বেলে মাছের রেসিপি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বেলে মাছের রেসিপি শেয়ার করবো।
বেলে মাছ আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি মাছ। যেটা গ্রাম বাংলাতে বেশি দেখা যায়। গ্রামের পুকুর খাল বিল ও নদীতে এই মাছটা বেশি পাওয়া যায়। এই বেলে মাছ গুলো হলো আমাদের তিতাস নদীর মাছ। এই রেসিপিটা করেছি বেশ কয়েকদিন আগে। তবে শেয়ার করা হয়নি। আমার মা আমাদের বাসায় আসার সময় এই বেলে মাছ গুলো নিয়ে এসেছিলেন। আমি আবার বেলে মাছ খুবই পছন্দ করি। যার ফলে মা আসার সময় অন্যান্য মাছেল সাথে আমার জন্য আমার পছন্দের মাছ ও নিয়ে আসলেন। আসলে মা ছাড়া পৃথিবীতে আপন কেউ নেই। মা যতদিন আছে তত দিনই মেয়েদের বাবার বাড়ি থাকে। মা ছাড়া বাবার বাড়িতে কোন শান্তি নেই। মায়ের ভালোবাসার তুলনা হয় না।
বেলে মাছ | ২৫০ গ্রাম |
---|---|
কাঁচা মরিচ | চার পিস |
পেঁয়াজ | দুই পিস |
টমেটো | একটি |
তেল | পরিমান মত |
মরিচের গুঁড়ো | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমান মত |
জিড়ে গুঁড়ো | পরিমান মত |
লবন | পরিমান মত |
পানি | পরিমান মত |
এখন রন্ধন পদ্ধতি প্রকাশ করছি-
মাছ গুলো কেটে কুটে পরিষ্কার করে বাটিতে নিলাম। আর বাকি সব উপকারন কেটে আরেকটি প্লেটে রাখলাম। তারপর চুলাতে আগুন দিয়ে একটি পাতিল বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম।
তেল গরম হলে কাঁচা মরিচ, পেয়াঁজ কুচি, রসুন সহ সব উপকরন পাতিলে দিয়ে দিলাম। তারপর সব কিছু নেড়ে চেড়ে ভালো ভাবে মিক্স করে নিলাম।
সব মসলা মিক্স করে তাতে আমি টমেটোর টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর আগুনের আঁচটা একটু বাড়িয়ে দিলাম। মসলা গুলোর সাথে টমেটো গুলো ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
টমেটোর টুকরো গুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে আসলে, তাতে আমি বেলে মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। কারন টমেটোর সাথে বেলে মাছ গুলোও সিদ্ধ হবে। টমেটো আর মাছ গুলোর সাথে লবন দিয়ে মিক্স করে ডাকনা দিয়ে ডেকে দিলাম।
এই পর্যায়ে মাছ ও টমেটো গুলো হালকা কসিয়ে অল্প একটু পানি দিয়ে দিলাম। কারন এতক্ষনে মসলা গুলো মাছের ভিতরে প্রবেশ করেছে। এখন পানি দিলে আর সমস্যা নাই। এখন আগুনের আঁচটাও বাড়িয়ে দিলাম।
প্রায় আধা ঘন্টা কুক করার পরে আমার রেসিটা পুরোপুরি ভাবে হয়ে গেছে। এই রেসিপিটা করতে বেশি জামেলা নাই আবার সময়ও বেশি লাগে না। খুব সহজ ভাবেই এই রেসিপিটা করা যায়।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের রেসিপি। রেসিপিটা করার পরে খেয়ে দারুন স্বাদ লেগেছিল। যখন রেসিপিটা করেছি তখন ধনিয়া পাতা ছিল না। ধনিয়া পাতা দিতে পারলে আরো বেশি স্বাদ হতো। তবে আপনার ধনিয়া পাতা থাকলে অবশ্যই দিবেন। কেমন হলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বেলে মাছের রেসিপি।। |
স্থান | নিজবাসা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২২-০৮-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
নদীর খুব সুস্বাদু একটি মাছ হলো বেলে মাছ কাটাহীন এই মাছ খেতে বেশ দারুন লাগে।বিশেষ করে এটার চরচরি রান্না করলে দারুন লাগে খুব সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
মা ছাড়া পৃথিবীতে আপন কেউ নেই। এটি একদম ঠিক বলেছেন মা যতদিন আছে মেয়েদের ততদিন বাবার বাড়ি থাকে। যাইহোক আজকে আপনি বেলে মাছের চমৎকার রেসিপি করেছেন। বেলে মাছ আমাদের গ্রামে নদীতে অনেক পাওয়া যায়। এই মাছগুলো রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
টমেটো দিয়ে বেলে মাছের ঝোল রান্না করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মায়ের আনা মাছগুলো আপনি এত সুন্দর করে রান্না করে রান্নার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
পুকুরের মাছের থেকে নদীর মাছ অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। কিন্তু নদীর মাছ সবসময় পাওয়া যায় না। তিতাস নদী থেকে বেলে মাছ এনে রান্না করেছেন তাহলেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজাদার হয়েছিল। তাছাড়া আপনি যেভাবে রান্না করেছেন দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। বেলে মাছ আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে।
বেলে মাছ খুবই সুস্বাদু মাছ তবে এই মাছ আমাদের এলাকায় পাওয়া যায় না জন্য খাওয়া হয়না বেশি।আপনি চমৎকার সুন্দর করে বেলে মাছের রেসিপিটি করেছেন।আমার তো লোভ ধরিয়ে দিলেন। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
🌟 What a wonderful collection of art! 🎨 I'm loving the vibrant colors and creative expressions in these images! 😍 It's amazing to see the diversity and talent within our Steemit community. 🤩 Let's keep sharing and discovering new works like these! 💡 And don't forget, your vote for @xpilar.witness can help us continue to grow and thrive as a community! 🙏 Head over to https://steemitwallet.com/~witnesses to cast your vote and let's keep the magic happening! 🔮
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মা সবসময় সন্তানের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার চেষ্টা করে আপু। তাইতো আপনার পছন্দের মাছ নিয়ে এসেছে। বেলে মাছ খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন টমেটো দিয়ে বেলে মাছ রান্নার রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল চলে আসলো। এর আগে কখনো এতগুলো বেলে মাছ একসাথে রান্না করে খাওয়া হয়নি। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রসেস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নদীর যে কোন মাছ খেতে অন্য রকম মজা লাগে। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারাতো চাষের মাছ খেয়েই অভ্যস্ত। গ্রামের বাড়ি গেলে নদীর মাছ খাওয়া হয়। আপনি আজ নদীর বেলে মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে বেশ মজা হয়। আপনার রেসিপিটিও নিশ্চয়ই বেশ হয়েছিল। বেলে মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।