কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। সারাদিন মেয়েকে নিয়ে গরমের মধ্যে কোনো কাজ করা যায়না। তবো রাতে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করতে। তাই আপনাদের মাঝে, কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। আমার মোবাইলে সবগুলো ফটোগ্রাফি জমা ছিল। সেখান থেকে আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
বর্তমানে প্রচুর গরমে আমাদের সবার অবস্থা নাজেহাল। আমরা সবাই গরমে অতিষ্ঠ। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ একটু বৃষ্টির আশায়, একটু শীতল বাতাসের আশায় হাহাকার করছে। আমি এই ব্লগটি মেয়েকে নিয়ে বারান্দায় শুয়ে শুয়ে লিখতেছি।গরমের কারণে রুমে থাকা যাচ্ছে না। কাজকর্ম কিছু করতে মন চায়না। ইচ্ছে করে বরফের দেশে চলে যায়। তারপরও বেঁচে থাকতে হলে, কাজ করতে হবে। যতই গরম আসুক আমাদের জীবনটাকে মেনে নিতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তন করার জন্য আমাদের সকলের উচিত রবের কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা।
এখানে দুটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই ফুলের নাম হলো ব্লাডিং হার্ড ফুল। ফুলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর । তবে এর নামটা এতটাই কঠিন যে অনেকে উচ্চারণও করতে পারেনা। আমি এই ফুলের নামটি দেখে অবাক হলাম। কারণ সাদা ফুলের মাঝখানে আরো ছোট একটি লাল ফুল দেখা যায়। এই ফুলের নাম রাখা হয়েছে ব্লাডিং হার্ড। ফএলগুলো দেখতে খুবই চমৎকার। সৌন্দর্য বর্ধনে এরকম ফুল প্রায় অনেক দেখা যায়।
এখানে আপনারা সবাই দেখতে পারছেন যে একটি খাঁচার মধ্যে তিনটি কবুতর রয়েছে। একটি হলো কালো আর দুটি হলো ব্রাউন কালারের। কালো কবুতরটি বাড়িতে পোষ মানানোর জন্য আনা হয়েছে। আর ব্রাউন কালারের ছোট ছোট দুটি কবুতর যবে করার জন্য আনা হয়েছে। আমার ছোট ভাই কিছুদিন পর পর অনেকগুলো কবুতর নিয়ে আসে। কারণ তার পশুপাখি পালন করার একটা জোক আছে।
বই পড়ুন জীবন সুন্দর করুন। আমরা সবাই বই পড়ে কিছু না কিছু শিখতে পারি। সেটা হোক কবিতার বই,হোক সেটা গল্পের বই কিংবা মজার মজার জোকসের বই। যেকোনো বই আমাদের কোন না কোন কিছুই শিক্ষা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে বই পড়া। এইগুলো সবগুলোই বিভিন্ন ধরনের কিতাব। যে কিতাব গুলোর মধ্যে হাসি কান্না ও আনন্দ রয়েছে। এগুলো আমার বোনের বিদায় অনুষ্ঠানের সময় সকল বান্ধবীরা উপহার দিয়েছিল। আমি এই বইগুলো একসাথে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
এই ফুল গাছটি দেখতে খুবই সুন্দর। লতাপাতার মধ্যে লতানো এই ফুলগুলো সব সময় ঝুলে থাকে। তবে আমি এই ফুলের নাম কি জানি না। এই ফুলটি আমি প্রায় বাগানে দেখেছি। বিশেষ করে বড় বড় দালানের উদ্যানে এই ফুল গুলো দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন অফিস আদালতের সামনে এ ফুল গাছগুলো বেশি অংশ দেখা যায়। ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আপনারা কেউ যদি এই ফুলের নামটি জেনে থাকেন তাহলে, কমেন্টসের মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিয়েন।
এই ফুলের নামটি তো আপনাদের কাউকে বলতে হবে না। আপনারা সবাই এই ফুলের সম্পর্কে অবগত আছেন। এই ফলটি হচ্ছে কলাবতী বা কেন্যা ফুল। এই ফুলটি প্রায় বাগানে বর্তমানে দেখা যায়। এগুলো আমাদের বাণিজ্যিক বাজারে বিক্রি না হলেও। বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দূর থেকে ফুলগুলো অনেক আকর্ষণ করে। এই ফুলের বিভিন্ন কালার রয়েছে। বর্তমানে এই প্রচন্ড গরমে প্রকৃতির এই নিদর্শন গুলো টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ জ্ঞাপন করছি।
এখানে আপনাদের মাঝে আমি দুটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি পাতা বাহারের গাছ। আর কিছু অ্যালোভেরা গাছ। এই দুটি ফটোগ্রাফি আমার নিজ বাগানের। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি অনেকদিন আগেই ক্যাপচার করে রেখেছিলাম। তবে আপনাদের মাঝে এখনো পর্যন্ত শেয়ার করতে পারিনি। তাই আজ শেয়ার করে ফেললাম। বর্তমানে আমার গাছগুলো কেমন আছে তা জানিনা। কারণ আমি এখন আমার নিজ বাড়িতে থাকি না।
