গ্রামের প্রাকৃতির কিছু চিত্র।।

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি -

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার অনেক পছন্দ হবে।

আমি গত এক সপ্তাহ হয়েছে গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। এবার ঈদের বেশ কিছুদিন আগেই গ্রামে চলে এসেছি। ঈদের সময় আসতে যানজটে অনেক প্রবলেম হয়। তাছাড়া শহরে প্রচুর গরম ছিল। মূলত গরম থেকে বাঁচতেই গ্রামে চলে এসেছি। এখানে আলহামদুলিল্লাহ দু একদিন পরপর বৃষ্টি হয়। বর্তমানে আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা। আজকের সকালেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেজন্য আজকে ওয়েদারটা খুবই ভালো। দিনের বেলা রোদ উঠলেও চারপাশে মোটামুটি গাছ গাছালি আছে। বিকালের দিকে রোদ চলে গেলে কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া পাওয়া যায়। গ্রামে মোটামুটি ভালই লাগতেছে। এবার বেশ কিছুদিন গ্রামে থাকার ইচ্ছা রয়েছে।

যেহেতু গ্রামে এসেছি টুকিটাকি ফটোগ্রাফি করা হয়। গ্রামের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। যেটা শহরে কল্পনা করা যায় না। মাঝে মাঝে প্রকৃতি উপভোগ করতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। আর সেগুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

এখানে প্রথমেই আপনারা একটি মরিচ গাছ দেখতে পাচ্ছেন। যাকে অন্য ভাবে কাঁচা লঙ্কা বলা যায়। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন গাছটিতে অনেক মরিচ ধরেছে। মরিচগুলো প্রথম থেকেই কালো হয়ে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে মেজেন্ডা কালার হয়, তারপরে লাল হয়ে যায়। যদি সঠিক সময়ে মরিচ গুলো গাছ থেকে পেরে ফেলা হয়, তাহলে আর লাল হওয়ার সুযোগ পায় না। যদি মরিচ গাছ থেকে নিতে দেরি করা হয় তাহলে মরিচগুলো পেকে লাল হয়ে যায়। তখন আবার আরেকটি উপকার হয়, সেটা দিয়ে মরিচ গাছের চারা বানানো যায়। মানে বীজ সংরক্ষণ করার মত।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি গাছে একসাথে চারটি বেগুন ধরে আছে। এই ফটোগ্রাফি টা আমি নিয়েছিলাম আমাদের পাশের বাসার এক ভাবির বাগান থেকে। তিনি মরিচ গাছ আর বেগুন দুটোই একসাথে লাগিয়েছেন। এ দুইটা দৃশ্য দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছিল। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেগুনগুলো একটু বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এগুলো কেন বাঁকা হয় সেই বৈজ্ঞানিক তথ্য আমার জানা নেই। উনার গাছের মধ্যে মোটামুটি ভালোই বেগুন আসে। নিজে রান্না করে খাওয়ার পরে ও মাঝে মাঝে বাজারে বিক্রয় করে। ঘরের পাশে খালি জায়গা থাকলে সবজি চাষ করলে অনেক উপকার হয়।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুটি হাঁস দাঁড়িয়ে আছে। আমি ফটোগ্রাফি করার কিছুক্ষণ আগে হাঁসগুলো গোসল করে এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের তো গামছা বা তোয়ালে নেই, তাই মুখ দিয়েই শরীরের পানি মুছার চেষ্টা করছে,হে হে হে। আমাকে দেখে হাঁসগুলো চলে যাচ্ছিল, আমি দ্রুত মোবাইলটি বের করে ক্যামেরাটি ওপেন করে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এগুলোর ফটোগ্রাফি করতে পারা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু বাচ্চা ছেলে একটি প্লাস্টিকের জালি দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। অনেকগুলো ছোট ছোট মাছ ধরে একটি প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে পানি দিয়ে জিইয়ে রেখেছে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা এই মাছগুলো দিয়ে কি করবে, তারা বলল তাদের দুইটি পাখি আছে। পাখিদেরকে তারা প্রতিদিন মাছ ধরে খাওয়াই। গ্রামের রাস্তায় কত চিত্রই না দেখা যায়।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুইটি বন্যফুলের ফটোগ্রাফি। একটি ফুলের মধ্যে একটি প্রজাপতি বসে আছে। আমি অনেক কষ্ট করে এই প্রজাপতির ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। যখনই আমি ফটোগ্রাফি করতে যাই তখনই প্রজাপতিটি উড়ে যাচ্ছিল। প্রচন্ড রোদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। এই ফুলটার নাম কি সেটা কিন্তু আমার জানা নেই। আমি সাধারণত এটাকে বন্যফুল হিসাবেই চিনে থাকি। যদি আপনারা এটার কোন নাম জানেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না, এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আগামীকাল আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামগ্রামের প্রাকৃতির কিছু চিত্র।।
স্থাননিজ বাসা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ,বাংলাদেশ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 14 days ago 

