ABB Contest-45 || লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ-
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি লাল শাক দিয়ে দারুন সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করবো। এই রেসিপিটা আমি আজকে প্রথম তৈরী করলাম। এই রেসিপির মাধ্যমে আমি আমার বাংলা ব্লগের ৪৫ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমাদের প্রিয় কমিউনিটিতে প্রতি মাসেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আমি সবসময় চেষ্টা করি প্রতিযোগিতা গুলোতে অংশগ্রহন করতে। কারন একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা মানে একটি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করার মত। আর একটি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করলে অনেক বিষয় জানা হয়ে যায়। তেমনি প্রতিযোগিতাও ঠিক একটি পরিক্ষার মত। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করলেও অনেক বিষয়ে জানা যায়। নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
আমাদের কমিউনিটির ৪৫ তম প্রতিযোগিতার বিষয় হলো “শেয়ার করো তোমার প্রিয় শাকের সেরা রেসিপি”। যে কোন শাক শরীরের জন্য খুবই উপকারি। আর শাক অনেক ভাবে খাওয়া যায়। শাকের সাথে কোন কিছু মিক্স করেও খাওয়া যায়,নরমাল ভাবেও খাওয়া যায় আবার ভর্তা করেও খাওয়া যায়। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই খাওয়া যায়। আমার ইচ্ছা ছিল পালং শাক দিয়ে একটি রেসিপি তৈরী করবো। কিন্তুু অনেক জাগায় খোঁজাখুজি করেও পালং শাকের সন্ধান পেলাম না। গত মাস থেকে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে কৃষকরা পালং শাক চাষ করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য শাক চয়েজ করতে হলো।
যেহেতো প্রতিযোগিতা তাই ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করছিলাম। সেজন্য আমি আজকে অনেক খুজেঁ ইউনিক একটি রেসিপি তৈরী করেছি। আমি লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট রেসিপি তৈরী করেছি। রেসিপিটা তৈরী করার পরে এত সুস্বাদু হয়েছে যে বলে বুঝানো যাবে না। আমাদের ফেমিলির সবাই সেই রেসিপি খেয়েছে। আমার বাবা আমার রেসিপি খেয়ে আমার অনেক প্রশংসা করেছে। আমি ছবি তুলে কি করবো, এই ছবি পোষ্ট করলে কি হবে....এসব বিষয়ে অনেক প্রশ্ন করেছে। আমি তাদেরকে যথা সম্ভব বুঝিয়ে বলেছি। বাবা আর মা বললো ভালোই হয়েছে,মজার একটি জিনিষ খাওয়া হয়েছে আবার প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহন করা হয়েছে। আমি প্রতিযোগিতায় কোন স্থান অর্জন করতে পারি আর না পারি আমার মা-বাবা যে খুশি হয়েছে,এটাই অনেক বেশি। যায়হোক এখন রেসিপির বিস্তারিত শেয়ার করছি।
লাল শাক | পরিমান মত |
---|---|
চিংড়ি মাছ | ৫.০০ গ্রাম |
বেসন | দেড় কাপ পরিমান |
কাঁচা লংঙ্কা | পরিমান মত |
পেয়াঁজ কুচি | পরিমান মত |
আদাঁ বাটা | পরিমান মত |
রসুন বাটা | পরিমান মত |
কালো জিরা | দুই চিমটি |
লবন | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমান মত |
ধনিয়ার গুঁড়ো | পরিমান মত |
জিরে গুঁড়ো | পরিমান মত |
লেবু | একটি |
সয়াবিন তেল | পরিমান মত |
বিলাতি ধনিয়া পাতা | পাঁচটি |
তালমাখনা | দুই চা চামচ |
খাবার সোডা | এক চা চামচ |
![]() | ![]() |
---|
প্রথম ধাপ-
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
প্রাথমিক পর্যায়ে আমি লাল শাক,চিংড়ি মাছ সহ সমস্ত উপকরন কেটেকুটে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কারে আলাদা আলাদা করে গামলাতে এবং বাটিতে রাখলাম। উপকরন গুলো রেডি করতে পারলেই ৭০% কাজ শেষ হয়ে যায়। তারপর চিংড়ি মাছ ব্যতীত লাল শাকের সাথে এক এক করে সমস্ত উপকরন দিয়ে দিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ-
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এই পর্যায়ে আমি লাল শাকের সাথে দেওয়া সব উপকরন এক সাথে গামলাতে মিক্স করে নিলাম। তারপর চিংড়ি মাছের সাথে আদাঁ বাটা,রসুন বাটা,লবন আর লেবুর রস দিয়ে মিক্স করে নিলাম। এখন মূল কাজ শুরু করার পালা।
তৃতীয় ধাপ-
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এখন আমি লাল শাকের সাথে মসলাপাতি দিয়ে যে মিশ্রনটা তৈরী করেছি,সেখান থেকে অল্প অল্প মিশ্রন নিয়ে মাঝখানে একটি করে চিংড়ি মাছ দিয়ে লেপটে দিলাম। মানে কাটলেট বানিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ-
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এভাবে একটি একটি কাটলেট বানিয়ে একটি ডিসের মধ্যে সাজিয়ে রাখলাম। সম্পূর্ণ মিশ্রনটা বানানো শেষ হলে চুলাতে কড়াই বসিয়ে তাতে সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার পরে কাটলেট গুলো ধীরে ধীরে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। আর চুলার আগুনটা কিছুটা বাড়িয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ-
