ছোট বোনের রান্না করা কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এই কমিউনিটির সবাই নানারকম পোস্ট করে থাকেন। এর মধ্যে ফুড ফটোগ্রাফিটা একটু অন্যরকম এবং লোভনীয় হয়ে থাকে। আমি আজকে বাবার বাড়িতে আসার পর যা যা রান্না করা হয়েছে সেগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করব। আর এই রান্না গুলো করেছে আমার ছোট বোন। যার কারনে আগ্রহ সহকারে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার ছোট বোনের বয়সে আমি রান্না পারতাম না। আমার বিয়ের পরই মূলত শাশুড়ির কাছ থেকে রান্না শিখেছি। আমার বোনটি ক্লাস সেভেনে পড়ে, তারপরেও এত সুন্দর রান্না করতে পারবে আমি ভাবি নি। তাই আগ্রহ সহকারে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

আপনারা সবাই দেখতে পারছেন এখানে একটি সালাদের ফটোগ্রাফি। আমার ছোট বোন খুব সুন্দর করে সালাদের ডেকোরেশন করেছে। দেখতে অনেক ভালো লাগছে। আর বিশেষ করে যে কোন মেহমান আসলে আমাদের বাসায় অনেক সুন্দর সুন্দর ডেকোরেশনের মাধ্যমে সালাদ পরিবেশন করা হয়। যেহেতু আমি এবং আমার হাজব্যান্ড দুজন মানুষ সেহেতু ছোট একটি ডেকোরেশন করে দেয়া হলো। সালাদের ডেকোরেশন টা কেমন হয়েছে আপনারা জানাবেন।

আপনারা হয়তো অনেকে জানেন আমি তিতাস নদীর পাড়ের একজন মেয়ে। তাই এই নদীর প্রচুর মাছ আমাদের খাওয়া হয়। এখানে যে ফটোগ্রাফি টা শেয়ার করেছে এটি হচ্ছে তিতাস নদীর কারপো মাছের ভুনা। আর এই রান্নাটি করেছে আমার ছোট বোন। খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।

এটি হচ্ছে কাঁচকলার রেসিপি। কাঁচকলার সাথে কারপো মাছের পেটি দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছে। এটিও অসাধারণ হয়েছে। আর কাজ কলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। তাই সবজি হিসেবে অনেকেই কাচ কলা খেয়ে থাকে।

এটি হচ্ছে দেশি মুরগির ঝাল রেসিপি। বেশি রাতে মুরগিটা অনেক বড় ছিল। তাই এর মাংসের টুকরাগুলো অনেক শক্ত শক্ত ছিল। আর বিশেষ করে খেতেও অনেক ভালো লেগেছিল। আমার পরিবারের কেউই পোল্ট্রি মুরগি খায় না। কারণ আমার বাবা একজন মোরগ ব্যবসায়ী। আমার বাবার দেশি মোরগের দোকান। যার কারনে আমাদের পরিবারের সকলেরই দেশি মুরগি খাওয়া হয়।

আমরা অনেকেই বেগুন ভাজি পছন্দ করি। আর বেগুন ভাজি করে তার সাথে মসলার সহযোগে ভুনা করলে, সে রান্নার সাদটা আরো বেড়ে যায়। তেমনি আমার ছোট বোন বেগুন ভেজে, বেগুনের ভুনা রেসিপি করেছে। এটিও অসাধারণ হয়েছিল।

আমরা সবাই খাবার শেষের আইটেম হিসেবে যেকোনো এক প্রকারের ডাউল খেয়ে থাকি। তেমনি এখানেও সেটি করা হয়েছে। আমি একটি মাসকলাইয়ের ডালের রেসিপি শেয়ার করেছি। আর এই ডালটি রান্না করা হয়েছে কালিবাউস মাছের মাথা দিয়ে। আমি কালিবাউশ মাছ তেমন খেতে পারি না। তবে এই মাছটি অনেক বড়সড়ো ছিল। যার কারনে মাছের ডালের এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।

আমি আপনাদের মাঝে সর্বশেষ যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি। এটি হচ্ছে কার্পু মাছের ডিমের ফটোগ্রাফি। অনেক সময় মাছ কিনলে, মাছের ভেতরে ডিম পাওয়া যায়। আর মাছের ডিম ভাজি আমার কাছে অনেক প্রিয়। তাই মাছের এই ডিম ভাজি টি আমার ছোট বোন আমার জন্য রান্না করেছে। অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটি।

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। কেমন লেগেছে আজকে আমার ছোট নোনের রান্নাআকরা রেসিপি গুলো কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আগামীকাল আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামফুড ফটোগ্রাফি।।
স্থাননিজ বাসা,ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
তারিখ6.01.2024
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আরে বাহ!! আপু, আপনি তো খুবই লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তাও আবার এই লোভনীয় খাবারগুলো আপনার ছোট বোনের রান্না করা। মনে হচ্ছে আপনার ছোট বোন বেশ ভালো রাধুনী। কেননা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খাবারগুলো খেতে বেশ মজার হয়েছিল। আর এই মজার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 6 months ago 

জি ভাইয়া, আপনি ঠিকই বলেছেন আমার ছোট বোন বেশ ভালো রাধুনী। এই বয়সে আমি তেমন রান্না করতে পারতাম না। আর এই রান্নাগুলে ও বেশ মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনার ছোট বোনের হাতে রান্না করা কিছু মজাদার ও লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সবগুলো খাবার বেশ লোভনীয় ছিল। তবে খাবারগুলোর মধ্যে বিশেষ করে আমার কাছে মাছের ডিমের ফটোগ্রাফি এবং বেগুন ভাজির ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপু আপনার কাছে যেমন ডিমের ফটোগ্রাফি এবং বেগুন ভাজির ফটোগ্রাফিটি বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছেও খেতে এই দুইটা বেশি ভালো লেগেছে। বেগুন ভাজিটা এবং ডিম ভাজিটা অসাধারণ হয়েছে। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনার বোনের রান্নার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ে এত দারুন রান্না করতে পারে। সত্যিই আপু আসলে কার কি অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো বোঝা খুব মুশকিল। অনেকেই না শিখেওনিজের আইডিয়া থেকে বেশ ভালো ভালো রান্না করতে পারে। অনেক ভালো লাগলো প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপনার খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

জি আপু মুগ্ধ হওয়ারই কথা। কারণ আমার ছোট বোন যে এত রান্না করতে পারবে সেটা আমিও ভাবতে পারিনি। রেসিপি গুলো যে দেখতে অসাধারণ হবে এবং এত মজা হবে তাও ভাবি নি। ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বাবার বাড়িতে গিয়ে তাহলে ছোট বোনের হাতের রান্না খেয়েছেন যিনি ভালো লাগলো যদিও আপনার বোন খুবই ছোট তারপরেও এত মজাদার মজাদার রেসিপি রান্না করতে পারে জেনে অবাক হলাম। দারুন কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই ফুড ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিটি রেসিপি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাইয়া বাবার বাড়ি আসার পর ছোট বোনের হাতের রান্নার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমার অনুভূতিমূলক পোস্টটি পড়ে আপনারাও আমাকে সাপোর্ট করছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43