সুস্বাদু চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সুস্বাদু চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো।
আপনাদের সাথে কিছুদিন আগে আমি আমার মাকে নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। হঠাৎ করে মা আমাদের নারায়গঞ্জ বাসায় এসেছিল। ঘন্টা খানেকের মত থেকে আবার চলে গেছিলো। তো মা বাড়ি থেকে আসার সময় আমার জন্য অনেক গুলো নদীর দেশি মাছ এনেছিল। সেই গুলোর মধ্যে এই চাপিলা মাছ গুলোও ছিল। আমার হাসবেন্ড কিছুদিন আগে বাজার থেকে কিছু টমেটো এনেছিল। আপনারা জানেন যে এখন টমেটোর অনেক দাম। প্রথম ছিল দুইশত টাকা কেজি, তারপর একশত আশি টাকা, এভাবে কমতে কমতে এখন ১৬০ কেজিতে এসেছে। তো আমার হাসবেন্ড টমেটো গুলো আনার পরেই আমার মাথায় চাপিলা মাছ গুলো রান্না করার আইডিয়া আসে। কারন টমেটো দিয়ে চাপিলা মাছ রান্না করলে দারুন স্বাদ লাগে। রেসিপিটা করার পরে সত্যিই অনেক স্বাদ হয়েছিল।
চাপিলা মাছ | ২৫০ গ্রাম |
---|---|
কাঁচা মরিচ | চার পিস |
পেঁয়াজ | দুই পিস |
টমেটো | একটি |
তেল | পরিমান মত |
মরিচের গুঁড়ো | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমান মত |
জিড়ে গুঁড়ো | পরিমান মত |
ধনিয়া গুঁড়ো | পরিমান মত |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
লবন | পরিমান মত |
আঁদা বাটা | পরিমান মত |
রন্ধন পদ্ধতি
রন্ধন পদ্ধতির প্রথম ধাপ সবাই জানেন, মাছ সহ যাবতীয় উপরন ভালোভাবে কেটে কুটে নিলাম। মাছ কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে লবন ও হলুদ মেখে নিলাম। কারন সবাই সাধারনত এই দুইটি উপকরন দিয়েই মাছ ভাজি করে।
তারপর চুলাতে আগুন জ্বালিয়ে কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কড়াই গরম হলে তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা গরম হওয়ার পরে তাতে মাছ ছেড়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার আগে মাছ কড়াইতে দিলে মাছ উল্টানোর সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মত আগুন ম্যাডিয়াম ভাবে রেখে মাছ গুলো ভালো ভাবে ভাজি করে নিলাম। ভাজা শেষ করে একটি প্লেটে রাখলাম। দেখেন আমার মাছ কিন্তুু একটিও ভাঙ্গে নাই। আমি তেল কিছুটা বেশি দিয়েছি আর তেলটা গরম করে নিয়েছিলাম।
মাছ ভাজা হয়ে গেলে সে গুলো উঠিয়ে সেই তেলের মধ্যেই পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর পেঁয়াজ গুলো নেড়ে চেড়ে ভাজা ভাজা করে নিলাম। আগে তেল বেশি দেওয়ার কারনে এখন আর নতুন করে তেল দিতে হয়নি।
পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা হলুদ বর্ণ ধারন করলে তাতে কেটে রাখা টমেটোর পিস গুলো দিয়ে দিলাম। সে গুলো একটু নেড়ে চেড়ে সিদ্ধ করে নিবো। কারন এখনকার টমেটোতে প্রচুর কেমিক্যাল থাকে। কাঁচা টমেটো পাকিয়ে ফেলে। যার ফলে টমেটো একটু শক্ত থাকে।
টমেটো গুলো আধা সিদ্ধ হলে তখন একটি বাটিতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো এক সাথে করে একটু পানি দিয়ে মিক্স করে নিলাম। তারপর সেটা কড়াইতে টমেটোর মধ্যে দিয়ে দিলাম। এর দ্বারা তেল কম লাগবে মসলাটা ভালো ভাবে মিক্স হবে। গ্যাসের সমস্যা কম হবে।
মসলা গুলো দেওয়ার পরে তিনচার মিনিট কুক করে তারপর ভাজি করে রাখা চাপিলা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে দিবো। তারপর ভালো ভাবে নেড়ে চেড়ে মসলা ও টমেটোর সাথে মিক্স করে নিবো।
এভাবে রেখে চারপাঁচ মিনিট কুক করে লবন টেষ্ট করবো। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ধনিয়া পাতার কুচি দিয়ে দিবো। কিছুটা মিক্স করে দুইতিন মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিবো।
পরিবেশন-
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল। এ প্রত্যাশা রেখে এখান থেকে বিদায় নিয়েছি। আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | সুস্বাদু চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি ।। |
