নিজ হাতে তৈরি করা কিছু মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিজ হাতে তৈরি করা কিছু মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা সবাই কম বেশি মিষ্টি খাবার পছন্দ করি। আর সেই খাবারগুলো যদি ঘরে তৈরি করা হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। আজকে আমি ঘরে তৈরি বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি খাবার আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন তাহলে একে একে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
আপনারা এখানে হলুদ রঙের কয়েকটি পিঠা দেখতে পারছেন। এই পিঠাগুলো তাল এবং ঘুড়ি আর নারিকেল চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এগুলোকে তালের মিষ্টি ভাপা পিঠা বলা হয়। অনেকে আবার এটাকে কেক ও বলে থাকে। যেহেতু এটা ভাপা পিটার মতোই ভাপ দিয়ে করা হয় তাই আমরা এটাকে ভাপা পিটাই বলে থাকি। পিঠাটা দেখতে যেমন সুন্দর তেমন খেতে ও অনেক মজা।
এই খাবারটা দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন আবার অনেকে চিনতে পারছেন না। এটা আমাদের সকলের পরিচিত প্রাচীন একটি খাবার। এটি হচ্ছে নারীকেলের সাতু বা খাতু। অনেক অঞ্চলে অনেক নামে এই খাবারটিকে ডাকা হয়ে থাকে। তবে আমাদের অঞ্চলে এটাকে সাতু বা খাতু বলে। এই খাবারটি তৈরি করতে ছিরা মুড়ি নারিকেল আর চিনির প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে জালজাল সাতু বা খাতা তৈরি করতে কাঁচা মরিচ চাউল ছিড়া মুড়ি আদা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমি আজকে যে সাতু শেয়ার করেছি। সেটি মিষ্টি তাই এগুলো মিষ্টি উপকরণ দিয়েই তৈরি করা হয়েছে।
আমার মায়ের হাতের ঝরঝরে সেমাই। এই সেমাই তে আমার খুবই পছন্দের। এই সেমাইটিতে নারিকেল, টিনের দুধ, অথবা গুঁড়ো দুধ, ও ঘি দিয়ে ভাজা হয়। তাই আমি এই সেমাইটি অনেক পছন্দ করি।
দুধ আর ডিম দিয়ে তৈরি করা পুডিং। পুডিং আমি তেমন পছন্দ করি না। কারণ পুডিং এর মধ্যে কাচা দুধ আর কাঁচা ডিম একসাথে দেওয়ার কারণে শেষে এর মধ্যে কাঁচা কাঁচা ডিমের গন্ধ করে। তাই এটা আমি খেতে পারি না। আমার হাজব্যান্ড অর্ধেক পুডিং খেয়ে নিয়েছিল। তারপর আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
এটিও একটি পুডিং এর ফটোগ্রাফি। এটি আমার ছোট বোন শখের বসে তৈরি করেছিল। ওর হাতে যে এত সুন্দর পুডিং তৈরি হবে আমি ভাবতে পারিনি। যাই হোক এই পুডিংটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ এর মধ্যে ডিমের কাঁচা কাঁচা তেমন গন্ধ পাওয়া যায়নি। শেষ করে এখানে গরুর টাটকা দুধ এবং দেশি মোরগের ডিম দেওয়া হয়েছিল যার কারনে আলাদা কাঁচা কোন বন্ধ করেনি। আর আমি বেশি মিষ্টি পছন্দ করি এখানে মিষ্টির পরিমাণটা বেশি হয়েছিল।
নারিকেল সন্দেশ বা নারিকেলের বরফি। এই নারিকেলের বরফিটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। বাদাম গুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়ে সুন্দর করে এর বাকল গুলো ছেড়ে। একটি পাতিলে চিনির শিরা তৈরি করে সেই শিরা হয়ে আসলে বাদামগুলো দিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাই এই বরফি বা সন্দেশ। এটিও আমার একটি পছন্দের খাবার। তাই প্রায়ই এই খাবারটি ঘরে তৈরি করা হয়।
আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে নারিকেল চিনি আর মুড়ি। আমি প্রায় সকালে নাস্তা না বানিয়ে এই খাবারটি খেয়ে থাকি। এ খাবারটি খেলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে নারিকেল আর চিনিটা আমি বেশি পছন্দ করি। তাই আমার হাজব্যান্ড বলে সুগার ইজ এ হোয়াইট পয়জন। আমি নাকি অল্প বয়সে বুড়ি হয়ে যাব চিনি বেশি খেলে। আপনারা কারা কারা এই খাবারগুলো পছন্দ করেন কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। আর কথা বাড়াচ্ছি না এখানেই আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট শেষ করছি।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আগামীকাল আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কিছু মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।। |
