সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করতেছি-
বন্ধুরা আমি কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি সেই সাপ্তাহিক মেলার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি আর আমার হাজব্যান্ড মেলাতে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। যেহেতু মেলাটা খেলার মাঠের মধ্যে বসানো হয়েছে সেহেতো বুঝতেই পারছেন বিশাল বড় জায়গা নিয়ে দোকানগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল। আর মেলাটি সাধারণত বিকালের দিকেই বেশি জমজমাট হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। আটটার পর থেকে ধীরে ধীরে মানুষ কমতে থাকে। আর দোকানওলা মামারা ও ধীরে ধীরে তাদের সামানাপত্র গোছানো শুরু করে।
আমি মেলাটিতে ঘুরে ঘুরে দেখেছি মোটামুটি সব ধরনের জিনিসপত্রই এখানে রয়েছে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন তুলনামূলকভাবে মানুষ কিছুটা কম ছিল। যার ফলে খুব সুন্দর ভাবেই ফটোগ্রাফিগুলো করতে পেরেছি। গত পড়বে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে যদি শেয়ার করি তাহলে হয়তো আরেকটি পর্ব থাকতে পারে। আমি সবগুলো ফটোগ্রাফির নিচে যথা সম্ভব বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করি। যেন পাঠকরা খুব সহজে বিষয়টা বুঝতে পারে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু কসমেটিকসের জিনিসপত্র। এত বড় মেলা বসেছে সেখানে কসমেটিক থাকবেনা সেটা কিভাবে হয়। তাই এখানে বেশ কিছু কসমেটিক্স এর দোকান ও লক্ষ্য করলাম। মহিলাদের আইটেমের পাশাপাশি ছিল ছেলেদের জন্য অনেক কিছু। এখানে দেখলাম হাত ঘড়ি, লিপিস্টিক, বাচ্চাদের ব্যাগ,হাতের চুড়ি, কানের দুল, আন্টি,গলার চেইন সহ আরো অনেক কিছু।
মেলাতে আরো দেখলাম গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিসপত্র। আর এই সবগুলোই সিলভার ও স্টিলের জিনিসপত্র। একটি ফ্যামিলিতে যা যা দরকার হয় সবকিছুই এখানে রয়েছে। তাছাড়া নতুন নতুন জিনিসও এখানে রয়েছে। দোকানে বা মার্কেটে যে দামে জিনিসগুলো পাওয়া যায় তার থেকে কিছুটা কমে এখানে সেই জিনিসগুলো পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা দোকানেই কিছু না কিছু কাস্টমার রয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায় বেচাকেনা ভালোই হয়।
কেউ যদি জুতা কিনতে আসে, তাহলে জুতা না পেয়ে মনে কষ্ট পেতে পারে, তাই এক সময় ঘুরতে ঘুরতে মেলার মধ্যে জুতাও বিক্রি করতে দেখলাম। কি নাই সেই মেলাতে....। প্রয়োজনীয় সব রকমের জিনিসপত্রই এখানে পাওয়া যাবে। এখানে যতগুলো জতো দেখলাম সবগুলোই লেডিস জুতো।দোকানের মধ্যে যেসব জুতা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করা হয়। এখানে সেই জুতো কিছু টাকা কমে পাওয়া যায়। কমবেশি সেই জুতো বিক্রি হচ্ছে।
মেলাতে সব ধরনের জিনিস আছে সেখানে যদি খাবারের জিনিস না থাকে তাহলে কিভাবে হবে। মেলার একপাশে বিভিন্ন খাবারের দোকানও দেখলাম। এই খাবারের দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের বিস্কিট দেখলাম। তারা নিজেরা বেকারিতে এই বিস্কুট গুলো তৈরি করে থাকে। তবে এই বিস্কিটের দোকানগুলোতে তুলনামূলক মানুষ কম দেখলাম। সবাই সাধারণত ফাস্টফুডের খাবারই বেশি খেয়ে থাকে।
তারপর আরেকটু সামনের দিকে যাওয়ার পর মশারির দোকান দেখতে পেলাম। এদিকে প্রচুর পরিমাণে মশার উপদ্রব রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে মশা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। এখানে চায়না এবং বাংলাদেশি বিভিন্ন ধরনের মশারি দেখলাম। এখানে প্রতি পিস মশারি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে বিক্রয় করা হচ্ছে। ছোট-বড় অনেক ধরনের মশারি এখানে রয়েছ।
মাঝে মাঝে মেলাতে গেলে ভালই লাগে। বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখা যায়। অল্প টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনা যায়। আমরা ঐদিন তেমন কোন জিনিসপত্র কেনাকাটা করি নাই। জাস্ট সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম। যেহেতু এখানে বিভিন্ন ধরনের জিনিস রয়েছে একদিন সময় করে কেনাকাটা করতে আসবো। এখানে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই একটি ঘরের মধ্যে থাকে। যারা শহরে নতুন ফ্যামিলি নিয়ে আসে, তারা এই মেলাতে গেলে এক জায়গা থেকে সবকিছু কিনতে পারবে। সব মেলাতে আচারের দোকান দেখা যায়। তবে এই মেলাতে তেমন কোন আচারের দোকান দেখি নাই। হয়তোবা আমাদের আসার আগেই আচার বিক্রি করে চলে গেছে।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াতে চাচ্ছি না, আজকে এখান থেকেই বিদায় নিতে চাই। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | সাপ্তাহিক মেলায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব ।। |
স্থান | ভুইঘর,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ১২/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মেলা ঘোরাঘুরি সুন্দর একটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই চমৎকার মেলা ঘোরাঘুরি দেখে ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন মেলা থেকে ধারণ করা ফটোগুলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া মেলায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া মেলায় গেলে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। তাই মেলায় একটু ঘুরাঘুরি করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।