বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসলাম।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লকবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায়, ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমি অলরেডি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যে, আমি আমার ইনকোর্স পরিক্ষার দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসেছিলাম। অনেক ঝল্পনা কল্পনার পরে অনেক কষ্ট করে ইনকোর্স পরিক্ষা দিয়েছি। এখন ঢাকায় ফেরার পালা। কিন্তুু আমার বাবা আমাকে বললো এতদিন পরে ঢাকা থেকে এসেছি, পরিক্ষা দিয়েছি, এখন কিছুদিন বাড়িতে থেকে রেস্ট নিতে। আমিও চেয়েছিলাম কয়েকদিন বাবার বাড়িতে বেড়াবো। কিন্তুু শ্বাশুড়ি মা ফোন করে বললেন নসাইবাকে এক নজর দেখতে চাই। আমি বলেছিলাম আপনি আমার শ্বশুরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তুু শ্বশুর বাড়িতে মেহমান আছে। নুসাইবার ফুফু এসেছে, আমার দুইজন খালা শ্বাশুড়ি এসেছে। সে জন্য তিনি আসতে পারবে না। আবার আমার শ্বশুর না কি অসুস্থ, সে জন্য তিনিও আসতে পারবে না।
হাসবেন্ডকে এই বিষয়টা জানালে তিনি বললেন আমার ছোট বোনকে নিয়ে যেন চলে যায়। কিন্তুু ছোট বোন আবার চলে গেছে চার নাম্বার আপুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ি। তখন বললো ছোট ভাইকে নিয়ে চলে যেতে। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ছোট ভাইকে বললে সেও প্রথমে মানা করে দিলো। অবশেষে অনেক রিকুয়েষ্ট করে রাজি করালাম। তবে ছোট ভাইয়ের শর্ত আছে। সে সৈয়দাবাদ গিয়ে রাতে থাকতে পারবে না (সৈয়দাবাদ গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়ি) আমি বললাম ঠিক আছে। সৈয়দাবাদ আমাকে পৌছে দিয়ে সে যেন চলে আসে। মানে এমন কথা বলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করালাম। সেখানে গিয়ে পরে দেখা যাবে।
শনিবারে সন্ধার পরে আব্বুকে বললাম সকাল বেলা আমার শ্বশুর বাড়িতে যাবো। তখন আব্বু বললো কয়েকদিন পরে যেতে। আমি বললাম না, মেহমান আছে। সবাই নুসাইবাকে দেখতে চাচ্ছে। আব্বু রাতের বেলা দোকান থেকে আসার সময় আমার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যার জন্য কমলা, তিন প্রকারের মিষ্টি, আপেল, আনার, কেক, বিস্কিট সহ অনেক কিছু নিয়ে আসলেন। আমি তো এত কিছু দেখে অবাক। যায়হোক সকাল বেলা সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। ছোট ভাইকে ঘুম থেকে ডাকতেই সে মানা করে দিলো। তখন তাকে মনে করিয়ে দিলাম যে, সে আমাকেই দিয়েই চলে আসবে। তাকে অনেক কষ্ট করে ঘুম থেকে তুলে, নাস্তা করে বের হলাম।
ভাগ্য ভালো বাসার সামনেই অটো পেয়ে গেলাম। কুমিল্লা সিলেট হাইওয়ে রোডে আসার পরে সিএনজিও পেয়ে গেলাম। আমরা সাড়ে আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছি। সিএনজিতে উঠার পরে ৪০ মিনিটের মত সময় লেগেছে। হঠাৎ করে যেন সৈয়দাবাদ আমার শ্বশুর বাড়িতে চলে এসেছি। আমি যেন দেখলাম একটু আগে আমাদের বাড়িতে ঘুম থেকে উঠলাম, এখন হঠাৎ করে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসলাম। স্বপ্নের মত লাগছে। নুসাইবাকে কোলে নিয়ে সবার খুশি কে দেখে। আমার ছোট ভাই আধা ঘন্টার মত বসেই চলে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেলো। তারপর নাস্তা করিয়ে, ভাত খাইয়ে একদিন রাখার চেষ্টা করলাম। কিন্তুু ব্যার্থ হলাম। তার নাকি দোকানে যেতে হবে, জরুরী ভিত্তিতে কিছু কাপড় ডেলিভারি আছে। সে আবার টেইলার্সের কাজ করে। ১১ টার দিকে আমার ছোট ভাই চলে যায়।
প্রায় চার মাস পরে শ্বশুর বাড়িতে আসলাম ভালোই লাগছে। আমি আর আমার হাসবেন্ড অনেক গুলো গাছ লাগিয়ে ছিলাম। গাছ গুলো দেখতেছি। মোটামুটি ভালোই বড় হয়েছে। ইচ্ছা আছে আরো কিছু গাছ লাগাবো। দেখা যাক কয়দিন এখানে থাকা হয়। মনে হয় না বেশি দিন থাকা হবে। যায়হোক সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসলাম। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২২-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে থাকার পর যখন শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা যখন উঠে তখন একটু খারাপ লাগে। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে গেলে তখন আবার ওদের হাসি মুখ দেখে এসব কষ্টগুলো দূর হয়ে যায়। আর ছোট বাচ্চা বাড়িতে না থাকলে সকলেরই ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে। আপনি অনেক কষ্ট করে আপনার ছোট ভাইকে রাজি করিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।কিন্তু তাকে আটকে রাখতে পারেননি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর ভাবে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে চলাচলটা এমনটাই মনে হয়। দ্রুত গাড়ি পেয়ে গেলে খুব দ্রুত বাড়ি পৌঁছানো যায়। তেমনি আপনি দ্রুত গাড়ি পেয়েছেন তাই খুব সহজে পৌঁছে গেছেন ৪০ মিনিটের মধ্যেই। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির ভ্রমণ বিষয়টা উপস্থাপন করেছেন দেখে।
ইনকোর্স পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। অনেকদিন পর শ্বশুর বাড়িতে গেলেন আর সেই অনুভূতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।