বারান্দায় মেয়েকে নিয়ে পোস্ট লিখতে লিখতে হঠাৎ বাহির থেকে জোরে বাতাস বইছে সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন বৃষ্টি নেমে অন্তর ঠান্ডা করে দিয়ে গেল।
আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। সবাই সবার জন্য জন্য দোয়া করবেন। সবার জন্য আমার পক্ষ থেকে দোয়া রইল, আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | নিজ বাসা,ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ,বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই গরমের কারণে সবারই একই অবস্থা আপু। সারাদিন কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। আর আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বুঝতে পারছি আপু। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
জ্বী ভাইয়া ব্যস্ত মানে অনেক ব্যস্ত আমি। তারপরও আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত পোস্ট করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জন জীবন। সবাই একটু তৃপ্তির খোঁজে বৃষ্টি ময় দিনের অপেক্ষায়। আমাদের এখানে কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হয়েছে তবুও প্রচন্ড গরম। আজকে আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন । তার মধ্যে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যেটা করতে আমিও পছন্দ করি । আমাদের সাথে আপনার করা ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন যেনে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া এই গরমের দিনে আল্লাহ যেনো আমাদের সকলকে রহমতের বৃষ্টি দান করেন সেই দোয়া করতেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ব্লাডিং হার্ড ফুল আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এ ফুলগুলো সব সময় সব জায়গায় দেখা যায় না। দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। ব্লাডিং হার্ড ফুলগুলো সব সময় সব জায়গায় দেখা যায় না। বড় বড় অফিস আদালতের সামনে মাঝে মাঝে বা বড় বড় পার্কে মাঝে মাঝে এই ফুলগুলো দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ বিভিন্ন পর্যায়ের সুন্দর সব রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে একটা জিনিস আজকে আমি নতুন দেখলাম তা হচ্ছে ব্লাডিং হার্ড ফুল। এই ফুলটা আমি পূর্বে কখনো দেখিনি আর এর নামটাও আমার জানা ছিল না। আজ আপনার মাধ্যমে কিন্তু জানতে পারলাম।
যেনে অনেক খুশি হলাম যে, আপনি এই প্রথম ব্লাডিং হার্ড ফুল দেখেছেন। আর এর নামটি আজকে আমার পোস্টের মাধ্যমে জেনেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্লাডিং হার্ড ফুল গুলো আমি দেখেছিলাম তবে নাম জানা ছিল না। ফুলগুলো কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর। আজকে নাম জেনে ভালো লাগলো। অ্যালোভেরার ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লাগলো দেখে। নতুন নতুন অনেক চারা বের হয়েছে। বইয়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভালো লাগলো। বেশ কয়েক ধরনের বই রয়েছে আপনার কাছে। ধন্যবাদ আপু এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমরা অনেক ফটোগ্রাফি দেখতে পাই। যেগুলোর মধ্যে আমরা অনেক নতুন নতুন নাম সম্পর্কে জানতে পারি।ধন্যবাদ আপু বুঝিয়ে কমেন্ট করার জন্য।
আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। তবে আমার কাছে এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এগুলোর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপভোগ করতে পারি। আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এই কমিউনিটিতে সবাই কম বেশি এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে। এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু বই পড়লেই জীবন সুন্দর।যেকোনো ধরনের বই মানুষকে জ্ঞানী করে তোলেন।সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে আমি অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। যখন একের পর এক ফটোগ্রাফি দেখছিলাম এবং বর্ণানাগুলো পড়ছিলাম তখন অনেকটাই ভালো লাগছিল। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে এবং এর মধ্যে প্রথমে যে আপনি যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।