আপুর বাড়ির গাছের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। গত দুইদিন আমাদের এদিক দিয়ে মোটামুটি ভালই বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে টেম্পারেচার অনেকটাই কম। আশা করি এভাবে আরো দুই এক দিন বৃষ্টি হলে ওয়েদারটা আগের মত হয়ে যাবে। তবে বৃষ্টির সাথে শিলা পড়ার কারণে সমস্ত কৃষকরা কিছুটা চিন্তিত আছে। শিলাবৃষ্টি পড়ার কারণে শুধু যে কৃষকরা টেনশনে আছে তা নয় বরং সারা দেশের মানুষ টেনশনে রয়েছে। কারণ শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে মাঠে মাঠে ধান রয়েছে, গাছে গাছে আম রয়েছে, এছাড়াও জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল রয়েছে। শিলা বৃষ্টি হলে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কৃষক থেকে ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী সবাই টেনশনে থাকে। যাইহোক সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি যেন শিলা বৃষ্টি না হয়।

আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফলমূলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এখানে যে ফলগুলো দেখতে পাবেন সবগুলোই আমার বোনের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা। আপুর বাড়িটা অনেক বড়। চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাক সবজির গাছ রয়েছে। আপুর বাড়ির চারপাশে ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করেছিলাম।

আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে আমের মৌসুম চলতেছে। এখানে গাছ থেকে কিছু আম পেরে লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আম যখন কাঁচা থাকে, তখন লবন মরিচ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপুর গাছের আমগুলো মোটামুটি ভালো মিষ্টি আছে। আমরা যখন এই আমগুলো পেরেছিলাম তখন আমের মধ্যে মাত্র নরম বিচি হয়েছিল। ছবিগুলো ঈদের সময় তোলা হয়েছিল।

এখানে দুইটি পেঁপে দেখতে পাচ্ছেন। এই পেঁপে গুলো সবেমাত্র গাছ থেকে পাড়া হয়েছে। এগুলো কিন্তু পাকা পেঁপে। এই পেঁপে গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক সময় দেখা যায় পেঁপে গুলো বেশি পেকে গেলে খেয়ে মজা পাওয়া যায় না। এরকম পেঁপে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এগুলি ফরমালিনমুক্ত প্রাকৃতিক পেঁপে। এগুলো আপুর শাশুড়ির নিজের হাতে লাগানো গাছের পেঁপে।

এখানে গাছের মধ্যে দুইটি জাম্বুরা দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি। হয়তো আর কয়েক মাস পরে এগুলো পুরোপুরি ভাবে খাওয়ার উপযোগী হবে। সাধারণত দেশ গ্রামে প্রায় বাড়িতেই এরকম জাম্বুরা গাছ দেখা যায়। এই কাজটি আমার আপুর শশুর লাগিয়েছিল। তিনি বর্তমানে বেছে নেই কিন্তু তিনির লাগানো গাছটি আজও স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয় প্রতিবছর এই গাছ থেকে আপুরা জাম্বুরা খেয়ে থাকে।

এগুলো হলো লিচু। আপুর বাড়িতে কয়েকটি লিচু গাছও রয়েছে। তবে এই লিচুগুলো এখনো পরিপূর্ণ লিচুতে পরিণত হয়নি। সবেমাত্র ফুল থেকে ফলে পরিণত হতে যাচ্ছে। এগুলো পরিপূর্ণ লিচু হতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগবে। আমাদের দিকে সাধারণত লিচু খুব কমই হয়, তবে বর্ডার এলাকাতে গাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লিচু হয়ে থাকে। আমাদের বর্ডার এলাকাতে লিচুর জন্য বিখ্যাত একটি বাজার রয়েছে।

আপুর বাড়িতে আরো রয়েছে একটি কাঁঠাল গাছ। কাঁঠাল গাছটি যেমন বড়, ঠিক তেমনি কাঁঠালগুলো অনেক বড় বড় হয়ে থাকে। এ কাঁঠালের কোয়া গুলো অনেক মিষ্টি। প্রতিবছর এই গাছটিতে প্রচুর পরিমানে কাঁঠাল ধরে থাকে। তবে এ বছর মাত্র দুইটি কাঁঠাল ধরেছে। অনেক বছর আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কাঁঠাল কম বেশি হয়ে থাকে।

