আমাদের বাসার ছাদের কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। সেটি হল আমাদের বাসার ছাদের কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি। অনেকদিন পর নিজের বাড়িতে আসলাম ঢাকা থেকে। তারপর ছাদের অবস্থা দেখে আমার মনটা অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে। কারণ আমার বাগানের যত্ন কেউ করে না।অ্যালোভেরা গাছ এবং ফুল গাছের পাশে প্রায় অনেক আগাছা জন্মে গেছে। আবার দেখলাম আমার আম্মু লাউ গাছ এবং সিম গাছ রোপন করেছে ঐগুলো দেখে আমার একটু ভালো লাগলো।
আসলে যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসে তাদের মন অনেক নরম হয়। আমার আম্মু আমার মত খুবই সরল। তিনিও প্রকৃতি খুব পছন্দ করে। আমি যখন বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ লাগাতাম তখন মা আমাকে সাপোর্ট করতো। আমা সাথে মাও টব গুলো এগিয়ে দিতো। মাটি সংগ্রহ করে দিতো। আমার মাঝে মাঝে মাটির টব বানিয়ে রং করে আমাকে দিতো। আমি আর মা মিলে অনেক গাছ লাগাতাম। আমার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে মা একা হয়ে গেছে। তারপরও মা মাঝে মাঝে কিছু গাছ লাগিয়েছে। সে গুলোই আজকে আপনাদেরকে দেখাবো। চলুন এই পর্যায়ে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন আমাদের ছাদ বাগানের কর্নারে আমার আম্মু শিম গাছের বীচ রোপন করেছে। শিম গাছের চারাগুলো অনেক সুন্দর ভাবে বেরে ওঠছে বৃষ্টির জন্য।এখন বৃষ্টির মৌসুম এই সময় গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই হয়তো গাছগুলো এত সুন্দর ভাবে জন্মেছে।
ছাদের আরেক কর্নারে আমার আম্মু লাউ গাছের চারা রোপন করেছে। আমাদের বাড়ির চালের উপরে বাইকে দিয়েছে। লাউ গাছের আগা টগা বেড়ে ওঠছে। দেখতে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের বাড়িটা খুবই ছোট,জায়গা কম। তারপও এই অল্প একটু জাগায় আমার বিভিন্ন সবজি ও ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকি।
আমার ছাদ বাগানে বেশি অংশ ফুল গাছের চারা ছিল এবং এলোভেরা গাছের। তবে আমার বিয়ে হওয়ার পরে আমার অনেক ফুল গাছই মরে গেছে। তাই আমার আম্মু আমার অনেকগুলো টবের মধ্যে বিভিন্ন ফল গাছ লাগিয়ে নিয়েছে। দেখতে পাচ্ছেন এটি বেলুম্বুর চারা এটাও আমার আম্মু রোপন করেছে। আম্মু ফুল থেকে ফলের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি পেয়ারা গাছের চারা আর একটি ওলবরই গাছের চারা। খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে চারা গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে নতুন যৌবন পেয়ে গাছ গুলো বেড়ে উঠছে। আমাদের দিকে ওলবরই বলে আপনাদের দিকে কি ফল বলে কমেন্ট করে জানাবেন। ফলটা একটু টক।
এগুলো হচ্ছে ড্রাগন ফল গাছ। ড্রাগন ফল গাছগুলো বৃষ্টিতে নুয়ে গেছে এগুলোর পরিচর্যা করতে হবে। এই গাছগুলোতে অনেকগুলো ড্রাগন ফল হয় এবং একটি ফল পাকতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। এই গাছের ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথেও শেয়ার করেছিলাম। এই ড্রাগন গাছ গুলো লাগিয়েছে আমার ছোট বোন।
আপনারা চিনতে পারছেন এটি কি ফল? হ্যাঁ অনেকে হয়তো চিনতে পারছেন এটা হচ্ছে বাঙ্গি। আমাদের ছাদ বাগানে কিছুদিন পরপর একটি করে ভাঙ্গি পাকে। কোন মৌসুম ছাড়াই সারা বছর বাঙ্গি ফল পাওয়া যায়। আপনারা দেখতে পারছেন একটি বাঙ্গি পেকে রয়েছে অলরেডি। একদম গাছপাকা হলুদ রঙের। খেতেও অনেক মিষ্টি হয়েছিল। মাঝে মাঝে এক দুইটা পচে যাই তাই বাঙ্গির নিচে একটি পলিথিন দেয়া হয়েছে যাতে নিচের অংশটা পচে না যায়।
আমার ফুলের বাগান টাকে একদম সবজির বাগান বানিয়ে ফেলেছে আমার আম্মু। যাই হোক অনেক ভালো লেগেছে খুব সুন্দর ভাবে বেগুন ধরেছে। অবশ্য বেগুন আমি পছন্দ করি না কিন্তু গাছে ফল ফুল ফুটলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যে কোন গাছই সুন্দর। পরিচর্যা করলে ফল দিবেই দিবে।
