ঢাকা থেকে বাড়ি আসার কিছু মুহূর্ত।।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। গতকালকে আমি আমার হাজব্যান্ডকে নিয়ে ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়িতে রওনা দিয়েছিলাম। মেয়ের চার মাস পুরনো হয়েছে। নিসা প্রথমবারের মতো দাদু বাড়িতে এসেছে। গতকালকে কিভাবে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে এসেছি তার বর্ণনা আপনাদের মাঝে চলুন শেয়ার করি।
বর্তমানে প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে কোথাও আসা-যাওয়া করাটাও অনেক কষ্টকর। তাছাড়া যানবাহনে চলাচল করতে গেলে অতিরিক্ত জ্যামে আটকা পড়া লাগে। যা আমাদের সকল যাত্রীদের অবস্থা খারাপ করে দেই। গতকালকে আমি আমার হাজবেন্ড ও ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে শশুর বাড়িতে রওনা দেই। আমি প্রায় এক বছর পর আমার শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। তাছাড়া আমার মেয়ে ও জন্মের পর তার দাদুর বাড়িতে যায়নি। এই প্রথম আমার মেয়েকে তার দাদুর বাড়িতে নিয়ে এলাম। কারণ প্রচন্ড গরম তাছাড়া শহরের গরমের যে অবস্থা তাতো আপনারা বুঝতেই পারছেন।
তাই স্বামীকে অনেক রিকোয়েস্ট করে একটু শান্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে এলাম। তবে আসার পথে মেয়েকে নিয়ে এত লং জার্নি করার পর, মাঝপথে গরমের কারণে আমার মেয়ে প্রচুর কান্নাকাটি করা শুরু করে। আমাদের ইচ্ছা ছিল যে আমরা ট্রেনে করে আসবো। তবে আমার হাজব্যান্ড হঠাৎ করে বাস কাউন্টারে গিয়ে বাসের টিকেট কাটেন। প্রায় সময় আমরা সোহাগ বাস দিয়ে আসা-যাওয়া করি। তাছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস এসি বাস দিয়ে মাঝে মাঝে আসা-যাওয়া করি। কিন্তু সোহাগ বাসের কোন এসি বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্ভিসে নেয়। তাই কি আর করার নন এসি বাসেই চড়ে রওনা দিলাম।
শহরের অলিগলি ও যানজট পেরিয়ে অনেক কষ্ট করে গতকালকে বাড়ি এলাম। আমাদের সিট ছিল বাসের একেবারে সামনে। ড্রাইভারের পিছনের যে ছিট রয়েছে সেই সিটের আমার হাজব্যান্ড টিকেট কেটেছিলেন। আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি যে সামনের সিটপ বসলে এতাটা অসুবিধা হয়। তাছাড়া ড্রাইভার অতিরিক্ত হর্ন বাজায় আমার মেয়েটি চোখ বুজে আর হর্ণের শব্দ শুনে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে। এরকম করে আমার মেয়ে আর সহ্য করতে না পেরে প্রচুর কান্নাকাটি করেছে বাসের মধ্যে। দেখেছি যে একটু জ্যাম লাগলে ড্রাইভার অযথা হর্ন বাজাতে শুরু করে। এত বিরক্ত লেগেছিল যে মনে হচ্ছিল তখনই গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। এত গরম দ্বিতীয়ত প্রায়ই বারবার জ্যামে পড়ে যায়। তারপর আবার অতিরিক্ত হর্ন। বাসের মধ্যে আমার মাথা এত ব্যথা করা শুরু করেছিল যে মেয়েকে সারা রাস্তা আমি কুলে নিতে পারিনি। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের ড্রাইভাররা বেশি অংশ শিক্ষিত না। তার জন্য তারা কোথায় হর্ন বাজাতে হবে আর কোথায় বাজাতে হবে না তার সম্পর্কে অবগত না। আর কিভাবে গাড়ি চালালে অতিরিক্ত জ্যামে পড়বে না সে বিষয়ে তাদের কোন ধারনা নেই।
বাসে করে যদি কখনো আপনারা জার্নি করেন। তাহলে খেয়াল রাখবেন যে, সামনে বা পিছনের সিট না কেটে মাঝামাঝি সিট কাটবেন। তাহলে পিছনের ধাক্কা ও সামনের অতিরিক্ত হর্ন থেকে বেঁচে যাবেন।
যখন আমরা মেঘনা নদীর ব্রিজের উপর দিয়ে আসছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটি করে নিয়েছি। তখন মনে হয়েছিল যে আর বেশিক্ষণ নয় এইতো এসে পড়েছি। ব্রিজের উপর ওঠার পর মনে মনে ভেবে নিয়েছি। যাক যতই কষ্ট হোক না কেন বাড়িতে এসে পড়েছি। তবে বাড়িতে এসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আর কখনো বাসে নই ট্রেনেই আসবো। কেননাছোট মেয়েকে নিয়ে বাস জার্নি করলে বাবু অসুস্থ হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। বন্ধুরা এই হল আমার আজকের ব্লগ।
বন্ধুরা আজকে এখান থেকে বিদায় নিলাম। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | ঢাকা থেকে বাড়ি আসার কিছু মুহূর্ত ।। |
স্থান | ঢাকা টু ব্রাহ্মণবাড়িয়া । । |
তারিখ | ৩০/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মেয়েকে নিয়ে এই প্রথম তার দাদার বাড়িতে নিয়ে গেলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে ছোট বাচ্চা নিয়ে ট্রেনে শুয়ে বসে যাওয়াই ভালো। আর আমি কখনো বাসের প্রথমে বা শেষের সিটে বসিও না।এরা শুধু শুধু ও হর্ন বাজায় এটা সত্যি কথা।আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমিও যেনো সেই বিরক্তিকর হর্ণ শুনছিলাম।যাক শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন শুনে ভালো লাগলো।
জি আপু আমার হাজবেন্ডের অসুবিধা হবে বলে বাবার বাড়ি থেকে ঢাকা চলে গিয়েছিলাম। শ্বশুরবাড়িতে এখন মেয়েকে নিয়ে থাকবো অনেকদিন। তারপর ঈদের পরে আবার ঢাকায় চলে যাব। দোয়া করবেন আপু।
আসলেই হঠাৎ গরম এত পরিমানে বেড়েছে যেটা বলার মত নয়। তবে এই গরমের মধ্যে ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসে নিজে তো গরমের হাত থেকে রক্ষা পেলেন এখন ভাইয়ার কি অবস্থা হা হা হা।
আপনাদের ভাইয়া অফিসে এসির হাওয়া খাবে। তারপর এসে আবার রান্না করে খাবে গরমের হাওয়ায় বসে বসে। হা হা হা।