আরো রয়েছে দুটি আতা ফল গাছ। এই আতাফল গুলো ও খেতে খুব মিষ্টি লাগে। আমি আতা ফল তেমন খেতে পারি না। আমার কাছে কেমন যেন লাগে। অনেক সময় এই ফলের ভর্তা করে খেতে ভালো লাগে। লবণ মরিচ ও সাথে চিনি দিয়ে ভর্তা করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আজকের এই আতা ফলগুলো এখনো পরিপক্ক হয়নি। এক দুই মাস পরে এগুলো খাওয়ার উপযোগী হবে।

বন্ধুরা আজকে এখান থেকে বিদায় নিলাম। আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবার করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামআপুর বাড়ির গাছের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি।।
স্থানজালশুকা,ব্রাহ্মাণবাড়িয়া। ।
তারিখ১৫/০৪/২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 months ago 

বেশ কয়েকটা জায়গায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকরা আসলেই খুব টেনশনে রয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আপনার ক্যাপচার করা ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। গাছে থাকা ফলগুলো দেখতে ভালই লাগে। আপনি বেশ কয়েকটা ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আপু বৃষ্টির জন্য কৃষকরা এখন টেনশন করতেছে। ফলগুলো দেখে আপনার ভালো লাগার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 months ago 

পাকা পেঁপে দেখলেই আমার কেন জানি লোভ লেগে যায়। আপনার আপুর বাসার পাকা পেঁপে গুলো দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।পাকা পেঁপে গাছের মধ্যে দেখলেই তা আর কোন ক্রমে গাছের মধ্যে রাখার চেষ্টা করি না।তা সাথে সাথে গাছ থেকে নামিয়ে খেয়ে শেষ করে দেই। আপনি আজকে আপনার আপুর বাসার বেশ কয়েকটি ফলের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফলের ফটোগ্রাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

 3 months ago (edited)

ভাইয়া আপনি তো দেখছি পেঁপে খেকো। আপনারা কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি পেঁপে অনেক পছন্দ করেন। ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লাগার জন্য।

 3 months ago 

শিলাবৃষ্টি অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিশেষ করে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। শিলাবৃষ্টির হাত থেকে কোন কিছুই সহজে রক্ষা করা যায় না। যাইহোক আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি বেশ ভালোভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন আপু।

 3 months ago 

আপু শিলাবৃষ্টি হলে বিশেষ করে কৃষকদের বেশি ক্ষতি হয়। তাছাড়া আমাদের দেশটা কৃষি প্রধান দেশ সেজন্য কৃষকদের যেমন টেনশন আচ্ছে আমাদেরও তেমনি টেনশন হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

শুধু বৃষ্টি হলে ঠিক আছে, তবে তার সাথে সাথে যদি শিলাবৃষ্টি হয় তাহলে তো কৃষকের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। যাইহোক, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো মোটামুটি ঠিক আছে, তবে কিছুটা ঝাপসা লাগছে এইগুলো দেখতে। হালকা এডিট করে দিলে হয়তো ভালো লাগতো এই গুলো । ধন্যবাদ আপনাকে , আমাদের সামনে এরকম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

জি ভাইয়া এডিট করে দিলে হয়তো আরো সুন্দর লাগতো। তবে চেষ্টা করব সামনে আরো সুন্দর করে এডিট করে দিতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 months ago 

মাঝে মাঝে আমাদের করা ফটোগ্রাফি গুলোও কিছুটা ঝাপসা হয়ে যায়, তবে সেগুলো একটু এডিট করে দিলেই আবার ভালো হয়ে যায় আপু।

 3 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

 3 months ago 

বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির কারণে আমাদের এদিকে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি ভালো অতিরিক্ত বৃষ্টি শিলাবৃষ্টি সবার জন্য ক্ষতিকর। তবে আপনি আপনার আপুর গাছের চমৎকার ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে এই সময়ে আম মাখলে খেতে বেশ মজাই লাগে। যাই হোক খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

ভাইয়া বৃষ্টি ভালো। তবে অতিরিক্ত শিলা বৃষ্টি মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয় বেশি। বিশেষ করে কৃষকদের বেশি ক্ষতি হয়। আর ফটোগ্রাফি গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে যেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 59515.78
ETH 2505.02
USDT 1.00
SBD 2.47