আমি প্রকৃতি ফুল পাখি মাছ এগুলো খুবই পছন্দ করি।আমার মাছের এ্যাকোরিয়ামও ছিল এবং দুইটা পাখিও ছিল।কিন্তু আমার মাছের একোরিয়াম থেকে আমার ছোট ছোট ভাগিনা ভাগনিরা মাছগুলো বের করে মেরে ফেলেছে। দুইটা লাভ্বার্ট পাখি ছিল একটি মারা যাওয়ার পর আরেকটা পাখি আমি এমনিতেই ছেড়ে দিয়েছি।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আশা করি, এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর আমার বাগানের অনেকগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি রয়ে গেছে সেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কেমন লেগেছে আজকে আমার পোস্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ-
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনাদের বাসার ছাদের উপরে দেখছি অনেক রকমের সবজি গাছ রয়েছে। ছাদের উপরে এরকম ভাবে বাগান তৈরি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার ভাগিনা ভাগ্নি আপনার এ্যাকোরিয়ামের মাছ গুলো মেরে ফেলেছিল জেনে অনেক খারাপ লেগেছে। আর দুটি পাখির মধ্যে একটা পাখি মারা যাওয়ার পর আরেকটা কে আপনি নিজে ছেড়ে দিয়েছিলেন । বুঝতে পারছি আপনার অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল এই বিষয়গুলোতে।
জি আপু আমার ভাগ্নির কাজগুলোতে আমার অনেক খারাপই লেগেছিল। তবে এইসব গাছ গুলোতে ফুল ফল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক আনন্দ লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার বাসার ছাদে তো অনেক ধরনের সবজি রয়েছে। আর আপনি তো আপনার বাসার ছাদে খুবই সুন্দরভাবে বাগান তৈরি করে ফেলেছেন৷ তাহলে আমরা সকলে মিলে আপনার বাসার ছাদে ঘুরে আসবো এই বাগানটি দেখার জন্য৷ একই সাথে এই বাগান থেকে কিছু নিয়ে চলে আসব৷
অবশ্যই আপনারা আমাদের বাসায় চলে আসেন এবং যাওয়ার সময় সবজি নিয়ে যাবেন। আপনাদের সবাইকে অগ্রিম দাওয়াত রইল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই বাঙ্গি কতই না ট্রলের শিকার হা হা। আপনাদের ছাদ বাগানে এতো সুন্দর বাঙ্গি দেখেই ভালো লাগছে। এবং আপনাদের ছাদ বাগানে বেশ সুন্দর সুন্দর গাছ আছে। দেখে বেশ ভালো লাগল। একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশ। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জ্বী ভাইয়া প্রতি মাসেই বাঙ্গি খাওয়া হয়। নিজের ছাদ বাগানের এই প্রকৃতির দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ এক কথায় অসাধারণ আপু ছাদ বাগানের বর্ণনা গুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক পরিশ্রম হয়েছে ছাদ বাগানে। যেহেতু আপনি নাই আন্টি কিন্তু সব সময় পরিশ্রম করেন। বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছে বিভিন্ন সবজির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
জি আপু আমার আম্মু আমার মতই প্রকৃতিপ্রেমী। তিনি একটু খালি জায়গা পেলেই গাছ লাগিয়ে দেন। আর এই গাছগুলোর পেছনে উনি অনেক পরিশ্রমও করেন। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের বাসার ছাদের উপর থেকে খুব সুন্দর প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনাদের বাসার ছাদের উপর অনেক ধরনের গাছ লাগিয়েছেন। শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনার বিয়ের পরে এই টবের মধ্যে গাছগুলো মেরামত আপনার মা করতেছে এবং দেখাশুনা করতেছে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সম্পূর্ণ অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জ্বী আপু আমার বিয়ের পর থেকে এই বাগানের দায়িত্ব আমার আম্মু নিয়ে নিয়েছে। আমি থাকতেও আমাকে অনেক এবং ফলের গাছ কিনে এনে দিত। আপু প্রকৃতির দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। ধন্যবাদ আপু
আপনাদের বাসার ছাদের উপর অনেক ধরনের গাছ এবং সবজি গাছ লাগিয়েছেন। তবে আপনাদের ছাদের উপর থেকে কিছু বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে এখন বেশিরভাগ বাসার ছাদের উপর টবের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে কুমড়ো এবং বেগুনের ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে। যদিও এই গাছগুলো আপনার আম্মু দেখাশোনা করে। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।