ঈদের ছুটিতে তাড়াতাড়ি গ্রামের বাসায় গিয়ে ভালোই করেছেন আপু। ঈদের আগে প্রচন্ড ভিড় থাকে রাস্তাঘাটে। তখন চলাচল করা অসুবিধা হয়। গ্রামীণ পরিবেশে ঘোরাঘুরি করেছেন আর এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আপু।

 11 days ago 

জ্বী ভাইয়া ভিড় হবে বলে তাড়াতাড়ি গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 13 days ago 

হ্যাঁ কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন সেই পোস্ট দেখেছিলাম। আপনাদের গ্রামাঞ্চলে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে আবহাওয়াটা তুলনামূলক অনেক ঠান্ডা তবে আমাদের দিকে বৃষ্টির করে দেখাই নেই। যাই হোক গ্রামের কিছু সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন ছবিগুলো স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপু।

 11 days ago 

জি ভাইয়া এখানে আসার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা বা সকালে একবেলা না এক বেলা বৃষ্টি হচ্ছে। যার জন্য আবহাওয়া টা অনেক ঠান্ডা। তাই গ্রামে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 13 days ago 

আসলেই ঈদের সময় রাস্তাঘাটে অনেক জ্যাম হয়। এজন্য আগে গিয়েই ভালো করেছেন আপু। আরাম যেতে পেরেছেন। এই গরমের মধ্যে গ্রামে গেলে কিছুটা আরামে সময় কাটানো যায়। যাইহোক গ্রামে গিয়ে কিন্তু খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে শেষের ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে। প্রজাপতির ফটোগ্রাফি করা আসলেই বেশ কষ্টকর। কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে করেছেন আপনি। ভালো লাগলো দেখে।

 11 days ago 

জ্বী আপু উড়ন্ত কোন প্রাণীর ছবি ফটোগ্রাফি করতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। তাছাড়া গ্রামে তাড়াতাড়ি এসেছি বলে গ্রামের অনেক ফটোগ্রাফি করতে পারছি। ধন্যবাদ আপু।

 13 days ago 

ওয়াও! আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রামের দৃশ্য আপনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন দৃশ্যগুলো আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আপনার পোস্টটি খুবই ভালো লেগেছে।

 11 days ago 

আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে। তাই অনেক ভালো লাগলো। ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

 13 days ago 

গ্রামীন প্রকৃতি আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে আপু। গরমের কারণে গ্রামে গিয়েছেন আশা করি বেশ স্বস্তি পাবেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। ছোট ছোট বাচ্চাদের মাছ ধরার ছবি দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 11 days ago 

জি ভাইয়া গ্রামে আসার পর থেকে স্বস্তিতেই দিন কাটছে আপনাদের দোয়ায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 64807.94
ETH 3507.27
USDT 1.00
SBD 2.37