তারিখ | 07.02.2024 |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নিজ হাতে তৈরি করা কিছু মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি। আপনার তৈরি খাবার গুলো দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসলো আপু। প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে নারিকেলের বরফি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আমার মিষ্টি খাবারের ফটো গুলোর মধ্যে নারিকেলের নয় বাদামের বরফি বেশি পছন্দ করেছেন। এটি আমারও পছন্দের একটি খাবার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার কিছু মিষ্টি খাবার রেসিপি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সুন্দর একটি ব্লগ। ভালো লাগলো আপনার ব্লগে সুন্দর সুন্দর এই রেসিপিগুলো দেখে। প্রত্যেকটায় ছিল সুস্বাদু খাবারের ফটো।
জি ভাইয়া প্রত্যেকটি মিষ্টি ও সুস্বাদু খাবার। আমার এই ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি দেখছি নিজ হাতেই খুব দুর্দান্ত মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। এবং এই মিষ্টির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ সামলাতে পারছে না। আসলে এভাবেই মিষ্টি নিজে তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু আমাদের দেখাচ্ছেন লোভ কিন্তু হচ্ছে তাই পার্সেল করে পাঠিয়ে দিতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
যেহেতু মিষ্টি খুব পছন্দ করি তাই মিষ্টি খাবার ঘরেই তৈরি করি। জ্বী ভাইয়া নিজের হাতে তৈরি করে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। পার্সেল পাঠাতে হলে তো ঠিকানার প্রয়োজন আপনার ঠিকানাটা পাঠিয়ে দেন অবশ্যই পার্সেল পাঠিয়ে দেবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ বেশ অনেক মিষ্টান্ন খাবার দেখা যাচ্ছে তাদের ভাপা পিঠাটা আমার কাছে নতুন, তাছাড়া সেমাই ,পুডিং, বারফি সহ প্রত্যেকটা খাবারই বেশ লোভনীয় ছিল।
বেশ সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন আজকে। যদিও খাবার গুলো সব আপনার হাতে তৈরি করা। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে প্রতিটি খাবার খুবই সুস্বাদু ছিল। বিশেষ করে হলুদ রংয়ের ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগবে। যেহেতু তালের রস দিয়েছেন খেতে দারুন হবে। এছাড়াও অন্যান্য খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
জি আপু তালের ভাপা পিঠা টা খেতে অনেক মজাদার। আর বিশেষ করে তালের ঘ্রাণে পিঠার স্বাদের গুণ আরো বাড়িয়ে দেয়। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি রান্নায় অনেক পারদর্শী বোঝাই যাচ্ছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই খাবারগুলো তৈরি করেছিলেন। আর লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল।
না আপু আমি রান্নায় তেমন পারদর্শী না। তবে রান্নার মধ্যে একটু ইউনিক ও তার ছোঁয়ার চেষ্টা করি। আর আলহামদুলিল্লাহ যায় রান্না করি তাই অনেক মজা হয়। ধন্যবাদ আপ। না
আপনার নিজ হাতে তৈরি করার কিছু খাবারের চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে নিজ হাতে কিছু তৈরি করে খেলে সেগুলোর মজাই আলাদা। তবে মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকারভাবে করেছেন। এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি মিষ্টি খাবারগুলো খেতে আমার মন চাইতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।