ঈদে মেহেদী দেওয়ার অনুভূতি।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে ঈদে মেহেদী পড়ার অনুভূতি নিয়ে। প্রতিবছর আমাদের মুসলমানদের দুটি ঈদে আনন্দ করি। তাছাড়া ঈদের আগের দিন রাতে হাতে মেহেদী পরি। আর অন্যদেরকেও মেহেদি হাতে দিয়ে দেই। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাতে মেহেদী পড়ার ডিজাইন শেয়ার করব।

ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আর ঈদের আনন্দটাকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা হাতে মেহেদী পড়ি। আমি প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা বলেন। দুই ঈদে এলাকার বাচ্চাদের মেহেদী পড়িয়ে দেয়। এমন কি বৌয়ের হাতে ও মেহেদি পরিয়ে দেয়ন। অনেক বউরা গায়ে হলুদের দিন আমাদের বাসায় এসে নিজের হাতে মেহেদি পড়ার জন্য। আমার পরিবারের মানুষের রাতে বাহিরে যেতে মানা এবং কারো বাসায় যেতে মানা। তাই বউরা বাধ্য হয়ে আসে তাদের হাতে মেহেদি পড়তে যাতে আমি তাদেরকে সুন্দর করে মেহেদি দিয়ে দিতে পারি। আমি তেমন মেহেদী ভালো দিতে পারি না তবুও সবাই আমার কাছে আসে ভালোভাবে মেহেদি দিতে। আমি প্রতিবছর যখন বাচ্চাদের মেহেদি দেই তখন নিজের কোন কাজ করতে পারি না। বিকাল থেকে শুরু হয় প্রায় রাত দুইটা আড়াইটা বাজে মেহেদী দিতে দিতে।

তারপর আমার হাতে ব্যথা হয়ে যায়। নিজের হাতে মেহেদী আর পড়তে পারি না। ঈদের দিন সকালে গোসলের আগে। হাতে মেহেদি দিয়ে তারপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেয়। নিজের বাবার বাড়িতে তো সারা বছর মেহেদি দিয়েছি এখন শ্বশুর বাড়িতেও এভাবেই মেহেদী পরিয়ে দেয় বাচ্চাদের। কিন্তু এই বছর শশুর বাড়িতে ঈদ করতে পারেনি এমনকি বাবার বাড়িতেও না। ঢাকায় ঈদ করতে হয়েছে আমার ছোট মামনি কে নিয়ে। আমাদের ফ্ল্যাটের মধ্যে অনেকে আমার কাছ থেকে মেহেদী পড়ে গিয়েছে। আজকে আমি চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে দুটি হাতের ডিজাইন শেয়ার করতে।

ডিজাইনটি দেওয়ার জন্য প্রথমে হাতের কব্জির নিচে দুটি দাক টেনে নিলাম। তারপর এর মধ্যে হালকা ঢেউ মতো ডিজাইন করে নিলাম। তারপর মাছ বরাবর কোন রেখে একটি চতুর্ভুজ আপন করে নিলাম। আচ্ছা তোর বুঝে চারপাশে আবারো ঢেউ ঢেউ দিয়ে দিলাম।

তারপর চতুর্ভুজের পাশে একটি ফুল ও কুকিজ দিয়ে দিলাম। আর অপরদিকে কয়েকটি ফুল দিয়ে গর্জিয়াস করে নিলাম। এভাবে আস্তে আস্তে মেহেদী দিতে লাগলাম।

তারপর সম্পূর্ণ হাতের মেহেদি দেওয়ার ডিজাইনটি শেষ হয়ে গেল। এই ডিজাইনটি আমি কোথাও থেকে দেখিনি নিজের মন মতোই করে দিয়েছি। আর হাতের মাঝখানে যে একটি আর দেওয়া আছে সেটি রুহার নামের অক্ষর।

এখানে হাতেরে কব্জির উপর থেকে বড় একটি ফুল ফুলের উপর একটি কুকিজ দিলাম। তারপর কোকিজের উপরে বড় একটি ফুল দিলাম। তারপর বড় ফলের উপরে তিনটি ছোট ছোট ফুল দিয়ে আঙ্গুলের কাছে নিয়ে গেলাম। তারপর আঙ্গুলের মধ্যে অর্ধেক ফুল দিয়ে এই মেহেদী শেষ করে ফেললাম।

এই দুইটা মেহেদি ডিজাইনটি একটি মেয়ের। আমরা যে ফ্লাটে থাকি তার নিচতলার ফ্ল্যাটের এক আপার মেয়ের হাত। সে ক্লাস সিক্সে পড়ে। কিভাবে যে জানতে পেরেছে আমি মেহেদী দিতে পারি। তাই আমার কাছে ঈদের আগের দিন রাত্রি বেলা এসেছে মেহেদি পরিয়ে দিতে। ওকে মেহেদি দেওয়ার সময় আমার মনে হয়েছে যে আমি বাড়িতেই আছি।

বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার মেহেদি দেওয়ার এই ডিজাইনগুলো। আপনাদের মতামতের মাধ্যমে জানাবেন আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 months ago 

আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর মেহেদি লাগিয়ে দিতে পারেন। এইজন্যই তো বউরাও আসে আপনার হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য। আপনার অংকন করা এই মেহেদির ডিজাইন দুটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। মেয়েদের এই একটাই সমস্যা অন্যদেরকে লাগিয়ে দিতে দিতে নিজেদের ই আর লাগানো হয় না। আপনাদের পাশের ফ্ল্যাটের একটা মেয়ের দুই হাতে আপনি মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছেন অনেক সুন্দর হয়েছে। নিশ্চয়ই মেহেদী লাগানোর পর সে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। মেহেদি লাগানো নিশ্চয়ই অনেক কষ্টকর। কারণ এগুলো অনেক নিখুঁত হয়ে থাকে। আমার কিন্তু দুইটা ডিজাইনই অনেক পছন্দ হয়েছে।

 3 months ago 

জি ভাইয়া মেয়েটি খুব খুশি হয়েছিল। তাছাড়া ভাইয়া, আমার কাছে মনে হয় এমন সুন্দর করে মেহেদী দিতে পারি না। তবে আমার মেহেদীর ডিজাইন অনেকেই পছন্দ করে, তাই আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 months ago 

আপনি তো খুব সুন্দর মেহেদী দিতে পারেন। দুটো ডিজাইনই খুব সুন্দর হয়েছে। একটি ডিজাইন আপনার মেয়ের হাতে দিয়েছেন এবং অপর ডিজাইনটি আপনাদের এক প্রতিবেশীর হাতে দিয়েছেন। শেষের মেহেদি ডিজাইন টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর দুটি মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপু আমার দুটি ডিজাইন যে আপনার কাছে পছন্দ হয়েছে। প্রশংসিত হলাম আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।

 3 months ago 

ঈদের সময় প্রত্যেক মেয়েই মেহেদী দিয়ে থাকে। আর অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করে। আপনার ডিজাইনটি অনেক ভালো লেগেছে আমার। আসলে ঈদের সময় মেহেদি দেওয়ার অনুভূতি অসাধারণ, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 months ago 

জি ভাইয়া ঈদের সময় মেহেদী না দিলে মনে হয় ঈদের দিন নয়। দেওয়ার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ও অনুভূতি খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আসলে আপু, আপনি অনেক সুন্দর মেহেদীর ডিজাইন করতে পারেন আর এই কারণেই সবাই আপনার কাছে আসে। তবে, এটা শুনে একটু খারাপ লাগলো যে, এবার ঈদ আপনি বাবার বাড়ি কিংবা শ্বশুরবাড়ির কোথাও করতে পারেননি। তার পরিবর্তে অন্য জায়গায় গিয়ে ঈদ করতে হয়েছে। যাইহোক, মেহেদীর ডিজাইনটা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।

 3 months ago 

কি করবো ভাইয়া বাবার বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমার ছোট্ট মেয়ে। রাস্তার জ্যামে কারণে যদি ওর কোন ক্ষতি হয় সেজন্য ঈদ বাবার বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ি করিনি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আপু আপনি যেটা করেছেন, ঠিক কাজই করেছেন।

 3 months ago 

আপু আমার কাছে তো মনে হয় অনলাইন থেকে বা যে কোন ডিজাইন না দেখে নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন হাতের উপর আঁকলে দেখতে বেশি ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আর্ট করছেন আপু। আপনার শেয়ার করা দুইটি ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। ডিজাইন দুইটির মধ্যে আপনি আবার নামও লিখেছেন দেখছি।

 3 months ago 

হ্যাঁ আপু, অনলাইনের থেকে নিজের মন মত মেহেদী দিলে, মেহেদী আঁকা যেমন সুন্দর হয়। তেমন নিজের মনের অনুভূতিটা সুন্দরভাবে প্রকাশ পায়। আর হাতের মধ্যে নাম লিখে দিয়েছিলামএকটু ফাঁকা রাখার কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

ঈদ উপলক্ষে হাতে খুব সুন্দর মেহেদি ডিজাইন করেছিলেন। আমারও ভালো লাগে বিশেষ বিশেষ দিনে হাতে মেহেদি রাঙাতে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এ মেহেদি ডিজাইন করাটা। আশা করি খুবই সুন্দর ঈদ উদযাপন করেছেন আপনি।

 3 months ago 

হ্যাঁ আপু ,আলহামদুলিল্লাহ ভালই ঈদ উদযাপন করেছি। আমারও আপু এছাড়াও যে কোন বিশেষ দিনে আমি সব সময় মেহেদী পরে হাত রাঙিয়ে রাখি। ধন্যবাদ আপু

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64599.25
ETH 3467.96
USDT 1.00
SBD 2.55