। অতিরিক্ত গরমের সময় তরমুজ প্রায় প্রতিনিয়ত খাওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।