সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির অন্তিম পর্ব।।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি বেশ কিছুদিন আগে গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়িতে চলে আসার কারণে একটু বিজি আছি। তাই প্রতিদিন পোস্ট করতে পারতেছি না। তবে আমি যথা সম্ভব চেষ্টা করতেছি আমার কাজগুলি কন্টিনিউ করে যেতে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমি বেশ কয়েকদিন যাবৎ আপনাদের সাথে একটি সাপ্তাহিক মেলার ফটোগ্রাফি ও অনুভূতি সহ বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি সেই মেলা পর্বের ইতি টানবো। আজকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে সেই মেলার অন্তিম পর্ব শেয়ার করবো। আমি আপনাদের সাথে বলেছিলাম মেলাটি আমাদের বাসার পাশেই অবস্থিত। বাসা থেকে মেলাতে যেতে মাত্র ১০ টাকা অটো ভাড়া নেয়। এখন আর সাপ্তাহিক মেলাটি বসে না। কারণ যে মাঠে মেলা বসতো সে মাঠে এখন গরুর বাজার বসে। সামনে আমাদের পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা উপলক্ষে সে মাঠের মধ্যে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা গরু থাকে,গরু কেনা বেচা হয়। এখানে গরু ছাগল ও মহিষের বিশাল বড় হাট বসে। ঈদের আগে আর মেলা বসতে পারবে না। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে যাওয়া যাক।
আমরা মেলাতে ঘুরতে ঘুরতে মাঠের একেবারে দক্ষিণ পাশে চলে আসলাম। এখানে এসে দেখলাম এক লোক প্লাস্টিকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রয় করতেছে। এখানে রয়েছে প্লাস্টিকের বালতি, বক্স, ছোট ড্রয়ার, প্লাস্টিকের জালি, টিফিন বক্স,প্লাস্টিকের ছোট টোল,ময়লার বক্স,প্লাস্টিকের পানির মগ,বেলছা,ঝুড়ি সহ আরো নানান জিনিসপত্র। এ দোকানে ক্রেতার ভিড় দেখলাম অনেক। অল্প টাকায় খুব সুন্দর জিনিসপত্র কেনা যাচ্ছে। আমি দাড়িয়ে দেখেই চলে এসেছি।
এত বড় মেলা বসেছে সেখানে কসমেটিক পণ্য থাকবে না সেটা তো কল্পনা করা যায় না। অন্যান্য গৃহস্থালীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি কসমেটিক্স এর অনেক দোকান রয়েছে। এখান থেকে যদিও আমি কসমেটিক্স কিনি নাই তবে এখনো ভালো ভালো কসমেটিক দেখলাম। বিভিন্ন শপিং মলের দোকানে কসমেটিকসের দাম অতিরিক্ত রাখে। তবে এখানে দেখলাম দাম তুলনামূলক কিছুটা কম। তবে এখানের জিনিসপত্র গুলো অরিজিনাল কিনা সে ব্যাপারে আমি শিউর না। কারণ তারা কোথায় থেকে এই জিনিসপত্রগুলো এনে বিক্রি করে সেটা আমি জানি না। প্রথম দেখায় জিনিসপত্রগুলো আমার কাছে ভালোই লেগেছে।
বন্ধুরা এখানে কসমেটিক্স এর মোটামুটি অনেক দোকানই বসেছিল। আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন রাত প্রায় নয়টা বাজে। তখন কাস্টমার কিছুটা কম ছিল। তবে আটটার দিকে প্রচুর কাস্টমার ছিল। পাশে একটা গার্মেন্টস ছিল, রাত আটটার সময় সেটি ছুটি দেওয়ার পর মোটামুটি কিছু কসমেটিক্স এর কাস্টমার মেলায় ঢুকে ছিল। যেহেতু প্রতি সপ্তাহে বসে তাই সবাই তেমন মেলাতে আসার আগ্রহ দেখায়নি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ মেলাতে আসে না। তাছাড়া মাত্র রমজানের ঈদ গত হয়েছিল।
এখানে মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের কাপড় দেখলাম। এখানে রয়েছে শাড়ি কাপড়, সুতি গজের কাপড়, ও কিছু রেডিমেড জামা। এখানে আমি কোন থ্রি পিস দেখি নাই। এখানে বেশ কিছু মহিলা মানুষ পর্দার সাথে কাপড় বিক্রয় করতে দেখলাম। এই মেলার মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মহিলাদের কাপড় গুলো। এ কাপড় গুলো মোটামুটি অনেক ভালো। তবে রাত্র নয়টার উপরে বেজে যাওয়ার কারণে তারা ধীরে ধীরে জিনিসপত্র গুছানো শুরু করেছিল। বেচা-কেনা শেষের পথে ছিল।
এখানে আরো কিছু দোকানের মধ্যে জানালার পর্দা বিক্রয় করতে দেখলাম। তারপর আরো রয়েছে বিছানার বেডশিট। দুটি জিনিসই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্দা ছাড়া যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ে না ঠিক তেমনি সুন্দর বেডশীট ছাড়া খাটের সৌন্দর্য ফুটে উঠে না। এখানে জিনিসগুলো মোটামুটি অনেক ভাল ছিল। আমাদের বাসায় পর্দা এবং বেডশীট দুটোই রয়েছে। তাই আমরা এক্সট্রা করে কিনে টাকা নষ্ট করি নাই। যেহেতো প্রতি সাপ্তাহে মেলা বসে দরকার পড়লে কিনতে পারবো।
তারপরের দোকানে দেখলাম ছেলেদের প্যান্ট ও মেয়েদের বোরকা। প্যান্টের বিছয়ে আমার তেমন ধারনা নেই। তবে বোরকা গুলো ভালো ছিল। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন কালারের বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা রয়েছে এখানে। দামও তুলনামূলক কম। চাইলে যে কেউ কিনে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে মেলাটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির অন্তিম পর্ব।।।। |
স্থান | ভুইঘর,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ১২/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
মেলায় গেলে অনেক কিছুই কেনা হয়। বিশেষ করে সংসারের প্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিসগুলো কিনতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি মেলায় গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে মেলায় যাওয়ার এই পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু সংসারের বিভিন্ন ছোটখাটো জিনিস মেলায় পাওয়া যায় বলেই মেলাতে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম। সাপ্তাহিক মেলার বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি যে জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। মেলার বিভিন্ন দোকান, পণ্যের বিবরণ, এবং আপনার নিজস্ব অনুভূতির বর্ণনা পাঠকদের মনে এক অনন্য অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে। আপনার লেখনীর মাধ্যমে আমরা যেন নিজেরাও মেলার সেই আনন্দময় পরিবেশে উপস্থিত হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।