নদীর মাছ দিয়ে শসার সুস্বাদু রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো। আমি আমার জীবনে এই প্রথম শসা দিয়ে রেসিপি তৈরী করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি অনেক পছন্দ হবে।
আমি এতদিন শসাকে সালাদ হিসাবেই জেনে এসেছি এবং সব সময় সালাদ হিসাবেই খেয়ে এসেছি। কিন্তু ঢাকায় আসার পর আমি জানতে পারলাম যে শসা দিয়ে তরকারি রান্না করা যায়। তবে শসা দিয়ে তরকারি রান্না করে আমি আর কখনো খাইনি। যার ফলে শসা দিয়ে তরকারি রান্না করে খেতে কেমন লাগে, সেটা জানার জন্য আমার মনে কৌতুহল জাগে। যার ফলে আমি আমার হাজব্যান্ড কে বললাম বাজার থেকে শসা নিয়ে আসার জন্য। যদিও প্রায় সময়ই আমাদের বাসায় শসা থাকে। আমার আম্মু আমাকে কিছু নদীর মাছ দিয়েছিল। আমি চিন্তা করলাম নদীর এই মাছগুলো দিয়ে শসার রেসিপি টা তৈরি করবো।
শসা খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। শসার উপকারিতা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। শসা যেমন খালি খাওয়া যায় আবার তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে যেভাবে খাওয়া হয় না কেন সেটা শরীরের খুবই উপকার করে। বিশেষ করে যাদের শরীরে বেশি মেদ আছে তারা যদি নিয়মিত শসা খায় তাহলে শরীরের মেদ অনেকটাই কমে যাবে। তাহলে চলুন আমি আমার রেসিপির বিস্তারিত নিচে শেয়ার করছি।
রেসিপি তৈরি করার প্রয়োজনীয় উপকরণ-
- শসা তিনটি।
- নদীর জাতীয় কিছু মাছ।
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদাবাটা
- রসুন বাটা
- জিরাবাটা
- তেল পানি
- হলুদের গুড়ো
- মরিচের গুড়ো
- লবন
প্রথমে আমি শসা গুলো ধুয়ে চামড়া ছুলিয়ে পিস পিস করে কেটে একটি প্লাস্টিকের জালিতে রাখলাম। শসার চামড়া উঠানোর আগে ধুয়ে নেওয়া ভালো।
তারপর কেটে পিস পিস করে রাখা দেশি মাছগুলোর উপরে লবণ হলুদ ছিটিয়ে দিলাম। তারপর হলুদ লবন আর মাছ গুলো মিক্স করে নিলাম।
তারপর কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে মাছগুলো ছেড়ে দিলাম। কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে মাছ গুলো ভাজি করে একটি বাটিতে নামিয়ে রাখলাম।
তারপর আবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচিগুলো ছেড়ে দিলাম ।সেই সাথে আঁদা বাটা, রসুন বাটা, এগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিলাম।
তারপর অল্প একটু পানি দিয়ে তাতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে একটু ঝোল ঝোলে করে নিলাম।
তারপর কেটে রাখা কাঁচা মরিচ গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। তরকারির মধ্যে কাঁচামরিচ দিলে তরকারির স্বাদটা খুবই ভালো হয়।
এ পর্যায়ে আমি শসা গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। তারপর নেড়েচেড়ে শসা গুলোর মসলার সাথে মিক্স করে নিলাম।
তারপর শসা গুলো কিছুক্ষণ চুলার মধ্যে বসিয়ে রেখে কষিয়ে তাতে পরিমান মত পানি দিয়ে দিলাম।
পানি দিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট চুলার মধ্যে রেখে শসা গুলো সিদ্ধ হলে আমি ভেজে তুলে রাখা মাছগুলো শসার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
তারপর আবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলার আগুন বাড়িয়ে রান্না করে আমি আমার রেসিপি তৈরি করার কাজ শেষ করে দিলাম।
উপস্থাপনা-
বন্ধুরা এ হলো আমার আজকের সুস্বাদু শসার রেসিপি আশা করতেছি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লাগবে আজকে এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম পরবর্তীতে আবার আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ-
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রেডমি নোট-৮ |
| ধরন | রেসিপি |
| স্থান | নিজ বাসা,ঢাকা |
| ফটোগ্রাফিার | তিতাস |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনি ঢাকা শহরে আসার পর এই প্রথম জানতে পারলেন শসা দিয়ে তরকারি রান্না করা যায় এটা খুবই অবাক করা বিষয়। শসা দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। যদি এমন নদীর মাছ দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো আরও বেশি সুস্বাদু হয়। নিশ্চয়ই আপনি শসা দিয়ে নদীর মাছের রেসিপি খেয়ে খুব মজা পেয়েছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু শসার এই রেসিপিটি খাওয়ার পর আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
নদীর মাছ দিয়ে শসার এই সুস্বাদু রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার মাধ্যমে আমিও শিখে নিলাম।
জী ভাইয়া আমার কাছে ও এটা নতুন লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর মাছ আমার অত্যন্ত পছন্দের৷ আর আপনি নদীর মাছ ও শসা দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করছেন সেটি একদম লোভনীয় দেখা যাচ্ছে৷ একই সাথে এই রেসিপি তৈরির যে ধাপগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি ধাপই আমার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
জী ভাইয়া নদীর মাছ আমার ও পছন্দের। আমার শসার এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভলো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শসা যেমন সালাদ করে খেতে হয় ঠিক তেমনি শসা রান্না করেও খাওয়া যায়। শসা আলু এবং মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপু এই মাছ গুলোকে টেংরা মাছ বলে। আর এই মাছ গুলো দিয়ে আপনি শসা রান্না করেছেন বুঝতে পারছি আপনার রান্না সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া এখানে টেংরা, বাইন, শিং ও টাকি মাছ দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, শসা সবজি হিসেবে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনি জানেন না যে শসা সবজি হিসেবে রেসিপি করে খাওয়া যায়। আপু, আপনি তো শসার রেসিপি খেয়েছেন তাহলে এই রেসিপি খেয়ে কতটা স্বাদ পেয়েছেন তাতো বুঝতেই পারছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে আমিও বেশ উপলব্ধি করতে পারছি নদীর মাছ দিয়ে শসার এই রেসিপি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আর রন্ধন প্রণালী তো আপনি শেয়ার করে দিয়েছেন, তা দেখে আমরা সকলে এই রেসিপি তৈরি করতে পারবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া আগে কখনো শসার রেসিপি খাওয়া হয়নি, এখন খেয়ে খুবই ভলো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সালাত হিসেবে শসা যেমন সবার পছন্দের তেমনি শসা দিয়ে তরকারি রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। সবজি হিসেবেও শসা একেবারে পারফেক্ট। মাছের সাথে শসা রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।
জী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, সবজি হিসেবে শসা পারফেক্ট । আমি না খেলে বুঝতাম না। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। নদীর মাছ দিয়ে এভাবে শসা কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।