নিজ ছাদ বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের মাঝে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আপনারা সবাই জানেন যে, আমি বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করতেছি। আমার শ্বশুর বাড়িতে আমার ছোট একটি ফুলের বাগান আছে। আমি এক বছর যাবত আমার শ্বশুর বাড়িতে আসেনি। তাই আমার বাগানটিও তছনছ হয়ে গিয়েছে। কোন জিনিসের মালিক না থাকলে সেই জিনিসের গুরুত্ব থাকেনা। তেমনি আমার গাছগুলোরই একই অবস্থা। তবে কিছুদিন আগে বৃষ্টি আসার কারণে বাগানের অনেকগুলো ফুল ফুটেছে।

আপনারা সবাই জানেন যে, আমি বাগান করতে অনেক ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি গাছ লাগাতে পছন্দ করি। যেখানে একটু খালি জায়গা পাই সেখানেই গাছ লাগায়। তবে আমাদের বাড়িতে গাছ লাগানোর কোন জায়গা নেই বলে। ছাদে অনেক প্রকারের ফুল ও ফলের গাছ পাশাপাশি সবজি গাছ ও লাগিয়েছিলাম। শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি দুই জায়গাতেই আমার স্বল্প পরিসরে ছোট ছোট ছাদ বাগান আছে। বর্তমানে প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে মানুষের টিকে থাকতে পারছে না। সেই জায়গায় ফুলের গাছ শুকিয়ে মাঠির সাথে মিশে যাচ্ছে। তবে আজকে অনেক বৃষ্টি পড়েছে। তাই চারিদিকে শীতল হাওয়া বয়ছে। আজ কিছু ফটোগ্রাফি ছাদ বাগান থেকে ক্যাপচার করেছি। সেগুলো আপনাদের মাঝে এখন শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন আমার ছাদ বাগানের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

এটি হচ্ছে সাদা কেয়া ফুল। এই ফুলটির অনেক ঘ্রাণ রয়েছে। কিউট তেলের মধ্যে যেরকম সুগন্ধ রয়েছে তেমনি এ ফুলটিরও এমনই সুগন্ধ রয়েছে। কেয়া ফুল গাছটি আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম , তার আমার শ্বশুরবাড়ির বাগানে লাগিয়েছিলাম। এখন বৃষ্টির সময় এই সময় কেয়া ফুল ফোটে। আপনারা দেখতেই পারছেন কত সুন্দর সাদা কেয়া ফুল ফুটে রয়েছে।

এটি হচ্ছে পাতাবাহার গাছ। এই পাতাবাহার গাছেও কি সুন্দর ছোট ছোট ফুল ফুটে আছে। আপনারা যদি কিরণমালা নাটক দেখে থাকেন তাহলে এই নাটকে এই পাতাবাহার গাছ দিয়ে রাক্ষসদের পথ আটকানো হয়েছিল। হাহাহা। যাইহোক গাছটি দেখে আমার সে নাটকের কথা মনে পড়েছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

আপনারা এখানে দেখতে পারছেন মরিচ ফুলের ফটোগ্রাফি। এই মরিচ ফুল হচ্ছে কালো মরিচের। কালো মরিচের ফুল নীল হয়ে থাকে। আর ফুলগুলো প্রায় বেগুনের মতনই রং ধারণ করে। তবে এই মরিচ গুলো কিছুটা ছোট ছোট হয় এবং অনেক ঝাঁজালো বা ঝাল হয়ে থাকে।

আমাদের ছাদ বাগানের এক কর্নারে অনেক প্রকারের মরিচ গাছ লাগানো আছে। তারমধ্যে এখানে একটি বোম্বে মরিচের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বোম্বে মরিচটা এখনো ফুটতে হয়নি তবে এই মরিচগুলো অনেক বড় বড় হয়। আমি তেমন বোম্বে মরিচ খেতে পারি না আপনারা যদি খেতে পারেন তাহলে কমেন্টসে মাধ্যমে জানিয়েন।

আপনার আমার সকলের পরিচিত একটি ফুল হচ্ছে এই টাইম ফুল। এই ফুলগুলো একটু পুষ্টিকর মাটি পেলেই নিজ নিজ ভাবে বেড়ে ওঠে। আমার শ্বশুর বাড়িতে আমি অনেক প্রকারের টাইম ফুল নিয়ে এসেছিলাম আমার বাবার বাড়ি থেকে। তবে বর্তমানে শুধু এক প্রকারের টাইম পুলি রয়ে গিয়েছে। আর বাকিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং অনেকেই ছাদে উঠে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। যেহেতু মালিক নেই সেহেতু চুরি হবে এটা স্বাভাবিকই।

আমাদের ছাদ বাগানে কয়েক প্রকারের সবজি গাছ লাগানো আছে। তারমধ্যে এই চাল কুমড়ো গাছটিও রয়েছে। আমি চাল কুমড়ো গাছের ফুলের অনেক ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। তার মধ্যে এই ফটোগ্রাফিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। আর কেমন হয়েছে আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। সবার জন্য আমার পক্ষ থেকে দোয়া রইল, আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।