ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সমবায় মার্কেট থেকে কিছু শপিং।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে আমি শুরু করিতেছি
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। এখন প্রচন্ড গরম, তারপরও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ। সর্ব অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করা দরকার। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সমবায় মার্কেটে কিছু কেনাকাটা করার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমি গত শুক্রবারে সন্ধ্যার পরে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার হাজবেন্ডের সাথে আমার বাবার বাড়িতে এসেছি। আমার হাজবেন্ডের অফিসের ছুটি ছিল দুই দিন, শনি ও রবিবার। আমার বাবার বাড়িতে আমরা দুইদিন থেকেছি। আজকে সন্ধ্যার দিকে আমাদের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বড় ভাই আমার হাজব্যান্ডকে রিকুয়েস্ট করার কারনে আজকে রাত থেকে সকালে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আগামীকাল সকাল বেলা আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবো, ইনশাআল্লাহ।
আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার সাথে আমার এক ভাগ্নি এসেছে। তাকে আমরা ঢাকায় আমাদের বাসায় নিয়ে যাবো। ঢাকায় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সারাদিন একা একা থাকি। আমার হাজব্যান্ড সারাদিন অফিসে থাকে,বাসায় বাবুকে নিয়ে আমার একা একা একদম ভালো লাগেনা। সেজন্য আমার ছোট ভাগ্নিকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন এই ভাগ্নি আমাদের বাড়িতে এই প্রথম এসেছে। আর আমাদের বাড়িতে যারা প্রথম আসে সবাইকে কাপড় উপহার দেওয়া হয়। এখন এই ভাগ্নীকেও ভাইয়া কাপড় কিনে দেওয়ার জন্য আমার কাছে টাকা দিয়েছে। সেজন্য আজকে বিকাল বেলা আমার ছোট বোনকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সমবায় মার্কেটে গিয়েছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে কাপড়-চোপড়ের অনেক মার্কেট রয়েছে। তবে সময় মার্কেটে যাওয়ার একটা কারণ আছে। সেটা আমি বর্ণনা করতেছি।
সমবায় মার্কেটে কাপড়ের অনেক দোকান আছে, আমরা সোজা আমাদের এক আত্মীয়ের দোকানে চলে গেলাম। আমার বড় বোনের জামাইয়ের শেয়ারে এখানে একটি দোকান আছে। আমার আপু বলেছে আমাদের বাড়িতে যত কাপড় লাগে সব কাপড় যেন এই দোকান থেকে নিয়ে আসি। এছাড়া আমাদের সকল আত্মীয়-স্বজনকেও বলে দিয়েছে, যেন এই দোকান থেকে কাপড়চোপড় কেনাকাটা করে। আমরা যে দোকানে গিয়েছি সে দোকানের নাম হলো কিউট বেবি। এখানে শূন্য থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সকল বাচ্চাদের ড্রেস পাওয়া যায়। এখানের প্রত্যেকটা কাপড় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের। যার ফলে সবগুলি কাপড় কোয়ালিটি ফুল, একবার দেখলেই কাপড়গুলো পছন্দ হয়ে যাবে।
আমি অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমার ভাগ্নির জন্য একটি জামা চয়েস করলাম। আসলে দোকানে গিয়ে অনেক কাপড়-চোপড় দেখে কোনটা চয়েজ করবো কনফিউজে পড়ে যায়। তারপর বাচ্চাদের জামা কাপড় গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগে যায়। সেজন্য আমি আমার মেয়ের জন্য কয়েক সেট জামা চয়েজ করি। দেখতে দেখতে বাবুর জন্য তিন সেট জামা নিলাম। যদিও ভাইয়া আসার সময় বলেছিল আমার মেয়ের জন্য কয়েক সেট জামা নিতে। যেহেতু এটা আমাদের আত্মীয়র দোকান সেজন্য আমাদের থেকে কেনা দামে জামাগুলো দিয়ে দিলো। হয়তো নাম মাত্র কিছু বেনিফিট রাখতে পারে। আমি জামাগুলো নিয়ে আমার ছোট বোনকে নিয়ে রিকশায় চড়লাম। প্রচন্ড গরম থাকার কারণে আজকে আর অন্য কোথাও যায়নি। রিক্সা নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। আমার ভাগ্নির জন্য যে জামাটা এনেছি, ভাগ্নি সে জামাটি দেখে অনেক খুশি হয়েছে।
মার্কেট থেকে এসেই জামা কাপড় সবকিছু গুছানো শুরু করলাম। বাবার বাড়িতে আসার সময় যেমন বাচ্চাদের অনেক কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতে হয়, আবার যাওয়ার সময় অনেক কাপড়-চোপড় নিয়ে যেতে হয়। তবে আসা যাওয়ার সময় অনেক কাপড়চোপড় হারিয়ে যাই। যাই হোক কাপড়চোপড় সবকিছু গুছিয়ে খাওয়া দাওয়া করে এখন পোস্ট লিখতে বসলাম।
কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল | |
---|---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ | |
শিরোনাম | ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সমবায় মার্কেট থেকে কিছু শপিং।। | |
স্থান | সমবায় মার্কেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ,বাংলাদেশ। | |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ | অনেক কষ্ট করা লাগে এত সোজা |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
বাসায় কেউ প্রথম এলে তাকে উপহার দিতে ভালোই লাগে। আপনার ভাগ্নি প্রথম বাসায় এসেছিল আর আপনি তাকে উপহার দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।