স্থান | নিজবাসা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২০-০৮-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপু আপনার মায়ের আনা চাপিলা মাছের রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে ।এমনিতে নদীর মাছ গুলো খেতে বেশ মজার হয়ে থাকে। আর টমেটো দেওয়ার কারণে খেতে মনে হয় আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আর টমেটো দেওয়ার কারণে আরও সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সুস্বাদু চাপিলা মাছের লোভনীয় ভুনা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রেসিপি বলে মনে হয়েছে। আসলে এই মাছটা আমাদের এলাকাতে পাওয়া যায় না।
জ্বী ভাইয়া এই মাছ সব এলাকাতে পাওয়া যায় না। কারণ এটি একটি নদীর মাছ। আর বর্ষার পর নদীতে বেশি পানি হলে এই মাছ। পাওয়া যায়।
চাপিলা মাছ আমার বেশ পছন্দের একটি মাছ। বিশেষ করে খেতে আমার একদম ইলিশ মাছের ফ্লেভার মনে হয়। চাপিলা মাছ খেতে আমি ইলিশ মাছের স্বাদ পেয়ে থাকি হা হা হা। অনেক মজার করে ভুনা রেসিপি তৈরি করলেন আপু। অনেকদিন হচ্ছে খাচ্ছিনা।কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না।
হ্যাঁ আপু আমার কাছে ও চাপিলা কদম ইলিশ মাছের ফ্লেভার এর মত লাগে। সুন্দর কমেন্ট করে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মা আপনার বাসায় এসেছিলেন এবং পছন্দের মাছ এনেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে।
হ্যাঁ আপু অনেক মজা হয়েছিল। তাছাড়া আমার ক্যামেরা ভালো না নয়তো আরো সুন্দর কালার হয়তো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্বাদু চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আমার চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপির পরিবেশনটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আন্টি আপনার বাসায় আসার সময় সুস্বাদু চাপিলা মাছ এনেছেন এবং সেই চাপিলা মাছের চমৎকার সুস্বাদু ভুনা করেছেন ও তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। চাপিলা মাছের রেসিপিটি দেখেই খেতে মন চাচ্ছে আপু।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে ভুনা রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু চেষ্টা করেছি মাছের এই সুস্বাদু ভুনা আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মায়ের আনা চাপিলা মাছ টমেটো দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ভুনা করেছেন। আপনার মাছ ভুনা দেখেই খিদা লেগে গিয়েছে। চাপিলা মাছ খাওয়া হয়না অনেক দিন হয়েছে। আমার কাছে চাপিলা মাছ কড়া করে ভেজে গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমিও চাপিলা মা খালি ভেজে গরম গরম খেতে পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি আমার মত।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্টস করার জন্য।
সুস্বাদু চাপিলা মাছের ভুনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার পরিবেশনটা দারুন হয়েছে। এত সুস্বাদু মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। এই রেসিপি ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাআল্লাহ।
লিখে নিয়েছেন ভালোই হয়েছে। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। ভাবি না থাকলে আপনি রান্না করে খেতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক সুন্দর একটি সুস্বাদু মাছের রেসিপি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা আপনার আম্মু নিয়ে এসেছিলেন। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু, এমনিতেই চাপিলা মাছ অনেক সুস্বাদু হয় তারপরেও এর সাথে যদি টমেটো দেওয়া যায় তাহলে কিন্তুু এর স্বাদটা অনেক গুনে বেড়ে যায়। যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি সুস্বাদু চাপিলা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া টমেটোটা দেওয়ার কারণে হয়তো এর স্বাদ আরও বেড়ে গিয়েছিল। আর রেসিপিটি খেতে অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।