আমাদের বাসার ছাদে চমৎকার একটি সবজি বাগান হচ্ছে।।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাসার ছাদে চমৎকার একটি সবজি বাগান তৈরীর বর্ণনা তুলে ধরবো।
বর্তমানে আমরা যে বাসাতে থাকতেছি এই বাসাটি ছয় তলা ফাউন্ডেশন হলেও তিন তলা কমপ্লিট করা হয়েছে। আমরা তিন তলাতেই থাকতেছি। বাসাটা মোটামুটি বড়ই। যে কোন সময় বাসার ছাদে যাওয়া যায়। মানে ছাদে প্রবেশ করার দরজায় তালা দেওয়া হয় না। অনেক বাসাতে আবার ছাদে যাওয়া যায় না। বাড়ির মালিক তালা দিয়ে রাখে। আসলে মাঝে মাঝে ছাদে গেলে ভালোই লাগে। তাছাড়া কাপড় চোপড় শুকাতে ছাদে যাওয়া লাগে। আগে যে বাসায় থাকতাম তারা ছাদ তালা দিয়ে রাখতো। এজন্য বাসা ছেড়ে দিয়েছি।
যায়হোক বাসায় মালিক আবার প্রকৃতি প্রেমী। বাসার মালিকের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে, এখানে জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। এই বাসার একটু দুরে আরেকটি জায়গা আছে। সেখানে বাড়ির মালিক এখনো বাড়ি নির্মান করে নাই। কলাবাগান করে রেখেছে। আর বর্তমানে যে বাসাতে আছে এই বাসার ছাদ এতদিন খালি ছিল। কোন গাছের চারা বা ফুল গাছও ছিল না। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখতেছি বাড়ির মালিক ছাদে সবজি বাগান করার চেষ্টা করতেছে। আসলে এত বড় ছাদ খালি ফেলে রাখাটা ঠিক না। ছাদটা অবশ্যই কাজে লাগানো দরকার। সেই চিন্তা থেকে বাসার মালিক ছাদে চমৎকার একটি সবজি বাগান তৈরী করছে। আজকে সকালে আমি ছাদে গিয়ে সবজি বাগান দেখে অবাক হয়ে গেছি। সাথে সাথে বাসা থেকে মোবাইল নিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছি।
ছাদে প্লাস্টিকের বালতির মধ্যে অনেক সুন্দর লাউ গাছ দেখতে পেলাম। বালতিতে মাটি দিয়ে প্রথমে লাউয়ের বিচি লাগিয়ে ছিল। ধীরে ধীরে সেই বিচি থেকে গাছের চারা হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই চারা গুলো বড় হয়ে যাচ্ছে। চারা গুলো দেখে দারুন লাগছে। নিচের ছবিতে লক্ষ করলে দেখতে পারবেন কত সুন্দর ভাবে চারা গুলো উপরের দিকে উঠছে। এখনই কিছু পাতা নিয়ে শাক রান্না করে খাওয়া যাবে। চোখের সামনে গাছ গুলো বেড়ে উঠছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি বালতি ও একটি ড্রাম কেটে উভয়টির মধ্যে দুইটি করে মরিচ গাছের চারা লাগানো আছে। উপরের মরিচ গাছ থেকে নিচের মরিচ গাছের চারা গুলো দেখতে সুন্দর দেখা যায়। খুব সম্ভবত নিচের মরিচ গুলো কালো কালার হতে পারে। আর উপরের মরিচ গাছ গুলো বোম্বাই মরিচ হতে পারে। এখন বড় হয়ে মরিচ ধরার পরে বুঝা যাবে আসলে সে গুলো কোন জাতের মরিচ। বাসার মালিক খুব যত্ন করেই সবজি বাগানের পরিচর্যা করছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি বস্তার মধ্যে মাটি দিয়ে একটি বেগুন গাছ লাগানো হয়েছে। বেগুন গাছটি খুবই সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। আর নিচে ট্রেতে মাটি দিয়ে পুইঁশাক গাছ লাগিয়েছে। পুঁইশাক গাছ গুলো অনেকটা বড় হয়েছে। এদিকে এক কেজি পুইঁশাকের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। এভাবে বাড়ির ছাদে সবজি চাষ করলে ভালোই হয়। তাছাড়া নিজের চাষ করা সবজি খেতে পারলে অন্যরকম একটি আনন্দ লাগে।
আর লাউ ও পুইঁশাক ছড়িয়ে পড়ার জন্য এই মাচাংটি তৈরী করেছে। মাচাংটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। বিভিন্ন কাপড় দিয়ে মাচাংটি তৈরী করেছে। বাগানের মালিক সব কিছু খুবই সুন্দর ভাবেই করেছে। একটু কষ্ট করলেও সব কিছু আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আশা করি তিনির কষ্ট ধীরে ধীরে সফল হতে শুরু করেছে।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে। আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আমাদের বাসার ছাদে চমৎকার একটি সবজি বাগান হচ্ছে।। |
স্থান | নিজ বাসার ছাদ, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৬-১০-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপনার ছাদ বাগান দেখে ভালো লাগলো। আমাদের সকলের উচিত ছাদে বাড়ির আঙিনায় এখানে সেখানে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি গাছ লাগিয়ে নিজেরাই শাক-সবজি উৎপাদন করা এবং পরিবেশ রক্ষা করা। ছাদ বাগানটা অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন আপনি। আসলে এভাবে আমরা যদি অ্যাক্টিভ হই তাহলে দেশে শাক সবজির দাম অনেকাংশে কমে আসে।
আপনার বাসার মালিক গাছ লাগাতে অনেক পছন্দ করে বুঝতেই পারছি। বাগানের গাছ গুলো দেখতে সত্যি অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। আসলে যারা গাছ প্রেমী মানুষ তারা বিভিন্নভাবে গাছের চারা গুলো রোপন করে আর বড় করে তোলে।
বাসার ছাদে যদি এমন সবজি বাগান করা হয় তাহলে সবজির চাহিদা বেশ কিছুটা পূরণ হয়। পাশাপাশি অর্থও সেভ হয় কিছুটা। আপনার বাসার ছাদে সবজি চাষের উদ্দ্যোগ টা দেখে বেশ ভালো লাগল। আশাকরি সফল হবে প্রজেক্ট টা।