কচুর মুখি বা ছরা দিয়ে বাইম মাছের ঝোল রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা রাখছি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে দেখা হয়। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোস্টের বিষয় হলো রেসিপি। চলুন আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
বর্তমানে সবজির বাজারে আগুন লেগেছে বলা চলে। আমরা তো গৃহিণী ঘরের ভিতরে থাকি। বাইরের খবর রাখি না। কাল এমনিতেই হাজবেন্ডের সাথে বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। তখন রাস্তায় অনেকেই সবজি নিয়ে বসে আছে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এটার দাম কত ওইটার দাম কত। তখন অনেক সবজির দাম জেনে দেখি, ওরে বাবা এত দাম। আমি এই কচুর মুখি গুলো আশি টাকা কেজি নিয়েছি। কি আর করার সবজি এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। কখনো তো বাজারও করিনি। যাই হোক রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
- কচুর মুখি পাঁচ থেকে ছয়টি
- টমেটো বড় সাইজের একটি
- কাঁচা মরিচ ছয় থেকে সাতটি
- ধনেপাতা পরিমাণ মতো
- পেঁয়াজ কুচি পরিমাণ মতো
- রসুন বাটা এক চামচ
- হলুদের গুঁড়ো এক চামচ
- মরিচের গুড়ো এক চামচ
- ধনিয়ার গুড়ো এক চামচ
- জিরার গুঁড়ো এক চামচ
- তৈল পরিমাণ মতো
প্রথম ধাপ-
প্রথমে কচুর মুখিগুলো হলুদ আর অল্প লবণ দিয়ে আলকা সিদ্ধ করে নিয়েছি। কচুর মুখি গুলো হালকা ভাব বা সিদ্ধ করার কারণ হচ্ছে গলার মধ্যে যাতে না চুলকায়। কচুর মুখি গুলোকে আলুর মতো কেটে নিয়েছি। যাতে করে গলে না যায়।
দ্বিতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে একটি করাইয়ের মধ্যে তেল গরম করে নিলাম। তারপর বাইম মাছ গুলোকে লবন হলুদ দিয়ে মাখিয়ে গরম তেলে দিয়ে দিলাম। তারপর হালকা ভেজে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে ভেজে রাখা মাছগুলোকে উঠিয়ে সেই কড়াইয়ের মধ্যে সিদ্ধ করে রাখা কচুর মুখি গুলো হলুদ দিয়ে ভেজে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ-
এখন ভাজা কচুর মুখি গুলোর সাথে পেঁয়াজকুচি দিয়ে একটু হালকা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ-
পেঁয়াজগুলো ভাজা হওয়ার পরে এর মধ্যে আমি রসুন বাটা এবং কেটে রাখার টমেটোগুলো দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ হালকা নেড়েছেড়ে ভেজে নিলাম।
ষষ্ট ধাপ-
এ পর্যায়ে গুড়া মসলাগুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে-চেড়ে কষিয়ে নিলাম।কসানো হওয়ার পর হালকা একটু পানি দিয়ে কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ-
এখন কষানো হওয়ার পর এর উপরে ভেজে রাখা বাইম মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এগুলো ভালোভাবে ঢেকে কষে নিলাম।
অষ্টম ধাপ-
মাছগুলো কচুর মুখির সাথে কষানো হওয়ার পর এর মধ্যে পানি ঢেলে দিলাম। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে বলক আসার পরে এরমধ্যে ধনিয়া পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিলাম। এভাবেই হয়ে গেল আমার কচুর মুখি দিয়ে বাইম মাছের ঝোল রেসিপি।
পরিবেশন
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের রেসিপি অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই কামনা করে আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি | আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কচুর মুখি বা ছরা দিয়ে বাইম মাছের ঝোল রেসিপি।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | 29.10.2023 |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি কচুর মুখী দিয়ে বাইম মাছের খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বাইম মাছ খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার আজকের এই বাইম মাছ দিয়ে ছড়া বা মুখি রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। বাইম মাছ আমারও পছন্দ। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে খুব চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। বাইম মাছ দিয়ে যেকোনো কিছু রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। আর এই মাছটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। আপনি আজকে কচু মুখে দিয়ে বাইম মাছ রান্না করেছেন রান্নার ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন। বাইম মাছ দিয়ে যেকোনো তরকারি রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। ভাই আমি চেষ্টা করেছি রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাই মাছ আমার খুব প্রিয়।
এখন তো আমাদের এখানে নদীতে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ ধরা পড়ছে।
প্রায় দিনে খাওয়া হয়।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপির কালার এবং ফটোগ্রাফি বর্ণনা করে খুবই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
জ্বী ভাইয়া বাইম মাছ নদীর মাছ নদীতে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ পাওয়া যায়। ভাইয়া এই রেসিপিটি খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাইম মাছ এবং কচুর চড়া দুটি আমার অনেক প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে বাইম মাছ এবং কচুর চড়া রেসিপি করেছেন । তবে এটি ঠিক বলেছেন এখন সব কিছুর দাম অনেক ছড়া। কালকে আমি নিজেও কচুর চড়া কিনেছি ৮০ টাকা করে কেজি। যাইহোক খুব সুন্দর করে রেসিপিটি করেছেন। তবে রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া জিনিসপত্রে যা দাম আর তা মুখে বলা মুশকিল। আপনিও কচুর মুখি কিনেছেন। আপনার সাথে আমার রান্নার আইটেম মিলে গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুব লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু আমি সব সময় চেষ্টা করি রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। যাতে করে এই রেসিপি গুলো দেখে অন্যরাও সহজে রান্না করতে পারে। ধন্যবাদ আপু।
কচুর চড়া আমার খুব প্রিয় খাবার। যদিও আমি বাইম মাছ খেতে তেমন পছন্দ করি না। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে বাইম মাছ এবং কচুর ছড়া রেসিপি করেছেন। তবে এখন বাজারে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। যাইহোক হাসবেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়ে কচুর ছড়া কিনেছেন। এবং রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে বাইম মাছ এবং কচুর ছড়া রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপু আমি কখনো কচুর ছাড়া খেতাম না কিন্তু ইদানিং খেয়ে দেখলাম অনেক ভালো লাগে। জি আপু জিনিসপত্র অনেক দাম। যাই হোক সব মিলিয়ে আমরা সবাই ভালো আছি এতেই আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ আপু।