লাউ চিংড়ি রেসিপি।।
হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে ও আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। আমার রেসিপিটি হচ্ছে লাউয়ের। আর লাউয়ের সাথে খুব সহজে মিলে যায় চিংড়ি। তাই এই রেসিপিটির নাম হচ্ছে লাউ চিংড়ি রেসিপি। চলুন আপনাদের মাঝে রান্নার প্রত্যেকটি ধাপ শেয়ার করি। আশা করি আমার আজকের এই রান্নার ধরন আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
- লাউ তিন ভাগের এক ভাগ
- নদীর দেশি ঝুড়ি চিংড়ি মাছ
- পেঁয়াজ কুচি
- টমেটো
- কাচাঁ মরিচ
- রসুন বাটা
- জিরা বাটা
- ধনিয়ার গুড়ো
- ধনিয়া পাতা
- হলুদের গুড়ো
- লবন
- পানি
- সয়াবিন তৈল
প্রথম ধাপ-
প্রথমে সবকিছু কেটে কুটে রেডি করে তারপর রান্না করতে খালি পাতিল চুলায় বসিয়ে দিলাম। রান্না করার আগে সবকিছু গুছিয়ে নিলে রান্না করা কোন ব্যাপারই না। পাতিলটা হালকা গরম হলে তার মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ কুচি। তেমন ব্রাউন করে না ভেজা হালকা একটু ভেজে নিলাম। সেই হালকা পেঁয়াজ গুলোর উপরে জিরা বাটা, থেতলে রাখা রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। তারপর এগুলো হালকা নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ-
এই পর্যায়ে ভেজে রাখা পিয়াজের তেলের ওপর জিরা বাটা ও রসুন বাটা গুলো দেয়ার পর হালকা ভেজে নিয়েছিলাম। তারপর ছেড়ে দিলাম হলুদের গুঁড়ো ও ধনিয়ার গুঁড়ো। সেগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
এই ধাপে কষানো মসলাগুলোর উপর চিংড়ি মাছ ও লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর চিংড়ি মাছগুলোকে কিছুক্ষণ রান্না করলাম। চিংড়ি গুলো ভালোভাবে কষানো হওয়ার পর। তাতে দিয়ে দিলাম কেটে রাখা লাউ এর টুকরাগুলো। তারপর হালকা নেড়েচেড়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ-
এ পর্যায়ে মাছগুলোর সাথে লাউ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। তাতে এক কাপের অর্ধেক পানি দিয়ে দিলাম। তারপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা উঠিয়প দেখলাম ভালো করে বলক এসেছে ও লাভ গুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে এসেছে।
পঞ্চম ধাপ
এ পর্যায়ে লাউ অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে আসার পর তাতে টমেটো দিয়ে দিলাম। টমেটোর উপরে আবার ধনিয়া পাতা ও কয়েকটা কাঁচামরিচ দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। তারপর দুই তিন মিনিট রান্না করে চোলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এভাবে তৈরি হয়ে গেল মজাদার লাউ চিংড়ি রেসিপি।
উপস্থাপনা
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের রেসিপি। রেসিপিটি খুবই টেষ্ট হয়েছে। দেশি চিংড়ি মাছের রেসিপি করতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া লাউ চিংড়ি রান্না করলে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। আশা করি আজকে আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। এ প্রত্যাশা নিয়েই আজকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | লাউ চিংড়ি রেসিপি ।।।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৭-০৩-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। লাউ চিংড়ির দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। মনে হচ্ছে খেতেও দারুণ হয়েছিল। অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি আপু এই রেসিপিটি খেতে দারুন হয়েছিল। আপু আপনার ভাইয়ার কাছ থেকে ও অনেক প্রশংসা পেয়েছি। ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। লাউ চিংড়ি আমার খুবই পছন্দের। মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু লাউ দিয়ে আমার বিভিন্ন মাছ খাওয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে লাউ চিংড়ি খাওয়া হয়। আপনারও দেখছি আমার মত লাউ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। লাউ খেতে আমার ভালো লাগে। আজকেও আমি লাও রান্না দুপুরের খাবার খেয়েছি। আসলে আপু চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক স্বাদ হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া তাহলে তো আমি আর আপনি মিলে গেছি। যাই হোক আপনি দেখছি লাউ পছন্দ করেন। আর লাউ খেতে সবারই ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেয়েছি কিন্তু এর মধ্যে টমেটো ও ধনিয়া পাতা দেওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি টা দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে আপু। রেসিপি কালার টা অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু লাউয়ের মধ্যে টমেটো আর ধনিয়া পাতা দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। তাই এই দুটো অ্যাড করেছি। ধন্যবাদ আপু।
এই গরমের দিনে লাউ এর তরকারি খেতে মনে হয় ভালই লাগবে । কারণ লাউ ঠান্ডা একটি তরকারি লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে কিন্তু ভালোই লাগে । আপনার রেসিপিটা ভালোই লাগলো । চিংড়ি মাছ যে কোন তরকারির সাথে সুন্দর ভাবে মিলে যায় খেতে ভালো লাগে ।
এই গরমে লাউয়পর তরকারি খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। ধন্যবাদ আপু।
লাউ চিংড়ি রেসিপি এটা বেশ দারুণ ছিল। লাউ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে চিংড়ির সাথে বেশ দারুন ভাবে জমে ওঠে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া, প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো সঠিক মাত্রায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কারণ হচ্ছে, যে কেউ এই রেসিপিটি দেখে যাতে রান্না করতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ যেকোনো কিছু দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর লাউ চিংড়ি হলে তো কথাই নেই। আপনি লাউ চিংড়ির মধ্যে আবার টমেটো দিয়েছেন এতে নিশ্চয়ই খেতে আরো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
জ্বী আপু চিংড়ি মাছ যে কোন সবজির সাথে মানায়। আর লাউয়ের সাথে সবচেয়ে বেশি ভালো মানায়। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু।
লাউ চিংড়ি দিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই সুন্দর রেসিপি উপস্থাপনা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেসিপিটা আমার কাছে বেশ সুস্বাদু মনে হয়েছে। কারণ তার কালার আর রান্নার ধরনটা দেখে বোঝা যায় গুণগতমান।
ভাইয়া আমার এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানে অনেক ভালো লাগলো। আর দেখে যেমন মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে খেতে ও তেমন সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু চিংড়ি মাছের তুলনা হয় না। আমরা চিংড়ি মাছ দিয়ে যাকিছু রান্না করি না কেন অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু চিংড়ি মাছ দিয়ে আমরা যা কিছু রান্না করি না কেন, তাই মজা লাগে। আর আমার রেসিপিটি আসলে অনেক মজা হয়েছে। আর কালারটা আরো সুন্দর হয়েছিল। ফটোগ্রাফিতে তেমন ভালো ওঠেনি। ধন্যবাদ আপু।