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এই পর্যায়ে সব গুলো কাটলেট ভাজা ভাজা হওয়ার পর উঠানো শুরু করলাম। কাটলেট গুলো ভাজার সময় এত ঘ্রাণ লেগেছে যে বলে বুঝানো যাবে না। সারা বাড়ি ঘর ঘ্রাণে মোহিত হয়ে গেছে। রাতে ভেজেছিলাম ভাইয়া আর বাবাও বাসায় ছিল। তারা বারবার জিঙ্গেস করছিলো এত ঘ্রাণ কিসের। পরিবেশন শেষ করে তাদেরকে যখন খেতে দিলাম তারা অবাক হয়ে গেল।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হলো আমার আয়োজন। রেসিপিটা তৈরী করতে মোটামুটি অনেক সময় লেগেছে। সময় লাগলেও যেভাবে চেয়েছি সেভাবে হয়েছে। আর স্বাদ ছিল অতুলনীয়। যার ফলে তিন চার ঘন্টা সময়ের কষ্ট সফল হয়েছে। যথা সম্ভব বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। বর্ণনা অনুযায়ী যে কোন মানুষ এই রেসিপিটা তৈরী করতে পারবে। আশা করি মসলাপাতির পরিমানের দিকে একটু খেয়াল রাখলে আর কোন সমস্যা হবে না। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। সেই কামনা করে বিদায় নিতেছি।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট ।। |
স্থান | নিজ বাসা,ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৩-১০-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
![qPJmwNUkWBAaDEoDjHMPfsMwgtrUZt8qa7V155BbYgaJXHJ1RRNUNKdUiokw5GRZBvxgBBVEBbKqo6AEzUdFuSjduriYosyxZpyV2NieiYVe9S7mZQWR5gqWDfUtgpTz9WdEfzJF5Qt9UgiEmiRwaanKp7xXNAvvPsx6VQk1YJh91QHG4o1.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/qPJmwNUkWBAaDEoDjHMPfsMwgtrUZt8qa7V155BbYgaJXHJ1RRNUNKdUiokw5GRZBvxgBBVEBbKqo6AEzUdFuSjduriYosyxZpyV2NieiYVe9S7mZQWR5gqWDfUtgpTz9WdEfzJF5Qt9UgiEmiRwaanKp7xXNAvvPsx6VQk1YJh91QHG4o1.gif)
নতুন একটা ইউনিক রেসিপি সম্পর্ক অবগত হলাম আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্ট দেখে। অনেক সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে লালছশাক ও চিংড়ি দিয়ে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে দারুণ রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত তেলে ভেজেছেন বলে হয়তো বেশি সাধ হয়েছে।
জী ভাইয়া, তেলে ভাজার পর খুবই দারুন গন্ধ বেরিয়ে ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। আপনি প্রথমবার এই রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোন রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।
জি আপু আমি ইউনিক রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায় এবং সবকিছুর সাথেই মানায়। ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের এই সুন্দর শাকের রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি বেশ সুন্দর করে লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট তৈরি করেছেন যা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এ প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
জ্বী ভাইয়া লাল শাকের এ কাটলেট টা দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতে ও অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য। আপু আপনি কিন্তু দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট তৈরিটা খুবই দারুণ দেখাচ্ছে। আর দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে খেতেও ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। তুই যদি ধাপ গুলো খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া লাল শাকের কাটলেট খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটি আমি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছি যাতে সবাই দেখে তৈরি করতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটির প্রতিযোগিতা মানেই বেশ ইউনিক কিছু দেখতে পাওয়া। আপনি আজকে লাল শাক এবং চিংড়ি দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রস্তুত করা রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেই ইউনিক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। আপনার জন্য ও ভকামনা রইল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট বাহ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দারুন ইউনিক একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। দেখে ভালো লাগলো। আর বাবা-মাকে খাইয়ে খুশি করাতে পেরেছেন এটি সবথেকে বড় বিষয় পুরস্কার পান আর না পান ।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু, আমার আম্মু আব্বু রেসিপিটি পছন্দ করেছে এটাই অনেক । পুরষ্কার না পেলেও এাটাই বড়
। আপনিও বাসায় তৈরি করে দেখবেন। আপনার কাছেও ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। লাল শাক দিয়ে চিংড়ি কাটলেট দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ আপনার রেসিপিটি খুবই ইউনিক মনে হয়েছে আমার কাছে। আশা করি আমরা বেশ মজার মজার রেসিপি দেখতে পাবো। আপনার রেসিপিটাও অসাধারণ মনে হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
জী আপু, এটি ইনিক ছিলো, আরো নতুন নতুন ইউনিক রেসিপি দেখা যাবে এবারের কন্টেস্টে। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক অনেক শুভকামনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট বেশ ইউনিক একটা রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি টা দেখতে দারুন লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু চেস্টা করেছি সু্ন্দর করে উপস্থাপন করতে, দেখতে যেমন দারুন মনে হচ্ছে খেতে কিন্তু আরো দারুন ছিলো। ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। লাল শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের কাটলেট রেসিপিটা খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো থাকবেন।
আমার আজকের রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনিও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।